img

প্রচারণায় ‘গাজা সেন্টিমেন্ট’

প্রকাশিত :  ১৭:০৩, ০৭ জুন ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:০১, ০৭ জুন ২০২৪

টাওয়ার হ্যামলেটসের আসনগুলোতে যারা লড়ছেন

প্রচারণায় ‘গাজা সেন্টিমেন্ট’

জনমত রিপোর্ট: পূর্ব লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস বারার একটি সংসদীয় আসনের নির্বাচনী প্রচারণায় ফিলিস্তিনীদের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসণের ‘সেন্টিমেন্ট’ প্রধান হয়ে ওঠবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সারা দেশেই মুসলমান ভোটার অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট এমপি প্রার্থীদের এখন ছড়াছড়ি। তাও কোন কোন আসনে ‘গাজা ইস্যু’তে একাধিক প্রার্থী প্রতিন্দন্দ্বিতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সপ্তাহান্তে প্রার্থী তালিকা চুড়ান্ত হওয়ার পরে জানা যাবে মোট কতজন দাড়িযেছেন কোন আসনে।  বিরোধী দল হিসেবে লেবার পার্টি ‘গাজা যুদ্ধ’ বন্ধ করার দাবিটুকু না জানানোর প্রেক্ষিতে সারাদেশের বিপুল সংখ্য ভোটারদের মধ্যে যে ক্ষোভ বিরাজ করছে, সেটাকে পূঁজি করেই অনেকেই এবার বিভিন্ন আসানে আবিভূর্ত হয়েছেন।

তবে, টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রীন এন্ড বো’র (সীমানা পরিবর্তনের ফলে এই আসনের বর্তমান নাম হচ্ছে বেথনাল গ্রিন এন্ড স্টেপনি) এমপি হিসেবে রুশনারা আলী গাজা ইস্যূতে পার্লামেন্টে যে ভূমিকা রেখেছেন, তা তাঁর অনেক ভোটারেরই পছন্দ হয়নি এবং তারা গত কয়েক মাস ধরেই তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন। এমনকি এমপির (প্রথম পাতার পর) অফিসের সামনেও বিক্ষোভ করেছেন ভোটাররা। তাই, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হতে ‘মানুষের অনুভূতি’কে কাজে লাগিয়ে ‘এমপি’ হওয়ার তৎপরতা শুরু করেছেন অনেক প্রার্থী। স্থানীয় কমিউনিটির পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলি নিয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য বা পরিকল্পনার কথা অনেক প্রার্থীর কাছ থেকে এখনো না শোনা গেলেও ‘গাজা ইস্যূ’ নিয়ে উচ্চকিত প্রার্থীদের নিয়ে তাই নানা বিশ্লেষণ চলছে কমিউনিটির মধ্যে।


উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক গত ২২ মে, আকস্মিকভাবেই ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করে জাতিকে — এমনকি অনেক রক্ষণশীল এমপি এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের অবাক করে দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী প্রচারণা। গত সপ্তাহে পার্লামেন্ট আনষ্ঠানিকভাবে ভেঙ্গে দিয়েছেন রাজা। এর পরই আনুষ্ঠানিক দিন গণনা শুরু হয়ে যায়।

৪ জুন প্রধান দুই দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক এবং বিরোধী দলীয় নেতা স্যার কেয়ার স্টারমার প্রথম টিভি বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন। ধীরে ধীরে নির্বাচনীয় প্রচারণা গতি পেতে শুরু করেছে। এই প্রতিবেদন যখন পাঠক পড়ছেন, তখন নিশ্চিত হয়ে গেছে কোন আসনে কোন দল থেকে বা ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রার্থী হয়েছেন কারা। গোটা দেশে ৬৩২ জন লেবার প্রার্থীর মধ্যে কতজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী রয়েছেন, সেটা এই মুহূর্তে বলা না গেলেও এটা নিশ্চিত চার জন সদ্য সাবেক এমপি, রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক, ড. রূপা হক এবং আপসানা বেগম এবারও দলীয় টিকেট পেয়েছেন। সাউথ নর্দাম্পটনশায়ার আসন থেকে লেবারের টিকেট পেয়েছেন সেখানকার কাউন্সিলর ও সাবেক মেয়র রুফিয়া আশরাফ। এবারডিনের গর্ডন এন্ড বুচান আসনে লেবার প্রার্থী হিসেবে লড়বেন স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুল আলী।

ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের প্রধানতম জনপদ পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার দলের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও অতীতে একাধিকবার নানা পরিবর্তন ঘটেছে এখানে। ভোটাররা প্রথাসিদ্ধ পথে না হেঁটে ভিন্ন অবস্থান নিয়ে টাওয়ার হ্যামলেটসের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রতার মত ভোটের বৈচিত্র তুলে ধরেছেন দেশের সামনে।

সর্বশেষ পার্লামেন্টে ব্রিটিশ বাংলাদেশী হিসেবে ৪ জন এমপি থাকলেও, বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের একটি আসনের  (বেথনাল গ্রিন এন্ড বো) এমপি রুশনারা আলীকে নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই চলছে নানা আলোচনা। গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কমিউনিটির অবস্থান সুস্পষ্ট হলেও কমিউনিটিরই প্রতিনিধি হিসেবে এমপি রুশানারা এবং তার দল লেবার পার্টির অবস্থান সম্পুর্ণ পরিষ্কার না থাকায় জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার আভাস পাওয়া গেছে। সেই ‘সেন্টিমেন্ট’কে কাজে লাগাতে চান বেথনাল গ্রিন এন্ড স্টেপনি আসনের কিছু প্রার্থী। বেশিরভাগ প্রার্থীই এই সেন্টিমেন্টর কথাই তুলে ধরায় ভোটারগণ বিভ্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। স্থানীয় এবং জাতীয় কিছু বিষয় আশয় রয়েছে যা ভোটারদের নিজেদের জীবনমানে প্রভাব পড়বে সে কথাগুলো শোনা যাচ্ছে কম।


তবে রুশনারা আলী তার ক্যাম্পেইন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে দৃঢ়তার সাথে তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং প্রতিপক্ষের বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিভ্রান্ত না হতে বাসিন্দাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে টাওয়ার হ্যামলেটসে ছিলো দুটি সংসদীয় নির্বাচনী এলাকাঃ পপলার এন্ড লাইমহাউস এবং বেথনাল গ্রিন এন্ড বো। আগামী ৪ জুলাইয়ের নির্বাচনে আসন হবে তিনটিঃ পপলার এন্ড লাইমহাউস, বেথনাল গ্রিন এন্ড স্টেপনি এবং বো এন্ড স্ট্রাটফোর্ড।

৩০ মে সংসদ ভেঙে যাওয়ার আগে, টাওয়ার হ্যামলেটসে বারায় দুইজন সাংসদ ছিলেন: লেবার পার্টির আপসানা বেগম প্রতিনিধিত্ব করেন পপলার এন্ড লাইমহাউসের এবং লেবার পার্টির  রুশনারা আলী বেথনাল গ্রিন এন্ড বো’র প্রতিনিধিত্ব করেন। এবার, এই বারায় তৃতীয় একজন এমপি বানানোর জন্য ভোট দেওয়া হবে।

নির্বাচনী শিডিউল অনুযায়ি ৭ জুন হচ্ছে নমিনেশন জমা দেয়ার শেষ সময়। তাই চূড়ান্তভাবে কোন আসন থেকে কে কে প্রার্থী হয়েছেন তা এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা না গেলেও, নানা সূত্র অনুযায়ি বেথনাল গ্রিন এন্ড স্ট্যাপনি আসন থেকে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে।

লেবার দলীয় প্রার্থী রুশনারা আলীর পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন লিবারেল ডেমোক্র্যাট প্রার্থী রাবিনা খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আজমল মাসরুর, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টির জোনাথন মাবুট; এবং রিফোর্ম ইউকে’র প্রার্থী পিটার স্কেটস। এই আসনে গ্রিন পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিলো এলিজাবেথ ওয়েট এর। কিন্তু তিনি অনলাইনে ‘এন্টি—সেমিটিজন’ এর শিকার হওয়ার অভিযোগ করে নির্বাচনী দৌড় থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করার পরে গ্রিন পার্টি নতুন একজন প্রার্থীকে পুনঃনির্বাচনের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বলে জানা গেছে।

এই আসনে ‘গাজা সেন্টিমেন্ট’কে পূঁজি করে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ, প্রচারণা চলছে অনেক দিন ধরেই। ইন্টার‌্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস এর জন্য একটি টুইট ক্যাম্পেইন শুরু করে আলোচনায় আসা  মোহাম্মদ আকঞ্জী বেথনাল গ্রিন এন্ড স্টেপনি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলে শুরু হয় অন্য খেলা। রুশনারা আলীকে ‘ধরাশায়ী’ করতে ‘গাজা সেন্টিমেন্ট’ এর ভোট এক বাক্সে ফেলতে আজমল মাশরুর ও মোহাম্মদ আকঞ্জির মধ্য থেকে একজনকে প্রার্থী করার তোড়জোড় শুরু হয়। একই ‘সেন্টিমেন্টের’ ভোট পেতে অনেক জন প্রার্থীর ‘আবির্ভাব’ নিয়েও কমিউনিটিতে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত কমিউনিটি কোয়ালিশন নামের একটি ফোরামের প্রার্থী আজমল মাশরুরকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান আকঞ্জি।

