img

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, যা বললেন মিশা-ডিপজল

প্রকাশিত :  ০৬:২৮, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, যা বললেন মিশা-ডিপজল

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন এফডিসিতে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ায় শিল্পীরা। রীতিমতো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে সাংবাদিক-শিল্পীদের মধ্যে।

এ প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা দেখছি। এটা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি যেভাবে দেখা দরকার তা আমরা দেখছি।

মিশা-ডিপজলের পাঠানো এই চিঠিতে জানানো হয়, ‘অনাহূত এক পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির কতিপয় নির্বাচিত সদস্য ও সাধারণ সদস্যদের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় বেশ কজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন, যা আমাদের ব্যথিত করেছে। আমরা এ ঘটনার জন্য সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক ভাইবোনদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

এরই মধ্যে শিল্পী সমিতির নেতা ও সাংবাদিক নেতাদের যৌথ আলোচনায় প্রযোজক আরশাদ আদনানকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। একটা পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানান জয় চৌধুরী। তিনি বলেন, শপথ শেষে ছিল আমরা সবাই তখন কার্যকরী পরিষদের মিটিং করছি। এ মুহূর্তে ময়ূরী আপু তার মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তিনি ভেতরে ঢুকতে পারছিলেন না বাইরে লোকজনের জন্য।

এমন সময় দুই-তিনজন ইউটিউবার, তারা ময়ূরী আপুর মেয়ের হাত ধরে টান দিয়ে বলছেন— ‘তুমি একটা ইন্টারভিউ দিয়ে যাও’। বারবার তারা এই আবদার করছিলেন। এতে ময়ূরী আপু রেগে গিয়ে বলেন— ‘ও তো সেলিব্রিটি না, ও ইন্টারভিউ দিয়ে কী করবেন?’ এরপরেই আসলে শুরু হয় মারামারির ঘটনা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানান, এই হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এর পর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার এক পর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরেরাও হামলায় অংশ নেন।

এ ঘটনায় দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন ও তার ক্যামেরাম্যানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

img

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশিত :  ১৫:১৬, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকায় একদল যুবকের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান, যিনি সিদ্দিক নামেই বেশি পরিচিত। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। দুপুরের পর থেকে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক সিদ্দিককে দুপাশ থেকে ধরে টানা হেঁচড়া করছেন। এসময় সিদ্দিকে পোশাক ছিঁড়ে ফেলা হয়। ওই ভিডিওতে এক যুবককে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা সিদ্দিককে, আওয়ামী লীগের একজন দালালকে আমরা পুলিশে হস্তান্তর করছি।’

অভিনেতা সিদ্দিককে রমনা থানায় নেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন থানাটির এসআই জালাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ঘণ্টাখানেক আগে (বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ) সিদ্দিককে থানায় নিয়ে আসা হয়। তিনি বর্তমানে রমনা থানাতেই আছেন।’

সিদ্দিককে কোন মামলায় গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়েছে জানা যায়নি।

বিষয়টি জানতে সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার ঘনিষ্ঠরাও এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না।

অভিনেতা সিদ্দিকের জন্ম টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায়। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। ঢাকা-১৭ ও টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ও ধনবাড়ি) আসন থেকে একাধিকবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।

সিদ্দিক ১৯৯৯ সাল থেকে আরামবাগ থিয়েটারের নিয়মিত কর্মী। মঞ্চে ‘রাজারগল্প’, ‘পেজগি’, ‘বলদ’সহ বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন। পরে তিনি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। কিছুদিন সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০০৫ সালে দীপংকর দীপনের ‘রৌদ্র ও রোদেলার কাব্য’ নাটকে ‘কাউয়া সিদ্দিক’ চরিত্র দিয়ে প্রথম নাটকে নাম লেখান তিনি।

‘কবি বলেছেন’ নাটকে অভিনয় করে টিভি দর্শকদের নজর কাড়েন সিদ্দিক। পরে ইফতেখার আহমেদ ফাহমি ও রেদওয়ান রনির ‘হাউসফুল’ নাটকে ‘সিদ্দিক’ নামে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। ‘গ্র্যাজুয়েট’ ও ‘মাইক’ তাকে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা এনে দেয়। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে সিদ্দিককে।