বাচ্চার জন্য দুধ চুরি : সেই ‘দুধ চোর’ বাবাকে চাকরি দিচ্ছে স্বপ্ন

প্রকাশিত :  ১৯:৩৫, ১১ মে ২০১৯

বাচ্চার জন্য দুধ চুরি : সেই ‘দুধ চোর’ বাবাকে চাকরি দিচ্ছে স্বপ্ন

জনমত রিপোর্ট ।। বাচ্চার জন্য দুধ চুরি- সন্তানের ক্ষুধার \r\nযন্ত্রণা মেটাতে দুধ ‘চুরি’ করা সেই বাবার পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে \r\nস্বপ্ন সুপার শপ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) খিলগাঁও জোনের সহকারী \r\nকমিশনার জাহিদুল ইসলামের আবেগঘন স্ট্যাটাসটি নজরে আসার পর ওই বাবাকে চাকরি \r\nদেয়ার ব্যবস্থা করছে স্বপ্ন।

স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির ওই বাবা ও তার সন্তানের দায়িত্ব নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

স্বপ্ন’র হেড অফ মার্কেটিং তানিম করিম \r\nপরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘ঘটনাটি হৃদয়বিদারক। তাই সেই বাবাকে আমাদের কোম্পানি\r\n চাকরি দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের প্রশাসন যাবতীয় নিয়ম মেনে \r\nতাকে চাকরি দেয়ার জন্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল রোববার স্বপ্নের \r\nনির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির ওই বাবার ইন্টারভিউ নিবেন। যোগ্য হলে\r\n তাকে ওইদিনই যোগদান করাবেন।’

তানিম করিম আরও বলেন, ‘আপতত আগামী এক মাস \r\nচলার জন্য যা যা বাজার প্রয়োজন, তা আমরা বিনামূল্যে তার হাতে তুলে দেব। \r\nপরবর্তীতে তার উপযোগী যে চাকরি আমাদের কোম্পানিতে রয়েছে, সেখানেই আমরা তাকে\r\n নিয়োগ দেব। যে পুলিশ কর্মকর্তা এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন, আমরা তার কাছ থেকে \r\nওই ব্যক্তির নাম্বার নিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।’

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক ওয়ালে\r\n এক স্ট্যাটাসে হৃদয়বিদারক একটি ঘটনার বর্ণনা দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের \r\n(ডিএমপি) খিলগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার জাহিদুল ইসলাম।

শনিবার রাতে খিলগাঁওয়ে চেকপোস্টে তদারকি \r\nকরার সময় হঠাৎ এক জায়গায় মানুষের হট্টগোল দেখতে পান তিনি। পরে তিনি জানতে \r\nপারেন, চুরি করায় একজনকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। তিন মাস ধরে তার চাকরি না \r\nথাকায় বাচ্চার জন্য দুধ কেনার টাকা জোগাতে না পেরে স্বপ্ন সুপার শপের একটি \r\nশোরুম থেকে তিনি দুধ চুরি করেছেন।

\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n

তখন পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদ ওই ব্যক্তিকে মারমুখো জনতার হাত থেকে রক্ষা করেন এবং সবকিছু শুনে চুরি করা দুধের দাম পরিশোধ করে দেন।

বাংলাদেশ এর আরও খবর

গ্রামে বেড়েছে তালাক, বড় কারণ পরকীয়া

প্রকাশিত :  ০৯:২৫, ২৮ মার্চ ২০২৪

সারাদেশে বিয়ের হার কমেছে। পাশাপাশি কমেছে তালাকের হারও। তবে শহরের তুলনায় তালাকের হার গ্রামে বেড়েছে। ২০২৩ সালে দেশে বিয়ের হার ছিল (প্রতি হাজারে) ১৫.৭, যা ২০২২ সালে ছিল ১৮.১। আর ২০২১ সালে ছিল ১৩.৫। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) থেকে এ তথ্য জানা যায়।

অন্যদিকে তালাক দেওয়ার হারও কমে ১.১ শতাংশ হয়েছে, ২০২২ সালে যা ছিল ১.৪ শতাংশ। ২০২১ সালে এ হার ছিল ০.৭ শতাংশ। বিবিএসের বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে গ্রামে তালাক বাড়ার বড় কারণ বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক। জরিপে উত্তরদাতাদের প্রায় ২৩ শতাংশ এই কারণ দেখিয়েছেন।

দেশে তালাক ও বিচ্ছেদ কমেছে

২০২২ সালে বিয়ে বেশি হওয়ার বিষয়ে সমাজ বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, ২০২০-২১ সময়কালে করোনা মহামারির কারণে অনেক বিয়েশাদি হয়নি। করোনা-পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালে তাই বিয়ের হার বেড়ে গিয়েছিল। ২০২৩ সালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় তা কমেছে।

গ্রামে তালাক বেশি

বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, শহরে বিয়ের হার কম। ২০২৩ সালে ছিল প্রতি হাজারে বিয়ে ১২, গ্রামে এই হার ১৬.৮। ২০২২ সালে শহরে বিয়ের হার ছিল ১৩.৮ আর গ্রামে ১৯.৫। আবার অপরদিকে তালাকের হার গ্রামে বেশি, ২০২৩ সালে ছিল ১.১ শতাংশ। এর আগের বছর ছিল ১.৪ শতাংশ। আর শহরে এ হার ০.৯ শতাংশ, এক বছর আগে ছিল ১.০ শতাংশ।

তালাকের কারণ

বিবিএসের জরিপের দেখা যায়, তালাকের বড় কারণ বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক। জরিপে উত্তরদাতাদের প্রায় ২৩ শতাংশ এই কারণ দেখিয়েছেন। এর পর রয়েছে দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতাকে কারণ হিসেবে বলেছেন ২২ শতাংশ। ভরণপোষণের ব্যয় বহন করতে অক্ষমতা অথবা অস্বীকৃতি, পারিবারিক চাপ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন অক্ষমতা বা অনীহা ইত্যাদিও রয়েছে তালাকের কারণের তালিকায়।