img

বাস টার্মিনালে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড়, বাসের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা

প্রকাশিত :  ১২:১০, ১৪ জুন ২০২৪

বাস টার্মিনালে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড়, বাসের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা

ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে ঢাকা ছাড়ছে রাজধানীবাসী। ফলে মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে যাত্রীর তুলনায় বাসে সংকট রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা থেকে হবিগঞ্জ ও সিলেটের অন্যান্য এলাকাগামী বাসের কাউন্টারগুলোর সামনে যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষারত অবস্থায় থাকতে দেখা যায়।

কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা জানান, যানজটের কারণে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো ফিরতে দেরী হচ্ছে। বাস না আসায় আগাম টিকিট কাটা যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন। বাস আসলেই দ্রুত ছাড়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরে সরজমিনে রাজধানীর মহাখালী টার্মিনাল ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

সিলেটের বিয়ানীবাজারগামী বাসের অপেক্ষারত শাকিল আহমেদ বলেন, বাস সকাল ১১টায় ছাড়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী সাড়ে দশটার দিকে এসে বসে আছি। তবে গাড়ি না থাকায় এখনও ছাড়তে পারেনি। কাউন্টার থেকে জানানো হয়েছে তাদের বাস পথে আছে। আসলেই ছেড়ে দেবে।

সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলগামী এনা ট্রান্সপোর্টের টিকিট কাউন্টার থেকে  জানানো হয়, ঈদ উপলক্ষে গতকাল থেকে যাত্রীদের অনেক চাপ রয়েছে। তবে গাড়ির সংকট রয়েছে। যানজটের কারণে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো সঠিক সময়ে না ফেরায় যাত্রীরা ভোগান্তিতে পরেছেন। আমরা নতুন করে টিকিটও দিতে পারছি না। 

বিশেষ করে টাঙ্গাইলগামী যাত্রীরা অধিক ভোগান্তিতে পরেছেন। বাসের টিকিট কাটতে দীর্ঘলাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের। তবে বাস না থাকায় কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। 

তন্ময় নামে এক যাত্রী বলেন, ঘণ্টাখানেক সময় ধরে কাউন্টারের লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কখন বাস আসবে, কখন টিকিট কাটবো আর কখন বাড়ি যাবো আল্লাহ জানেন।

টাঙ্গাইলগামী নিরালা সুপার সার্ভিসের কাউন্টার থেকে জানায়, ঢাকা টাঙ্গাইল রোডে যাত্রী তুলনামূলক বেশি আর রাস্তাটা যানজটপ্রবণ। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো এখনও ফিরতে না পারায় তারা বাস ছাড়তে পারছেন না। আগে টিকিট কাটা সকল যাত্রী বাসে উঠতে না পারায় নতুন করে টিকিট দেওয়া বন্ধ রয়েছে।

তবে এর ব্যাতিক্রমও রয়েছে। যদিও তা সংখ্যায় খুবই কম। ঢাকা থেকে মাদারগঞ্জগামী ক্রাউন ডিলাক্সের যাত্রীদের ১২টা ৫৫ মিনিটে বাসে ওঠার জন্য বলা হয়। কাউন্টারের সামনে টানিয়ে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বেলা ১টায় তাদের গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কথা। সে অনুযায়ী তারা যাত্রীদের ডাকছেন। 

ক্রাউন ডিলাক্সের কাউন্টার থেকে জানানো হয়, তাদের নির্দিষ্ট সংখ্যক বাস ছেড়ে যাবে। সে অনুযায়ী বাস ঢাকায় আছে। ফলে তাদের সিডিউলে কোনো সমস্যা নেই। সঠিক সময়েই বাস ছেড়ে যাচ্ছে। 


জাতীয় এর আরও খবর

বিতর্কিত ৩ নির্বাচন

img

জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত :  ১৬:২৮, ১৬ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:৩৩, ১৬ জুন ২০২৫

আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন—জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে কমিশন সদস্যগণ জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।

কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‘বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।’

 প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তার লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গেছি সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সব রাজনৈতিক একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।’