img

এই গরমে বারবার গোসল করা কি ভালো ?

প্রকাশিত :  ১১:৪১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

এই গরমে বারবার গোসল করা কি ভালো ?

তাপমাত্রা প্রতিদিনই বাড়ছে। সারা দেশে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলেও তাপপ্রবাহ চলবে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের। হাঁসফাঁস গরমে থেকে বাঁচতে অনেকেই একাধিকবার গোসল করছেন। তাতে সাময়িক স্বস্তিও মিলছে। তবে গরমকালে বারবার গোসল করা কি ভালো?

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত হলো, এই গরমে একাধিক বার গোসল করা মোটেই ক্ষতিকর নয়। বরং গরমে স্বস্তি পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয় না। এতে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে আসে। হিটস্ট্রোক বা হিট এক্সহউশনের আশঙ্কা কমে। তাই গরমকালে সময় পেলে গোসল করতেই পারেন।

দিন ঠিক কত বার গোসল করা যায় তাই নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে দুই থেকে তিন বার গোসল করতে পরেন। যারা গরমেও বাইরে কজ করছেন, তারা সময় পেলেই গোসল করতে পারেন। তবে কখনই শরীরে ঘাম নিয়ে গোসল করা ঠিক নয়। এতে ঠান্ডা গেলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। গায়ের ঘাম শুকিয়ে তবেই ঠান্ডা বা হালকা গরম পানিতে গোসল করুন। এতে তাপজনিত সমস্যা দূর হবে। 

গরম থেকে বাঁচতে অনেক আবার গরমকালে পানিতে বরফ মিশিয়ে গোসল করেন। এটা ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে সাধারণ মানুষদের ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে। আর যাদের বাত, অ্যাজমা রয়েছে তাদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। বরফপানি দিয়ে গোসল করলে ফুসফুসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই যতই গরম পড়ুক না কেন সাধারণ তাপমাত্রার পানিতেই গোসল করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।


img

চশমা ছাড়াই বাচ্চাদের দৃষ্টি সমস্যা সমাধানে আসছে এল আই ড্রপ

প্রকাশিত :  ১৩:২২, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:২৫, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

দূরের জিনিস দেখতে সমস্যা হচ্ছে মানেই চিকিৎকের কাছে যাও। তারপর পাওয়ার দেখে চশমা দেওয়া হবে। এই ঝামেলা থেকে রেহাই দিতেই নতুন আই ড্রপ আসছে দেশের বাজারে। 

মূলত মায়োপিয়ার চিকিৎসায় এই আই ড্রপের ব্যবহার হবে। মায়োপিয়া মানেই হল দূরের দৃষ্টি ঝাপসা হতে থাকা। দেশে মায়োপিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। ক্রমাগত মোবাইল বা ট্যাবে চোখ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভি দেখা, কম আলোয় মোবাইল স্ক্রল করার কারণেই দৃষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগছে শিশু ও কমবয়সিরা।

নতুন ফর্মুলায় আই ড্রপটি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্মাতা সংস্থা এনটড ফার্মাসিউটিক্যালস। তাদের দাবি, এই ড্রপটি চোখে দিলে মায়োপিয়ার ঝুঁকি কমবে। যে শিশুর দূরের দৃশ্য দেখতে সমস্যা হচ্ছে, স্কুলের ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা পড়তে পারছে না অথবা চোখে যন্ত্রণা, চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা হচ্ছে, তারা এই আই ড্রপটি ব্যবহার করতে পারে। 

তবে মায়োপিয়া যদি ধরা পড়ে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শেই আই ড্রপটি নিতে হবে। কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিয়ামক সংস্থা আই ড্রপটির ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সেটি দেশের বাজারে চলে আসবে বলে জানা গেছে।

আই ড্রপটি ছোটদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের দেওয়া যাবে। এনটড ফার্মাসিউটিক্যালস জানিয়েছে, ওষুধটি তিন পর্যায়ের ট্রায়ালের পরে তার কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখনো অবধি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে দেখা যায়নি।

কিছুদিন আগেই ‘দ্য ল্যানসেট’ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেক সংখ্যক মানুষ মায়োপিয়ায় আক্রান্ত হবেন। বিশেষ করে শিশুরা এই অসুখে বেশি ভুগবে। মায়োপিয়ায় আক্রান্ত রোগী কাছের জিনিস দেখতে পারলেও দূরের জিনিস দেখতে তাদের সমস্যা হয়। মায়োপিয়ার অন্যতম বড় কারণ হল সূর্যের আলোয় কম সময় কাটানো। 

গবেষকেরা জানাচ্ছেন, প্রাকৃতিক আলোর চেয়ে কৃত্রিম আলোতেই বেশি অভ্যস্ত এখনকার প্রজন্ম। শিশুদের ক্ষেত্রে সূর্যের আলোয় বেশিক্ষণ থাকলে রেটিনায় ডোপামিন নামক যৌগের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই যৌগ দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে এবং মায়োপিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিন্তু অন্ধকারে যদি মোবাইল বা ট্যাব দেখার অভ্যাস থাকে, তাহলে বিদ্যুতিন ডিভাইস থেকে বেরোনো নীল আলো রেটিনার দফারফা করে দেয়। তখন কেবল দৃষ্টিজনিত সমস্যা নয়, চোখে যন্ত্রণা, চোখ লাল হয়ে ওঠা, পানি পড়া, মাথাযন্ত্রণা, এমনকি মাইগ্রেনও ভোগাতে পারে।

নতুন আই ড্রপটি চোখ খারাপ হওয়া থেকে বাঁচাবে। তবে পাশাপাশি শিশুদের চোখের যত্ন নিতে ও ‘স্ক্রিন টাইম’ বেঁধে দেওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা।