img

ঈদ উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১৪ নির্দেশনা

প্রকাশিত :  ১৮:৫১, ১৫ জুন ২০২৪

ঈদ উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১৪ নির্দেশনা

ঈদুল আজহা উপলক্ষে রবিবার শুরু হচ্ছে ছুটি। এরই মধ্যে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। ছুটি চলাকালীন মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসা সেবা নির্বিঘ্ন রাখতে দেশের সব হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক রাখাসহ ১৪টি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

শনিবার (১৫ জুন) অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।


নির্দেশনাগুলো হলো:

১. ছুটিকালীন কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া যেতে পারে।

২. প্রতিষ্ঠান প্রধান নিরবচ্ছিন্ন জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ছুটি মঞ্জুর করবেন।

৩. সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পরিচালককে অবহিত করে শুধু ঈদের ছুটিকালীন নিজ জেলার মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয় করতে পারবেন।

৪. জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

৫. জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমারজেন্সি ওটি সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

৬. আন্তঃবিভাগে ইউনিট প্রধানরা প্রতিদিন তদারকি করবেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে জরুরি ল্যাব, এক্সরে সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

৭. ছুটি শুরুর আগেই ছুটিকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ, আই ডি ফ্লুয়িড কেমিক্যাল রি-এজেন্ট, সার্জিক্যাল সামগ্রী মজুত ও তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্টোর কিপার অথবা ছুটিকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফ অবশ্যই নিজ জেলা ও উপজেলায় অবস্থান করবেন।

৮. অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

৯. ছুটিকালীন হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আগাম চিঠি দিতে হবে।

১০. প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা ছুটিকালীন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করবেন এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করবেন।

১১. প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি নিলে অবশ্যই বিধি অনুযায়ী কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাবেন এবং দায়িত্ব গ্রহণকারী কর্মকর্তা সব দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

১২. প্রতিষ্ঠান প্রধান ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন তদারকি করবেন এবং রোগীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

১৩. পশুর হাটের নিকটবর্তী স্বাস্থ্য স্থাপনাগুলোতে বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হবে।

১৪. জাতীয় ঈদগা ও অন্য জেলা ঈদগাগুলোতে (চাহিদা অনুযায়ী) মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে।


img

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা

প্রকাশিত :  ১৫:৫০, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিচারপতি গোলাম মুর্তজা মজুমদারকে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করেছি। ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিরা এই মাসের মধ্যেই হয়তো বসতে পারেন।

গত ৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আগামী দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে ২৩ জনকে নিয়োগ দেয় সরকার। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন গোলাম মর্তূজা মজুমদার।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা আজ রাতের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ চলে এসেছে। আমরা সামারি পড়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের যে অবস্থা ছিল, আমরা ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করছি। আমরা এতে অনেক সংশোধন এনেছি। যেমন: আসামিপক্ষ যেকোনো দেশের আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন, যেকোনো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অবজার্ভার হিসেবে থাকতে পারবে। সাক্ষ্য আইনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সাক্ষ্যের যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতার বিধান এনেছি।

তিনি আরও বলেন, এখন যে অবস্থা আছে, এ অবস্থাতেই বিচার শুরু হতে পারে। আমাদের দুর্ভাগ্য, জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় যারা দায়ী ছিল বলে আমরা মনে করি, যারা প্রকাশ্যে গুলির হুমকি দিয়েছে, তাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হননি, আত্মগোপনে আছেন। পলাতকদের বিচারের বিধান এই আইনে আছে


 


জাতীয় এর আরও খবর