img

জয় চৌধুরীকে আজীবনের বয়কটের ঘোষণা সাংবাদিকদের

প্রকাশিত :  ০৭:২৩, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

জয় চৌধুরীকে আজীবনের বয়কটের ঘোষণা সাংবাদিকদের

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীকে আজীবন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে সাংবাদিকরা। জয় চৌধুরী হামলার নেতৃত্ব দেওয়া ও উদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করেন সাংবাদিকদের সাথে। 

যদিও এ ঘটনায় দুজন সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে শিল্পী সমিতি। 

বুধবার রাতে এফডিসিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেন লিমন আহমেদ। তিনি জানান, হামলার ঘটনায় এক মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে অভিনেতা শিবা শানু ও সুশান্তকে। একইসঙ্গে ন্যক্কারজনক এই ঘটনার দিন ২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিনোদন সাংবাদিকরা।

এর আগে এফডিসির ঘটনার তদন্তের জন্য ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ১০ সদস্যের একটি কমিটি বসে। যেখানে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ছিলেন লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকীর, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে ছিলেন মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা-শাহ, রুবেল ও রত্না। এছাড়াও সিনিয়র সংবাদিক রিমন মাহফুজ ও কামরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। 

বৈঠক শেষে সাংবাদিক লিমন আহমেদ জানান, আলোচনা শুরুর পরও জয় চৌধুরী উদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ চালিয়ে যান। তিনি কারো কথা মানতে নারাজ। তাই তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

লিমন বলেন, ‌‘জয় চৌধুরীকে নিয়ে শিল্পী সমিতি যদি কোনো কার্যক্রমে অংশ নেন তবে সমিতিকেও বয়কট করা হবে। কোনো প্রযোজক বা পরিচালক সিনেমা নির্মাণ করলে তাদের সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকা হবে।’

বৈঠকে শিল্পী সমিতি আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রাংশের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। 

একইসঙ্গে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল ‘কালো দিবস’ পালন করা হবে জানিয়ে লিমন বলেন, ‘‘এই তারিখে বিনোদন সাংবাদিকরা কোনো সিনেমার খবর প্রকাশ করবে না। এখন থেকে প্রতি বছর ২৩ এপ্রিল ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে।’’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে শপথগ্রহণ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সদস্যরা। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। এক সাক্ষাৎকার গ্রহণকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান অভিনয়শিল্পীরা। যার নেতৃত্ব দেন অভিনেতা শিবা শানু ও জয় চৌধুরী। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। 

img

সাহিত্যসভায় বিব্রত মাহিরা খান

প্রকাশিত :  ১২:৩৪, ১৮ মে ২০২৪

সম্প্রতি দেশটির এক সাহিত্যসভায় যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী মাহিরা খান। সেখানেই তাকে অশোভনীয় একটি ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। ফলশ্রুতিতে রাগে ফেটে পড়েন অভিনেত্রী। দর্শকাসনে বসে থাকা কিছু লোক তাকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন জিনিসপত্র ছুঁড়তে থাকেন। বিরক্ত হয়ে মঞ্চ থেকেই প্রতিবাদ জানান এই অভিনেত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তানে একটি সাহিত্য সভায় যোগ দিতে যান মাহিরা খান। সেখানেই মঞ্চে বসেছিলেন অভিনেত্রী। তখন দর্শকাসন থেকে তার দিকে ছোঁড়া হয়ে বেশ কিছু জিনিস। তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করেন অভিনেত্রী। বিরক্ত হয়ে মাহিরা বলেন, ‘এটা কিন্তু গ্রহণযোগ্য নয়।’ এ ঘটনায় রীতিমতো ভয় পেয়ে যান মাহিরা। তবে একটি সিদ্ধান্তও নিয়েছেন এর প্রেক্ষিতে।

এ দিনের অনুষ্ঠানের ভিডিও শেয়ার করে হতাশার সঙ্গে লেখেন, ‘মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন কোনও কিছুই ছোঁড়া ঠিক নয়। কাগজে মোড়ানো ফুল হলেও তা মঞ্চে ছোঁড়া যায় না। পুরো ঘটনাটা খুব ভুল একটা নজির স্থাপন করেছে, এটা কখনও মেনে নেওয়া যায় না।’

অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘এ ঘটনায় আমি সত্যিই খুব ভয় পেয়ে যাই। না, শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যদের কথা ভেবেও। আমার মতো এ পরিস্থিতিতে অন্য কাউকেও তো পড়তে হতে পারে!’ তবে এ ঘটনার পরও মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যাননি তিনি। ভালোবাসায় বিশ্বাসী মাহিরা- হয়তো তাই। সেদিন অনুষ্ঠানে প্রায় ১০ হাজার দর্শক হাজির ছিলেন।

মাহিরা এ দিনের ঘটনার পর ঠিক করেছেন, এ রকম আরও অনুষ্ঠান তিনি করবেন। কারণ হিসেবে মাহিরা বলেন, ‘পাকিস্তানের অনেক শহরে এ ধরনের অনুষ্ঠানের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ আপনি যত বেশি সব কিছু নিয়ে আলোচনা করবেন, ততই আপনি সচেতন এবং শিক্ষিত হবেন। ততই আমাদের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও বোঝাপড়া আরও বাড়বে। কারণ এখনো ঐক্যবদ্ধতার অভাব রয়েছে। এ ধরনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠবে।’