আরেক জন  স্বতন্ত্র প্রার্থী শাম উদ্দিনও দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে তাঁর লিঙ্কডইনে লিখেছিলেন যে তিনি ‘যা—ই ঘটুক না কেন বেথনাল গ্রিন এবং স্টেপনি নির্বাচনী এলাকায় এমপি প্রার্থী হিসাবে সরে দাঁড়াবেন না’।

উল্লেখ্য, স্বতন্ত্র প্রার্থী আজমল মাশরুর এর আগে আরও দুই বার রুশনারা আলীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ২০১৭ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পেয়েছিলেন ৩৮৮৮ ভোট আর রুশনারা পেয়েছিলেন ৪২৯৬৯ ভোট। এর আগে আরও একবার ২০১০ সালে লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাড়িয়েছিলেন আজমল মাশরুর। ঐ সময় তিনি ১০২১০ ভোট পান। তখন রুশনারা আলী ২১৭৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ২০১০ এর নির্বাচনে আরও দুই জন ব্রিটিশ বাংলাদেশী প্রার্থী উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভোট পেয়েছিলেন। রেসপেক্ট পার্টির প্রার্থী হিসেবে আবজল মিয়া ৮৫৩২ ভোট এবং কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী হিসেবে জাকির হোসেন খান ৭০৭১ ভোট পেয়েছিলেন।

স্ট্রাটফোর্ড এবং বো—এর নতুন নির্বাচনী এলাকায়, লেবার প্রার্থী উমা কুমারান সহ সাতজন প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন।  বাকি ৬ জন হচ্ছেন  কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন  কেন ব্ল্যাকওয়েল; গ্রিন পার্টির প্রার্থী জো হাডসন—স্মল; ব্রিটেনের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হালিমা খান; স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিওনা লালী ও নিজাম আলী; এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জেনি লিটল। নমিনেশন দাখিল ও প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত এই তালিকাকে চূড়ান্ত বলা যাবে না।

লেবার পার্টির এমপি আপসানা বেগম পপলার এবং লাইমহাউসে তার আসন ধরে রাখার জন্য প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। যদিও, তাকে ‘সরিয়ে দেয়ার’ নানামুখি দলীয় প্রয়াস বেশ কয়েক মাস ধরেই চলে আসছিলো। ‘গাজা ইস্যুতে’ দলীয় অবস্থানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে ও রাজপথে  তার অবস্থান তাঁর সংসদীয় এলাকার জনসাধারণের প্রশংসা ও সমর্থন পেলেও দলেরই একটি অংশ তাকে ‘ডিসেলেক্ট’ করার প্রক্রিয়া জোরেসুরে চালাচ্ছিল। কিন্তু আকস্মিকভাবে নির্বাচন ঘোষণা করায় সম্ভবত এই যাত্রায় তিনি ‘টিকে’ গেলেন। স্থানীয় লেবার সদস্যরা এই আসনে নতুন করে  এমপি প্রার্থী ‘সিলেকশন’ প্রক্রিয়া শুরুর জন্য সর্বাত্মক চেষ্ঠা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত ‘সময় স্বল্পতা’র কারণে সফল হননি। একজন সিটিং এমপিকে সরাতে তাদের এই ‘চেষ্ঠা’ স্থানীয় ভোটাররা পছন্দ করছিলেন না বলে শোনা যাচ্ছিলো। যদি এই আসনে কোন পরিবর্তন আসতো, তাহলে তাঁর ঢেউ পার্শ্ববর্তী আসন বেথনাল গ্রিন এন্ড স্টেপনি—তে পরতো এবং লেবার প্রার্থীর জন্যও কাল হতে পারতো বলে গত কয়েক দিন ধরে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আলোচনা চলছিলো।

পপলার এন্ড লাইমহাউজ আসনে লেবার দলীয় সদ্য সাবেক এমপি আপসানা বেগমের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছেন ৪ জন প্রার্থী, তারা হলেন, গ্রিন পার্টির ন্যাথালি বিনফাইট, লিবারেল ডেমোক্র্যাটের রিচার্ড ফ্লাওয়ারস; রিফোর্ম ইউকে পার্টির টনি গ্লোভার; এবং ওয়ার্কার্স পার্টি ব্রিটেন এর কামরান খান। 

এই আসনে এখন পর্যন্ত সেই অর্থে প্রভাব ফেলতে পারার মত কোন প্রার্থীর নাম শোনা না যাওয়ায় আপসানা বেগম আসনটি অনায়াসেই ধরে রাখতে পারবেন বলে সহজেই অনুমান করা যায়। এটি বরাবরই লেবার পার্টির সেফ সিট।

এদিকে হঠাৎ করে নির্বাচন ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতাসীন টোরি পার্টিই এখন সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে। গোটা দেশে প্রায় ১৫০ জন প্রাথী নতুন করে খঁুজতে হচ্ছে, কারণ দলের রেকর্ড সংখ্যক এমপি এবার না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার ৪ জুন জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় লেবার তার অনুমোদিত প্রার্থীদের সম্পূর্ণ তালিকা ঘোষণা করে।

নির্বাচনের দিনে ১৮ বা তার বেশি বয়সের নির্বাচনী রেজিস্টারে থাকা যে কেউ স্থানীয় ভোটকেন্দ্রে সকাল ৭ টা থেকে রাত ১০ টার মধ্যে ভোট দিতে পারবেন। ভোট দেওয়ার যোগ্য হওয়ার জন্য, আপনাকে অবশ্যই একজন ব্রিটিশ নাগরিক হতে হবে, একজন যোগ্য কমনওয়েলথ নাগরিক বা ইউকে ঠিকানা সহ আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের নাগরিক হতে হবে।

ভোট দিতে লাগবে ফটো আইডি

ভোট দিতে এবার থেকে আপনাকে অবশ্যই ফটো আইডির একটি বৈধ ফর্ম দেখাতে হবে। পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বয়স্ক বা অক্ষম ব্যক্তির বাস পাস এবং ওয়েস্টার ৬০+ কার্ডের মতো ২২টি গ্রহণযোগ্য ফর্ম রয়েছে।

আপনার কাছে ফটো আইডির কোনো বৈধ ফর্ম না থাকলে, ২৬ জুন বুধবার বিকাল ৫ টার আগে একটি বিনামূল্যে ভোটার অথরিটি সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করুন।

আপনি যদি ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধিত হন কিন্তু জানেন যে আপনি ভোটদানের দিন যুক্তরাজ্যের বাইরে থাকবেন, আপনি পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করতে পারেন। পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করার শেষ তারিখ ১৯ জুন বুধবার বিকেল ৫টা।

আপনি একটি প্রক্সি ভোটের জন্য আবেদন করতে পারেন, অন্য কাউকে আপনার পক্ষে ভোট দেওয়ার অনুমতি দিয়ে। আপনি যদি ৩১ অক্টোবর ২০২৩ এর আগে একটি প্রক্সি ভোটের জন্য আবেদন করেন তবে আপনাকে ২৬ জুন বুধবার বিকেল ৫ টার আগে পুনরায় আবেদন করতে হবে।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

মালয়েশিয়ায় অগ্নিদগ্ধ দুই বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১৬:৩৫, ১২ অক্টোবর ২০২৪

মালয়েশিয়ায় রাসায়নিক কারখানার মধ্যে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩ বাংলাদেশির মধ্যে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এ দুই প্রবাসী শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় একজন ও শনিবার ভোর রাত ৩টায় আরেকজন মৃত্যুবরণ করেন। নিহতরা হলেন, মুন্সীগঞ্জের রাজ্জাক ভূঁইয়ার ছেলে জব্বার আলী ও একই জেলার আবুল কাশেমের ছেলে আবু তাহের।

অন্য আরেকজন মুন্সীগঞ্জের মহিউদ্দিনের ছেলে সালাম আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে মৃতদেহ দুটি হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে এই মৃতদেহ দুটি দেশে প্রেরণের আশ্বাস দেন প্রথম সচিব শ্রম এএসএম  জাহিদুর রহমান।

প্রথম সচিব জাহিদুর রহমান আরও জানান, কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কোম্পানির কাছ থেকে নিহত ও আহতের ক্ষতিপূরণ আদায়ে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মৃত ও আহত তিনজনের বাড়িই মুন্সীগঞ্জ জেলায়। তাদের আত্মীয়স্বজন ও এলাকার লোকজনের সঙ্গে হাইকমিশনের টিমের দেখা হয় হাসপাতাল ও মর্গে।


কমিউনিটি এর আরও খবর