img

শিগগিরই আন্দোলন আরও বেগবান হবে: ফখরুল

প্রকাশিত :  ১৩:২০, ১২ জুন ২০২৪

শিগগিরই আন্দোলন আরও বেগবান হবে: ফখরুল

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে চলমান আন্দোলন খুব শিগগিরই আরও বেগবান হবে বলে জানালেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (১২ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সংকট—উত্তরণনের পথ’ শীর্ষক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে আমাদের সামনে ভয়ংকর সংকট। একদিকে রাজনৈতিক সংকট, অন্যদিকে অর্থনৈতিক সংকট। এই সরকার বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামোকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আগেও করেছে, এখনও ভিন্ন কায়দায় করছে। এখন একটু শিক্ষিত হয়েছে, কিভাবে এটাকে ছদ্মবেশী আবরণ দেওয়া যায়। সেই আবরণ দিয়ে গণতন্ত্রের লেবাস পরিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সংবিধান কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। সত্যিকার অর্থে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অন্যদিকে সব অর্থনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে। এখন দেশপ্রেমিক প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরা কথা বলতে শুরু করেছেন। তারা দেখছে, এটা যদি চলতেই থাকে, তাহলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না।’ 

ফখরুল বলেন, ‘নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত যে অর্থনীতি, তার বিরুদ্ধে আজকে মানুষ জেগে উঠেছে। কিন্তু চূড়ান্ত বিজয় অর্জন সম্ভব হয়নি। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন দীর্ঘদিন করতে হয়েছে। নতুন সূর্যোদয় হবে। আমাদের আন্দোলন চলছে, সেটি আরো বেগবান হবে। জনগণ—এই সরকারকে চায় না। আমাদের জনগণের এ চাওয়াকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে।’ 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে বাম-ডান সবাই এক হয়েছে। হটকারীতা করার কোনো কারণ নেই। আলোচনা করে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। এই লড়াইয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির অনেক কাজ করতে হবে। সবাই মিলে এই ফ্যাসিবাদি সরকারের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আমাদের সবার লক্ষ্য এক। তরুণ আর যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। এ লড়াইটা আমাদের সবার। এ সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে আমরা জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে জনগণের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।’ 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। নীতি-নৈতিকতার চর্চা নেই। যা চলছে—সব নীতিহীনতা। সিন্দাবাদের দৈত্যের কাছ থেকে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হবে। এই দলের কাছ থেকে গণতন্ত্র একবার উদ্ধার করতে হয়েছিল। এখন গণতন্ত্র উদ্ধার করা আরো কঠিন। এরা গত ১৬ বছর দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। পৃথিবীতে  আরো অনেক বড় বড় স্বৈরাচার ছিল, তাদের পতন হয়েছে। এই সরকারেরও পতন হবে।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যপক আশরাফ আলী আকন, গণ-অধিকার পরিষদ (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ।   


img

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইইউ’র ২৭ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক চলছে

প্রকাশিত :  ০৮:৩৮, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:০৫, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭টি দেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক শুরু হয়েছে। এতে ২৭টি দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার।

আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক রফিকুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ৯ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশ ছাড়াও আরও একটি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

রফিকুল আলম বলেন, আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তন চ্যালেঞ্জ, রোহিঙ্গা ইস্যু প্রধান্য পাবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হবে।

জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক বলেন, ভারতের ভিসা না পাওয়ায় ইউরোপের কয়েকটি দেশ ফিনল্যান্ড, রোমানিয়ার মতো দেশে সশরীরে উপস্থিত না হয়ে বিকল্প পথে ভিসা দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছিল, কিন্তু নিজস্ব নীতির কারণে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভিসা পাওয়ার জন্য সশরীরে নয়াদিল্লি যাওয়ার বিকল্পে রাজি হয়নি।

রফিকুল আলম আরও বলেন, ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হবে। দিল্লিতে অবস্থান করে শেখ হাসিনা যেন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকে, ভারতে এ বিষয়টি নিশ্চিতে আহ্বান জানালেও এর কোনো উত্তর দেয়নি দেশটি।