উদ্বোধনীতে প্রতিমন্ত্রী

img

‘জিয়া-এরশাদ-খালেদা এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দিয়েছিলো’

প্রকাশিত :  ১৬:৩৯, ১০ মে ২০১৯

‘জিয়া-এরশাদ-খালেদা এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দিয়েছিলো’

জনমত ডেস্ক ।। মেধাবী ও পরিশ্রমী ডাইনামিক লিডারশিপ প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন কায়েক পরিশ্রম শরীরকে সতেজ রাখে এবং মনকে প্রফুল্ল করে তুলে । বই মানুষের প্রকৃত বন্ধু । বই মানুষের ঘুমন্ত মেধাকে জাগ্রত করে তুলে।তাই আমাদের বই পড়তে তরুণ ও যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

                               
শুক্রবার (১০ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিরল উপজেলার মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুব্রত কুমার অধিকারী সভাপতিত্বে প্রতিমন্ত্রী আরোও বলেন, আমাদের সমাজে সৎ, নিষ্ঠ, ন্যায় পরায়ন আদর্শবান নেতৃত্ব তৈরী হবে। অন্যথায় একসময়ে আমরা রাজনৈতিক ভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে যাব। রাজনীতি এক দিনের বিষয় নয়। রাজনীতি হলো সেবা প্রদানের বিষয এখান থেকে কিছু পাওয়ার বিষয নয়। ন্যায়, নীতি, বিশ্বাস ও আস্থা রাজনীতির অংশ বিশেষ। রাজনীতি ঠিক রাখার জন্য আমাদের এই ডাইনামিক শিক্ষা ও সামাজিক শিক্ষার দরকার আছে।
তিনি আরোও বলেন আওয়ামী লীগ সরকার উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থাকে দেশের জনগণের হাতের নাগালে পৌঁছে দিয়েছে দেশের তরুণ সমাজকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধ পরিকর। জাতির পিতা একটি বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর, জিয়া-এরশাদ-খালেদা এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেয়। দীর্ঘদিন পর জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে জনবান্ধব শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজকে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই পাচ্ছে। নতুন ভবন পাচ্ছে। জেলা-উপজেলায় নতুন নতুন স্কুল-কলেজ হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় এরকম একটি শিক্ষার অট্টালিকা ভবন শুধু শিক্ষার মান বৃদ্ধি করবে না, এলাকার ও মান বৃদ্ধি হবে।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম,আব্দুল লতিফ, সাধারণ সম্পাদক এ,কে,এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, বিরল পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রওশন করীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
একই দিন সন্ধ্যায় সেতাবগঞ্জ সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।

img

চবির পঞ্চম সমাবর্তন ৮ ডিসেম্বর

প্রকাশিত :  ১৩:৩০, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের অন্যতম স্বায়ত্তশাসিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। প্রতিষ্ঠার ৫৭ বছরে চবিতে সমাবর্তন হয়েছে মাত্র চারবার। সর্বশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৮ বছরের বেশি সময় আগে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। 

দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজন করে চলেছে। সেখানে চবিতে গড়ে ১৪ বছরে একবার সমাবর্তন হচ্ছে। এদিকে ৯ বছর পর আগামী ডিসেম্বরে চবির ৫ম সমাবর্তনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।  

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গভবনে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাতের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তাব করলে রাষ্ট্রপতি এতে সম্মতি প্রকাশ করেন এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর সমাবর্তনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণের জন্য উপাচার্যকে নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন ও তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন। 

উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৪ বার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ৭ হাজার ১৯৪ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে চবির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন ছিল এটি। এর আগে তৃতীয়বারের মতো সমাবর্তন হয় ২০০৮ সালে। এছাড়া প্রথম সমাবর্তন ১৯৯৪ সালে এবং দ্বিতীয় বার ১৯৯৯ সালে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষা এর আরও খবর