img

বিএনপিতে ৩৯ পদে রদবদল, কে পেলেন কোন পদ

প্রকাশিত :  ১০:০৬, ১৫ জুন ২০২৪

বিএনপিতে ৩৯ পদে রদবদল, কে পেলেন কোন পদ

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ৩৯ নেতার পদে রদবদল করা হয়েছে। শনিবার সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, নির্বাহী কমিটির অনেক নেতাকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা করা হয়েছে। আর দলটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে কাউকে কাউকে পদোন্নতি এবং নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

যেসব পদে রদবদল হয়েছে, সেগুলো হলো

বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপনকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

জহির উদ্দিন স্বপনকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এইচ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, এডভোকেট মজিবুর রহমান সরোয়ারকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, হারুন অর রশিদকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, লায়ন আসলাম চৌধুরীকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, রাজশাহী বিভাগীর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক বেবী নাজনীনকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন চৌধুরী পাহিনকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা করা হয়েছে।

অপরদিকে ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদকে যুগ্ম মহাসচিব, ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে যুগ্ম মহাসচিব, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে যুগ্ম মহাসচিব পদে মনোনীত করা হয়েছে।

ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুলকে সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ), রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত খালেককে সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ), সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ), ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক  শরিফুল আলমকে সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ), যুবদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে প্রচার সম্পাদক, বিএনপির সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খানকে গণশিক্ষা সম্পাদক, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমকে গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ), সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ), নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলামকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) পদে মনোনীত করা হয়েছে।

এছাড়া বিএনপির নির্বাহী সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ), আবু ওয়াহাব আকন্দকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ), মিফতাহ সিদ্দিকীকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ), নাহিদ খানকে সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, এস এম সাইফ আলী সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত করা হয়েছে।

এদিকে চট্টগাম বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদারকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম  জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সাঈদকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল ফারুককে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম গালিব  জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে মনোনীত করা হয়েছে। 

এছাড়া যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, মহিউদ্দিন আহমেদ ঝিন্টুকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, গাজী মনিরকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানকে  জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে মনোনীতি করা হয়েছে।


জাতীয় এর আরও খবর

img

ধর্ম আলাদা হলেও আমরা এক পরিবারের সদস্য: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ১৭:৩৮, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ধর্ম আলাদা হলেও আমরা এক পরিবারের সদস্য। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশি, আমরা এক পরিবারের সদস্য। আমাদের নানা মত থাকবে, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু পরিবার একটা।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের মনে অনেকগুলো প্রশ্ন জেগেছে। সেগুলোর জবাব খুঁজে পাওয়ার জন্যই আপনাদের সঙ্গে বসা। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরই এই সরকার যখন গঠন হয়, আগস্টের ৮ তারিখ আমি যখন বিমানবন্দরে উপস্থিত হলাম। তখন সবার কাছে আন্তরিকভাবে একটা আহ্বান জানিয়েছিলাম। সেটা কোন রাজনৈতিক বা শ্রোতাপ্রিয় বক্তব্য ছিল না। বলেছিলাম আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানা মত থাকবে, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু পরিবার একটা আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতেই জোর দিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, আমাদের শত পার্থক্য সত্ত্বেও আমরা কারও শত্রু না। পরস্পরের শত্রু না। আমরা এক জায়গাতে, এক কাতারে ওখানে চলে আসি। যেখানে আমাদের জাতীয়তার প্রশ্ন আছে, পরিচয়ের প্রশ্ন আছে। আমরা বাংলাদেশি, আমরা এক পরিবারের সদস্য।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যখন শপথ গ্রহণ করলাম, শুনলাম যে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যচার চলছে। এরপরই আমি খোঁজ নিই এবং ঢাকেশ্বরী মন্দিরে চলে যাই। সেখানে আমাকে কিছু দাবি-দাওয়া দেওয়া হলো। তবে একটি দাবি হচ্ছে ‘আমাদের সবার সমান অধিকার। বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার ও কাজকর্মের অধিকার। সেগুলো আসবে সংবিধান থেকে এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেগুলো নিশ্চিত করা।’

তিনি বলেন, আমি তাদের আন্তরিকভাবেই বলেছিলাম যে আমরা এটা দেখব নিশ্চিত করার ব্যাপারে। সংবিধান নাগরিককে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেগুলো তার কাছে পৌঁছে দেওয়া ও নিশ্চিত করা আমার কাজ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারপরও শুনলাম যে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। তো আমি সবার সঙ্গে বসলাম এবং কথা বললাম যে এখান থেকে কী করে তাদের উদ্ধার করতে পারি? তখন পূজার সময় এল। আমি মনে করলাম এই সময়ে হামলা হবে। ফলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যাতে কোনো রকম হামলা না হয়।

তিনি বলেন, দুর্গাপূজা পুরো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল। তখন তৃপ্তি পেলাম একটুতো কাজ করেছি। এখন আবার নতুন কথা, হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যম বলবো না প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, এসব হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কি হচ্ছে? সবদিকে দেখলাম এটা হচ্ছে না। এক খবরে বলা হচ্ছে, আরেক খবরে বলা হচ্ছে না, তথ্যের মধ্যে ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে। আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তা ভুল হতে পারে। ভুল তথ্যের ওপর বসে থাকার কিছুই নাই, এটার অর্থ অন্ধের মত বসে থাকা। ভেতরে গিয়ে দেখতে হবে। খোঁজ নিতে হবে তথ্যের গরমিল কেন? তাতে ওরা যা বলছে তা কি মিথ্যা প্রচার? না আমরা যা বলছি তা মিথ্যা প্রচার। সত্যটা কোথায়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্যের কোন ফারাক নেই। সেখানে সঠিক তথ্য কিভাবে পাব, সেটা আমাদের জানার। প্রকৃত তথ্য, অনেক সময় সরকারি তথ্যের ওপর ভরসা করে লাভ নেই। কর্তা যা চায়, সেভাবে বলে। আসলটা মন খুলে বলতে চাই না। আমরা আসল খবরটা জানতে চাই। সেই প্রক্রিয়াটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এতবড় দেশে যেকোন ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানতে চাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে যাতে সমাধান করা যায়। যেদিক থেকেই দোষী দোষীই। তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্রথম কথাটা হলো না হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। আমি যা বলছি তা দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে। আমরা এক পরিবারের মানুষ হিসেবে সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সেখানে তথ্য ও প্রতিকার হলো বড় বিষয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি তথ্য পেলাম কিন্তু প্রতিকার পেলাম না। সমস্যা হয়ে গেলে সমাধান করতে হবে। আজকের আলোচনা খোলাখুলি, আমরা সবাই আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্যে কোন গোলমাল নেই। তথ্যপ্রবাহ কিভাবে পাব, দোষীকে কিভাবে ধরব। যাতে সবাই সঠিক তথ্যটা পেয়ে যায়। এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মত বিদায় দিলাম তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দেখলে হবে না, আমাদের বর্তমানেই করে যেতে হবে।

সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কিভাবে সংগ্রহ করা যায় সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কিভাবে নিরাপদে তথ্য সংগ্রহ করবো, যে তথ্য দিচ্ছে তা যেন বিব্রত না করে তাও নিশ্চিত হতে হবে।