গুলিসহ পিস্তল উদ্ধার

img

গৃহবধূ খুনের ৫ ঘণ্টার মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ খুনী নিহত

প্রকাশিত :  ০৭:৫৯, ১২ মে ২০১৯

গৃহবধূ খুনের ৫ ঘণ্টার মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ খুনী নিহত
বুবলির বাবার বাড়ির পাশের একটি বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বাড়িটি থেকে দুই হাতে দুটি পিস্তল

জনমত রিপোর্ট ।। চট্টগ্রাম নগরে এক গৃহবধূকে গুলি করে হত্যার পাঁচ ঘণ্টার মাথায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অভিযুক্ত যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চার পুলিশ সদস্য। শনিবার রাতে বাকলিয়া থানার বলিরহাট এলাকায় গুলিতে নিহত হন গৃহবধূ বুবলী আক্তার (২৮)। পরে আজ  ভোরে কর্ণফুলী নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন অভিযুক্ত শাহ আলম।

বুবলী আক্তারের (২৮) বাবার বাড়ি বাকলিয়ার বজ্রঘোনা এলাকায়। তার স্বামীর নাম আকরাম হোসেন। বুবলী বজ্রঘোনা এলাকায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আবদুর রউফ গণমাধ্যমকে জানান, বজ্রঘোনা এলাকার যুবক শাহ আলমের সঙ্গে স্থানীয় হাসান নামের এক যুবকের বিরোধ ছিল। এই হাসান বুবলীদের আত্মীয় ও তার ভাই রুবেলের বন্ধু। শনিবার রাতে হাসানের সঙ্গে বিরোধের জেরে রুবেলকে মারার জন্য অস্ত্র হাতে খুঁজছিল শাহ আলম।

পরে রুবেলকে না পেয়ে তার বোন বুবলীকে গুলি করে হত্যা করে।

ছবি: আহত ওসি নেজাম উদ্দিন 
আসামিদের গুলিতে আহত বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) নেজাম উদ্দিন
আরও জানান, পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে খুনি শাহ আলম বজ্রঘোনার কল্পলোক আবাসিক এলাকায় অবস্থান করছে। এমন খবরে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শাহ আলম ও তার সহযোগীরা গুলি ছোঁড়ে। এতে বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিনসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে শাহ আলমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে বুবলী খুনের ঘটনায় জড়িত আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- শাহ আলমের ভাই নুরুল আলম ও সহযোগী মো. নবী। 

img

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

প্রকাশিত :  ১২:০৯, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ ও স্থবির হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গরম যেন কমছেই না সীমান্তবর্তী এ জেলায়। বৈশাখের শুরু থেকেই কখনও মৃদু থেকে মাঝারি আবার কখনও তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চলতি মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে জেলার তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল জনজীবন। 

শুক্রবার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গার আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১১ শতাংশ।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপ। তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়ায় চারপাশে। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বাইরে নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, ইজিবাইকচালক ও ভ্যান-রিকশাচালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদের। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না। ছন্দপতন ঘটছে দৈনন্দিন কাজকর্মে।

এদিকে রোদের প্রখরতা এত বেশি যে গলতে শুরু করেছে রাস্তার বিটুমিন। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। এ অবস্থা আরও কিছুদিন চলতে পারে। তবে এখনই বৃষ্টি বা ঝড়ের সম্ভাবনা নেই।’