img

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখি না: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশিত :  ১৫:৪৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৩৩, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখি না: মার্কিন কর্মকর্তা

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এ সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না।

এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমসহ নানা জায়গায় শুনেছি যে ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। এটা সত্যি না। আমরা যদি দ্বিপক্ষীয় অভিন্ন স্বার্থের নিরিখে দেখি তাহলেই আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। এটাই আমরা সরকার, গণমাধ্যমসহ সবাইকে জোর দিয়েই বলছি।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন এসব কথা বলেন। আইপিএস ও বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কটা বহুমাত্রিক। আইপিএস এই সম্পর্কে কী মাত্রা যোগ করেছে, জানতে চাইলে ম্যাক্সওয়েল বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ফোর্সেস গোল-২০৩০ সমর্থন করে। এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। আইপিএসের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি আগের সহযোগিতাগুলো এগিয়ে নিয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের কোন দেশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, চীনের মতো কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এমনকি ভবিষ্যতেও জোর খাটাতে পারে। যেটা দক্ষিণ চীন ও তাইওয়ানের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আইপিএসের ক্ষেত্রে আমরা এ ধরনের আধিপত্যপাদী আচরণ দেখতে চাই না। ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, আইপিএসের মানচিত্রের দিকে তাকালে দেখবেন বিশ্বের বাণিজ্যের বড় অংশটা হয় এই অঞ্চলজুড়ে। অর্থনৈতিক উন্নয়নও হচ্ছে এই অঞ্চল ঘিরে। তাই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল অবাধ ও মুক্ত ভবিষ্যৎ, অর্থনীতি এবং সমৃদ্ধির স্বার্থের বিষয়গুলোতেই জোর দেওয়া হচ্ছে।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, এটা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই বলছি। এই অঞ্চলের সব দেশ নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রাখে এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অন্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারে। গঠনমূলক ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষাপট থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিবাচক নিরাপত্তা কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে থেকেই দিক থেকে বলছি। কেন এটা বলছি? স্বাধীনতার পর থেকে দ্রুততার সঙ্গে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সামর্থ্য ও অবদানের সক্ষমতা দেখেছি। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সামর্থ্যের পাশাপাশি অন্যের সহায়তাও বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অংশীদার হিসেবে আমরা গর্বিত। উদাহরণ হিসেবে মিয়ানমারের প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা এক বিরাট দৃষ্টান্ত।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহায়তা করছে, জানতে চাইলে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন অংশে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

img

কিরগিজস্তানে হামলার শিকার বাংলাদেশিসহ বিদেশি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত :  ১৮:০৯, ১৮ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:১৬, ১৮ মে ২০২৪

কিরগিজস্তানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে চরম আতঙ্কে সময় পার করছেন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ দেশটিতে থাকা বিদেশি শিক্ষার্থীরা। 

ইতোমধ্যে ভারতীয় দূতাবাস দেশটিতে থাকা তাদের নাগরিকদের ঘরের ভিতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। পাকিস্তানও তাদের নাগরিকদের একই পরামর্শ দিয়েছে। দেশটিতে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হাসান জাইঘাম কিরগিজ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইমানগাজিভ আলমাজের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি দেশটিতে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

দেশটির স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, একটি হোস্টেলে গত ১৩ মে বিদেশি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। মিসর থেকে আসা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের মারামারির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই পরিস্থিতি উত্তাল হয়।

এ নিয়ে পরবর্তীটে দেশটির বহু সংখ্যক বিক্ষোভকারী জড়ো হয়। এর মধ্যে অনেকে রাস্তা দখল করে এবং ভবনে ভাঙচুর চালিয়েছে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সেইসঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারী বিভিন্ন দরজার ভেঙে ফেলছেন এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের পেটাচ্ছে।

ফার্স্ট পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭-১৮ মে রাতে বিশকেক উত্তাল ছিল। বিক্ষোভকারীরা বিদেশি শিক্ষার্থী ও অভিবাসীদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২৮ জন আহত হয়েছে, যার মধ্যে তিনজন বিদেশি শিক্ষার্থী আছেন।

দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীও চরম আতঙ্কে আছেন বলে জানিয়েছেন। দেশটিতে অধ্যরনরত সায়মা কবি সংবাদসংস্থা ইউএনবিকে বলেন, আমরা পাঁচজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এই মুহূর্তে একটি অ্যাপার্টমেন্টে আছি। কিছু লোক আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে জড়ো হয়েছে। প্লিজ আমাদের সাহায্য করুন। 

তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশকেকের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার জন্য পছন্দের অন্যতম একটি দেশ হচ্ছে কিরগিস্তান। বিশেষ করে মেডিকেলের জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের দেশ এটি।