img

সঠিক ঘুমেই কমবে পেটের মেদ

প্রকাশিত :  ১২:১৭, ০৪ জুন ২০২৪

সঠিক ঘুমেই কমবে পেটের মেদ

পেটের মেদ বেড়ে যাওয়া নিয়ে অনেকের চিন্তার শেষ নেই। অফিসে বা বন্ধুদের আড্ডায় এ নিয়ে প্রায়ই খোঁচা খেতে হয়। দাম্পত্য জীবনেও বাদ যায় না মন কষাকষি। পেটের মেদ কমাতে অনেকে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন বা জিমে ভর্তি হওয়া, অনেক কিছুই করে থাকেন। তবে ঘুমের ধরন পরিবর্তন করেও সুফল পাওয়া যায়। ঘুমের আগে কিছু অভ্যাস গড়ে নিলে ওজন কমানোর প্রাকৃতিক সুফল মিলবে। 

আপনি ঘুমিয়ে গেলেও আপনার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কার্যকরী থাকে। অর্থাৎ দেহের শক্তি ক্ষয় ঘুমেও হয়। এ সময় কিছু ক্যালরিও খরচ হয়। সারারাত ঘুমের সময় বাড়তি ওজন নিঃশ্বাস এবং ঘামের মধ্যেই বের হয়। সকালে ঘুম ভাঙার পর ওজন মাপলে দেখা যাবে কিছুটা কম। 

তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। উলটো ঘুম ঠিকঠাক না হলে শরীরে ওজন বাড়ে। কারণ ঘুম না হলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল ক্ষরণ হয়। এতে হজমের সমস্যা ও বিপাকে সমস্যা হয়। ফলে রাতে আজেবাজে খাবার গ্রহণের মাত্রা বাড়ে ও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা চড়তে শুরু করে। এতে ওজন বাড়বে স্বাভাবিক। 

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, সঠিক ঘুম পেটের মেদ কমিয়ে দিতে পারে।

জেনে নেওয়া যাক ঘুমের সঠিক নিয়মগুলো-

# অন্ধকার ঘর শরীরে মেলাটোনিন তৈরিতে সহায়তা করে। এটি মেলাবটিক রেটকে প্রভাবিত করে, যা মেদ কমাতে সাহায্য করে।তাই ঘুমানোর আগে ঘর অন্ধকার রয়েছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। ঘরের পর্দাগুলো টেনে দিন, যাতে ঘরে জানালা দিয়ে সামান্য আলোও না আসতে পারে।

# যথাসময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। এর ফলে ঘুম গভীর হবে, যা শরীরের ক্যালরি বেশি পোড়াতে ও মেদ কমাতে সাহায্য করে। গভীর ঘুমের সময় মস্তিষ্ক সবচেয়ে বেশি কার্যকর থাকে।তখন শরীরের শক্তি ব্যবহার করে মেদ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমালে ঘুম ভালো হয়।

# ঘুমানোর জন্য ঘরের সঠিক তাপমাত্রাও জরুরি। কারণ, ঘরের তাপমাত্রা ঠিক থাকলে শরীরের ব্রাউন ফ্যাট (ভালো মেদ) বেশি কাজ করে এবং অতিরিক্ত মেদের সেলগুলো পুড়িয়ে ফেলে।

# ঘুমের সময় দ্রুত ক্যালরি পোড়াতে ঘুমের আগে গ্রিন টি পান করতে পারেন। গ্রিন টিতে ক্যাফেইন থাকার কারণে এটি মেটাবোলিজম রেট বাড়ায়।

# ঘুমের আগে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করবেন না। এর নীল আলো শরীর থেকে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণে বাধার সৃষ্টি করে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।


img

ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখবে ড্রাই ফ্রুটস

প্রকাশিত :  ০৮:২৪, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অল্প বয়সি মানুষের মধ্যে আজকাল রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী। 

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া মানেই নানা রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকা। তাই রক্তচাপের মাত্রা বশে রাখা জরুরি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রেণে রাখতে অনেকেই নানা নিয়ম মেনে চলেন। জানেন কী ড্রাইফ্রুটস রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা যেসব ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারবেন: 

কাঠবাদাম

কাঠবাদামে যেসব উপাদান রয়েছে যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ‘জার্নাল অফ নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, কাঠবাদাম রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া কাঠবাদামে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম যা রক্ত চলাচল সচল রাখে।

আখরোট

হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আখরোট ভীষণ কার্যকরী। এতে রয়েছে ওমেগা ৩ যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রক্তচাপ বেড়ে গেলে আখরোট ওষুধের মতো কাজ করে। আখরোটে থাকায় ‘আলফা লিনোলেনিক’ এসিড প্রদাহজনিত সমস্যার সমাধান করে।

কিশমিশ

ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের কিশমিশ বারণ হলেও উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা চাইলে কিশমিশ খেতে পারেন। ‘আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিয়োলজি’-র সমীক্ষা জানাচ্ছে, দিনে তিনবার কিশমিশ খেলে কমবে রক্তচাপের মাত্রা।

পেস্তা

পেস্তা দারুণ একটি ড্রাই ফ্রুটস। উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ হিসেবে এর জুড়ি মেলা ভার। পেস্তা ‘সিস্টোলিক’ উচ্চ রক্তচাপ কমায়। পেস্তায় রয়েছে পটাশিয়াম যা হৃদয় সুরক্ষিত রাখে।