img

আম খাওয়ার পর যে ৫ খাবার খাবেন না

প্রকাশিত :  ১২:২৪, ২১ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩২, ২১ মে ২০২৪

আম খাওয়ার পর যে ৫ খাবার খাবেন না

সুমিষ্ট ফল আম শুধু আমাদের স্বাদে তৃপ্তিই জোগায় না, পুষ্টিরও জোগান দেয়। এতে প্রচুর ভিটামিন সি, বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও খনিজ লবণসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আছে। 

তবে আম খাওয়ারও আছে কিছু নিয়ম-কানুন। আম খাওয়ার ঠিক পরপরই কিছু খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।

পানি: আম খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করলে পেটে ব্যথা হতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, আম খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। গ্যাস জমতে পারে। আম খাওয়ার অন্তত ৩০-৬০ মিনিট পর পানি পান করা উচিত।

করলা: আমের সঙ্গে করলার খানিকটা শত্রুতা আছে। তাই আমের পর করলার তরকারি খেলে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হতে পারে।

দই: আম খেয়েই দই খাবেন না। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, আমের সঙ্গে বা ঠিক পরপরই দই খেলে শরীরে শর্করা হঠাৎ বেড়ে যায়। এতে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়। অন্যদিকে ত্বকেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে এক ধরনের বিষক্রিয়াও হতে পারে।

কোমল পানীয়: আম খাওয়ার পরপরই কোমল পানীয় খেলে ডায়াবেটিস অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে। কারণ দুটোই চিনিতে ভর্তি। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা ভুলেও কাজটি করবেন না।

মসলাযুক্ত খাবার: আম খেয়েই মসলাযুক্ত খাবার খেতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। এতে হজমে সমস্যা হতে পারে। ত্বকের জন্যও এটা ক্ষতিকর।

 

img

ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখবে ড্রাই ফ্রুটস

প্রকাশিত :  ০৮:২৪, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অল্প বয়সি মানুষের মধ্যে আজকাল রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী। 

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া মানেই নানা রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকা। তাই রক্তচাপের মাত্রা বশে রাখা জরুরি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রেণে রাখতে অনেকেই নানা নিয়ম মেনে চলেন। জানেন কী ড্রাইফ্রুটস রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা যেসব ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারবেন: 

কাঠবাদাম

কাঠবাদামে যেসব উপাদান রয়েছে যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ‘জার্নাল অফ নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, কাঠবাদাম রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া কাঠবাদামে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম যা রক্ত চলাচল সচল রাখে।

আখরোট

হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আখরোট ভীষণ কার্যকরী। এতে রয়েছে ওমেগা ৩ যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রক্তচাপ বেড়ে গেলে আখরোট ওষুধের মতো কাজ করে। আখরোটে থাকায় ‘আলফা লিনোলেনিক’ এসিড প্রদাহজনিত সমস্যার সমাধান করে।

কিশমিশ

ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের কিশমিশ বারণ হলেও উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা চাইলে কিশমিশ খেতে পারেন। ‘আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিয়োলজি’-র সমীক্ষা জানাচ্ছে, দিনে তিনবার কিশমিশ খেলে কমবে রক্তচাপের মাত্রা।

পেস্তা

পেস্তা দারুণ একটি ড্রাই ফ্রুটস। উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ হিসেবে এর জুড়ি মেলা ভার। পেস্তা ‘সিস্টোলিক’ উচ্চ রক্তচাপ কমায়। পেস্তায় রয়েছে পটাশিয়াম যা হৃদয় সুরক্ষিত রাখে।