img

এক মাছ ধরেই কোটিপতি তরুণ!

প্রকাশিত :  ১২:৪৩, ১১ মে ২০২৪

এক মাছ ধরেই কোটিপতি তরুণ!

বড়শি দিয়ে এক মাছ ধরেই কোটিপতি হলেন এক তরুণ। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় নর্দান টেরিটোরি রাজ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। ভেটকি প্রজাতির এ মাছের নাম বারামুন্ডি। 

‘মিলিয়ন ডলার ফিশ’ প্রতিযোগিতার আওতায় মাছটি নদীতে ছাড়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, যিনি মাছটি ধরতে পারবেন, তিনি পাবেন ১০ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৭ কোটি ৭০ লাখ ৪১ হাজার (১ অস্ট্রেলীয় ডলার=৭৭ টাকা)।

৯ বছর ধরে রাজ্যটির প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ তৈরি করতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়ে আসছে। প্রতিবছর অক্টোবরে এ রকম শতাধিক মাছ নদীতে ছাড়া হয়। যার পুরস্কারমূল্য ১০ হাজার, ২০ হাজার ও ১ মিলিয়ন ডলার। প্রতিযোগিতা চলে মার্চ মাস পর্যন্ত। তবে এ বছর প্রতিযোগিতার মেয়াদ বাড়িয়ে এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। আর কী কাণ্ড, প্রতিযোগিতার শেষ দিনই মিলিয়ন ডলারের মাছটি ধরা পড়ে এই তরুণের বড়শিতে।

এক মাছেই কোটিপতি বনে যাওয়া তরুণের নাম কিগান পেইন (১৯)। কিগান স্থানীয় ক্যাথরিন এলাকার বাসিন্দা। মাছটিকে ধরার পর তিনি ভেবেছিলেন এটা কোনো তেলাপিয়া মাছ। পরে তার বোন অ্যাডিসন মাছটির গায়ে থাকা শনাক্তকরণ ছোট যন্ত্রটি দেখে বুঝতে পারেন মাছটির কদর। এরপর প্রতিযোগিতা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা তৎক্ষণাৎ একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনে করে কিগানকে ১০ লাখ ডলারের চেক দেয়।

হঠাৎ পাওয়া এই অর্থ দিয়ে কী করবেন তিনি, এমন প্রশ্নের জবাবে কিগান বলেন, আমরা অনেক বড় পরিবার। আট সদস্য আমাদের। এত ডলার আমাদের কল্পনাতীত। আমি অনেক খুশি। আমি যা খুশি কিনতে পারব, এমনকি মা-বাবার আবাসন ঋণ পরিশোধেও ওই অর্থ কাজে লাগবে।

 

img

ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহত আরও ৫৬ ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত :  ০৭:২২, ১৭ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:২৩, ১৭ জুন ২০২৫

গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৮ জনই ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ভোর থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এদের মধ্যে ৩৮ জন দক্ষিণের রাফাহ অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত বিতর্কিত স্থানগুলোতে ত্রাণ আনতে যান তারা।
যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল সমর্থিত ও ইসরাইলি সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পরিচালিত জিএইচএফের কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ সংগ্রহকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। গাজা কর্তৃপক্ষ ও সমালোচকেরা এই ত্রাণ কেন্দ্রগুলোকে ‘মানব কসাইখানা’ আখ্যা দিয়েছেন। জিএইচএফ গত ২৭ মে থেকে কার্যক্রম শুরু করার পর এসব স্থানে ত্রাণ নিতে গিয়ে তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন হাজারের বেশি মানুষ।  

ইরানের সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বিনিময়ের মধ্যেও ইসরাইলি বাহিনী গাজায় তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। 

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ২০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি হামলায় ৫৫ হাজার ৩৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহতের সংখ্যা এক লাখের বেশি। এ ছাড়া ২০ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর