img

হিট স্ট্রোকে ভুলেও খাবেন না যেসব ফল

প্রকাশিত :  ১০:১৪, ২২ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:২৯, ২২ এপ্রিল ২০২৪

হিট স্ট্রোকে ভুলেও খাবেন না যেসব ফল

গ্রীষ্মে হিট স্ট্রোক, হিট এক্সহউশনের ফলে মূলত শরীরের কুলিং সিস্টেম ফেইল করে। এতে ঘাম কমে গিয়ে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়, বমি বমি ভাব হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, ডিহাইড্রেশনের ফলে ইলেকট্রোলাইটস ইম ব্যালেন্স হয়, মানুষ  অজ্ঞান হয়ে যায়। এমনকি শুরু হতে পারে খিচুনি। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ফল কি হিট স্ট্রোকের জন্য উপকারী? 

ফল খাওয়া হিট স্ট্রোকের জন্য উপকারী হলেও কিছু ফল হিট স্ট্রোকে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই হিট স্ট্রোকে কোন ফল উপকারী এবং কোন ফল অপকারী এটা না জেনে ফল খেলে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

হিট স্ট্রোকে এড়াতে উপকারী ফল

কম ক্যালরি যুক্ত এবং কম চিনিযুক্ত রসাল ফল হিট স্ট্রোকের জন্য উপকারী। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে শসা, জাম্বুরা, আনারস, তরমুজ। এ ছাড়া নাশপাতি, কাঁচাআম (সবুজ আম), কাঁচা পেঁপে (সবুজ পেঁপে) , আপেল, স্ট্রবেরি, গোলাপ, জাম্বুরা, লেবুও কম ক্যালরি যুক্ত ফল। এসব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের জন্য খুবই  উপকারী। 

হিট স্ট্রোকের জন্য অপকারী বা ক্ষতিকর ফল

সাধারণত প্রচুর চিনিযুক্ত ফল এবং উচ্চ ক্যালরি উৎপন্নকারী ফল যেমন পাকা কাঁঠাল, পেয়ারা, পাকা আম, আঙুর, লংগান, লিচু, পাকা কলা, পাকা পেঁপে (হলুদ পেঁপে), প্যাশন ফল, লাল ডালিম, মিষ্টি তেঁতুল, পেয়ারা।

মনে রাখবেন পাকা পেঁপে ও পাঁকা কাঁঠাল হিট স্ট্রোকের বিপত্তি বাড়িয়ে দেবে এবং গরম পানীয় যেমন চা ও কফি পান করা যাবে না।

হিট স্ট্রোকে করণীয়

শরীরকে ঠান্ডা করা অর্থাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুছে দেওয়া বারবার, ছায়া ও বাতাসযুক্ত স্থানে বসা, ঠান্ডা পানি দিয়ে তোয়ালে বা গামছা ভিজিয়ে ঘাড় মাথা, উরু স্পঞ্জিং করা। ঘাড়ে ঠান্ডা পানিতে ভিজানো রুমাল রাখা যেতে পারে। ডিহাইড্রেশন ও পিপাসা কমাতে নরমাল ঠান্ডা পানি, লেবুর শরবত এবং খাবার স্যালাইন খুবই উপকারী। তবে খাবার স্যালাইন নিয়মমতো বানাতে হবে।


img

মস্তিষ্ক দীর্ঘদিন সতেজ ও সক্রিয় রাখে যেসব ফল

প্রকাশিত :  ০৬:২৪, ০৫ মে ২০২৫

স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে বা মনোযোগ বাড়াতে প্রতিদিনের খাবারে ড্রাই ফ্রুটস রাখলে মস্তিষ্ক দীর্ঘদিন সতেজ ও সক্রিয় থাকবে বলে জানান পুষ্টিবিদরা। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। এতে অপকারও হতে পারে। যেসব ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি প্রখর থাকবে।

আখরোট

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ আখরোট স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সকালে একটি আখরোট খেলে উপকার পাওয়া যায়। চাইলে আগের রাতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন।

আমন্ড বা কাঠবাদাম

ভিটামিন ই সমৃদ্ধ আমন্ড মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ মানসিক চাপ থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন সকালে ২–৩টি ভেজানো আমন্ড খাওয়া সবচেয়ে উপকারি।

কাজুবাদাম

ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ কাজু মনোযোগ বাড়ায়। তবে এটি অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে, তাই দিনে ২–৩টির বেশি খাওয়া উচিত নয়। লবণ দেওয়া কাজু না খাওয়াই ভালো।

পেস্তা

পেস্তা খেলে মস্তিষ্ক সজাগ থাকে। হালকা গরম দুধের সঙ্গে পেস্তা গুঁড়া মিশিয়ে খেলে আরও ভালো ফল মিলতে পারে।

কিশমিশ

কিশমিশ সরাসরি খাওয়া বা কিশমিশ ভেজানো পানি পান করলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

ডুমুর

শুকনো বা ভেজানো ডুমুর খেলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে ও দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকে।

বিশেষ পরামর্শ: উপরের যেকোনো খাদ্য নিয়মিত খাওয়ার আগে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া ভালো।