img

পবিত্র হজের খুতবা শুরু

প্রকাশিত :  ১০:৪৯, ১৫ জুন ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৩০, ১৫ জুন ২০২৪

পবিত্র হজের খুতবা শুরু

সৌদি আরবের পবিত্র শহর মক্কা থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা শুরু হয়েছে। এ বছর হজের খুতবা দিচ্ছেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ  ড. মাহের আল মুয়াইকিলি। স্থানীয় সময় আজ শনিবার (১৫ জুন) বেলা সাড়ে ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় বিকাল সোয়া ৩টার দিকে আরাফাত ময়দানের নামিরাহ মসজিদ থেকে পবিত্র হজের খুতবা শুরু হয়।

আরবি বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ ৯ জিলহজ। এটি পবিত্র ‘আরাফাত দিবস’ হিসেবেও পরিচিত। ঐতিহাসিক এই ময়দানে দিনব্যাপী ইবাদত বন্দেগি আর দোয়া মোনাজাতে মশগুল হাজিরা। এদিন সকাল থেকে কণ্ঠে তাদের সমস্বরে উচ্চারিত হচ্ছে—‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা, ওয়ান্নি মাতা লাকা ওয়াল্মুল্ক্, লা শারিকা লাকা’। অর্থ ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার’।

সাদা দুই টুকরা কাপড়ে শরীর ঢেকে হজযাত্রীরা শনিবার মিনায় ফজরের নামাজ আদায়ের পর থেকেই পবিত্র আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা করেন। এই আরাফাতের ময়দানেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তার বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই স্মৃতি বুকে ধারণ করে মুসলিমরা সমবেত হচ্ছেন এই পবিত্র প্রান্তরে।

গতকাল শুক্রবার মক্কা থেকে পাঁচ থেকে আট কিলোমিটার পূর্বে মিনায় তাঁবুতে অবস্থান করেছেন হজযাত্রীরা। সেখানে ইবাদত বন্দেগিতে দিন ও রাত পার করেছেন তারা। সেখান থেকে আজ ভোরে তারা আল্লাহকে কাছে পাওয়ার এক তীব্র আকাঙ্ক্ষায় ছুটে এসেছেন আরাফাতের ময়দানে। মুহুর্মুহু উচ্চারণ করছেন—‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা, ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল্মুল্ক্, লা শারিকা লাকা’। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।

পবিত্র হজে এবার খুতবা দেওয়ার আগে আরাফাতের ময়দানের নামিরাহ মসজিদে জোহর নামাজের বিশাল জামাতে ইমামতি করেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ ড. মাহের আল মুয়াইকিলি।

এ বছর হজের আরবি খুতবাটি বাংলাসহ ৫০টি ভাষায় শোনা যাচ্ছে। বাংলায় খুতবা অনুবাদ করবেন সৌদি আরবে অবস্থান করা চার বাংলাদেশি—মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কি ও মুবিনুর রহমান ফারুক এবং জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নাজমুস সাকিব।

বাংলায় হজের খুতবা শোনা যাচ্ছে মানারাতুল হারামাইন ওয়েবসাইট ও তাদের মোবাইল অ্যাপে। ওয়েবসাইট লিঙ্ক হলো : https://manaratalharamain.gov.sa/arafa/arafa_sermon/bn

এ ছাড়া অন্য ভাষাগুলোতে খুতবা শুনতে যেকোনো ডিভাইস থেকে মানারাতুল হারামাইন (https://manaratalharamain.gov.sa/) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটি ভাষা নির্বাচন করলে খুতবার অনুবাদ শোনা যাবে। একইসঙ্গে মানারাতুল হারামাইন মোবাইল অ্যাপেও তা শোনা যাবে। আর ওয়েবসাইটে বিগত বছরের খুতবা ও এর অনুবাদও পাওয়া যাবে।

img

সূরা ফাতিহা না পড়লে কি নামাজ হবে?

প্রকাশিত :  ১০:৫৯, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১১:১৪, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

সূরা ফাতিহা না পড়লে কি নামাজ হবে?

কেউ যদি ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে অথবা সুন্নত ও নফল নামাজের কোনও রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়তে ভুলে যায়, তাহলে তাকে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। তবে যদি কেউ ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা ছেড়ে দেয় বা সুরা ফাতেহার জায়গায় অন্য সূরা পড়ে নেয় তাহলে তার নামাজ হয়ে যাবে।

সূরা ফাতিহার ব্যাখ্যা:

সূরা ফাতিহা ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এটি সাতটি আয়াত সম্বলিত এবং আল্লাহর প্রশংসা, তাঁর পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য প্রার্থনা এবং তাঁর সাহায্য প্রাপ্তির জন্য আবেদনের একটি সমন্বিত দোয়া। সূরা ফাতিহা মুমিনদের জন্য পথনির্দেশক এবং হৃদয়ে শান্তি প্রদানকারী। এর মধ্যে রয়েছে আল্লাহর সর্বশক্তিমত্তা, তাঁর দয়ালুতা, এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তাঁর সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা।

বিশেষভাবে, এই সূরা পঠনের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা ও আবেদন জানাতে পারি, যাতে তিনি আমাদের সোজা পথ দেখান এবং আমাদেরকে সুপথে পরিচালিত করেন। এটি নামাজের প্রতিটি রাক'আতে পাঠ করতে হয়, যা মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সূরা ফাতিহার ফজিলত:

সূরা ফাতিহার অসংখ্য ফজিলত রয়েছে। এটি পঠনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয় এবং মন ও হৃদয়ে শান্তি আসে। কিছু বিশেষ ফজিলত:

প্রতিদিনের নামাজে প্রয়োজনীয়তা: সূরা ফাতিহা প্রতিদিনের নামাজে অন্তর্ভুক্ত, তাই এটি মুসলিম জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গুনাহ মাফ করা: সূরা ফাতিহা অত্যন্ত বরকতময়, এবং এর দ্বারা মানুষের গুনাহ মাফ হতে পারে।

মনোযোগী হতে সহায়ক: এটি পঠনে মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আরও কাছাকাছি পৌঁছায়।

চিকিৎসা: কিছু হাদিসে বলা হয়েছে যে, সূরা ফাতিহা একটি শক্তিশালী চিকিৎসা হিসেবে কাজ করতে পারে, বিশেষত শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার জন্য।

সূরা ফাতিহা অর্থ:

সূরা ফাতিহা, যা "আল-কিতাবের শুরু" হিসেবে পরিচিত, সমস্ত সূরাগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম সূরা, যা সূচনা ও প্রারম্ভের প্রতীক। এটি আল্লাহর প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাসের প্রতীক। এই সূরায় আল্লাহর মহিমা ও তাঁর পথের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।