img

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কে চাকরির সুযোগ, আবেদন ১০ জুনের মধ্য

প্রকাশিত :  ১১:২৩, ০৪ জুন ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৫, ০৪ জুন ২০২৪

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কে চাকরির সুযোগ, আবেদন ১০ জুনের মধ্য

জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটি তিন ক্যাটাগরির পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহীদের ১০ জুনের মধ্য আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: সহকারী পরিচালক (প্রশাসন)

পদসংখ্যা: ১টি (গ্রেড-৯)

আবেদনের যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণির স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি অথবা দ্বিতীয় শ্রেণির সম্মানসহ দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষ হতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ থাকলে আবেদন করা যাবে না।

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

পদের নাম: স্টোর কিপার

পদসংখ্যা: ১টি (গ্রেড ১৪)

আবেদনের যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিসহ কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ থাকলে আবেদন করা যাবে না।

বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা

টাকা (গ্রেড-১৪)

পদের নাম: কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক কাম অফিস সহকারী

পদসংখ্যা: ২টি

যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিসহ কম্পিউটার পরিচালনায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। বাংলা ও ইংরেজি টাইপিংয়ে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ২০ শব্দ থাকতে হবে।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

বয়সসীমা: বয়সসীমা অনূর্ধ্ব ৩০ বছর। তবে বিভাগীয় প্রার্থী, মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীর ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

আবেদন ফি: সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পদের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফি টেলিটকের সার্ভিস চার্জসহ ৬৬৯ টাকা এবং স্টোর কিপার ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক কাম অফিস সহকারী পদের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফি টেলিটকের সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা।

আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে। এই ওয়েবসাইটে আবেদনের বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

চাকরি এর আরও খবর

img

পাঁচ লাখ জব ভিসা দেবে ইতালি

প্রকাশিত :  ১০:৪২, ০১ জুলাই ২০২৫

মো : ফেরদৌস আহমেদ: শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় বৈধ অভিবাসন বাড়াতে নতুন করে ৫ লাখ ‘ওয়ার্ক পারমিট ভিসা’ ইস্যু করবে ইতালি। গতকাল সোমবার (৩০ জুন) দেশটির মন্ত্রিসভার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈধ অভিবাসন চ্যানেল সম্প্রসারণের কৌশলের অংশ হিসেবে ইতালি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৬ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকদের জন্য নতুন কর্ম ভিসা ইস্যু করা হবে।

আগামী বছর মোট ১৬৪,৮৫০ জনকে অনুমতি দেওয়া হবে। এরপর ধাপে ধাপে ২০২৮ সালের মধ্যে মোট ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫৫০ জন নতুন কর্ম ভিসায় ইতালি যেতে পারবেন।

প্রায় ৩ বছর আগে ডানপন্থি জোটের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ভিসা নীতি সহজ করে আসছেন। বিপুল বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে এটি তার দ্বিতীয় পদক্ষেপ। সরকার এরই মধ্যে ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীর জন্য পারমিট ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নতুন কর্মীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার নিয়মের পাশাপাশি মেলোনি অবৈধ আগমনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। প্রত্যাবাসন দ্রুততর করার এবং ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীদের উদ্ধারকারী দাতব্য সংস্থাগুলোর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রিসভার বিবৃতিতে বলা হয়, সামাজিক অংশীদারদের দ্বারা প্রকাশিত চাহিদা এবং পূর্ববর্তী বছরগুলোতে জমা দেওয়া ওয়ার্ক পারমিটের জন্য প্রকৃত আবেদনগুলো বিবেচনা করে কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যবসার চাহিদা পূরণ করে এবং বাস্তবসম্মত হওয়ার লক্ষ্যে এমন একটি কর্মসূচির হাতে নেওয়া হলো।

ইতালির জনসংখ্যা দিন দিন কমছে। দেশটির প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে, শিশু জন্মহার কমছে। ২০২৪ সালে মৃত্যুর সংখ্যা জন্মের তুলনায় ২ লাখ ৮১ হাজার বেশি ছিল। সেই বছর দেশটির মোট জনসংখ্যা ৩৭ হাজার কমে দাঁড়ায় ৫ কোটি ৮৯ লাখ ৩০ হাজারে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদেশি শ্রমিকের প্রয়োজন ক্রমেই বাড়ছে।

কৃষিখাতে কর্মী সংকট মোকাবিলায় সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে কৃষি লবি গ্রুপ কোলদিরেত্তি। তারা বলেছে, এই সিদ্ধান্ত মাঠে শ্রমিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং খাদ্য উৎপাদন ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতেও পিয়ান্তেদোসি রোববার ইতালির দৈনিক পত্রিকা লা স্তাম্পা-কে বলেন, \'আমাদের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর জন্য বৈধ অভিবাসনের পথ চালু রাখতে সরকার নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।\'

ইতালির একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান \'ওসেরভাতোরিও কন্তি পাবলিচি\'-র এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দেশটিতে বর্তমানে জনসংখ্যার পতন ঠেকাতে এবং জনসংখ্যা ধরে রাখতে হলে ২০৫০ সালের মধ্যে কমপক্ষে ১ কোটি অভিবাসীকে গ্রহণ করতে হবে।