img

অস্ট্রেলিয়ার জয়ে সুপার এইটে ইংল্যান্ড, হৃদয় ভাঙলো স্কটল্যান্ডের

প্রকাশিত :  ০৫:৫৬, ১৬ জুন ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:০০, ১৬ জুন ২০২৪

অস্ট্রেলিয়ার জয়ে সুপার এইটে ইংল্যান্ড, হৃদয় ভাঙলো স্কটল্যান্ডের

সুপার এইটে যেতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার জয় চাওয়া ছাড়া কিছুই করার ছিল না ইংল্যান্ডের। যার ফলে নিজেদের প্রয়োজনেই অস্ট্রেলিয়া ও স্কটল্যান্ড ম্যাচে নজর ছিল জস বাটলারদের। ইংল্যান্ডের পাশাপাশি এই ম্যাচে চোখে রেখেছিল পুরো বিশ্বই। ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েও হেরে যায় স্কটল্যান্ড। স্কটিশদের এই পরাজয়ে লাভ হয়েছে ইংল্যান্ডের। বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা স্কটল্যান্ডের মতো সমান ৫ পয়েন্ট নিয়েও রান রেটে এগিয়ে থেকে কোয়াটার ফাইনালে চলে গেল।

রোববার ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে টস জিতে স্কটল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সুপার এইট নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে স্কটিশরা।

ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে ৯ ওভারে  এক উইকেটে ৯২ রান করে স্কটল্যান্ড। এরপর ৬০ রানের ব্যবধানে হারায় আরও ৪ উইকেট। তবে ব্র্যান্ডন ম্যাককুলানের বিধ্বংসী ব্যাটিং আর অধিনায়ক রিচি ব্রিরিংটনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে স্কটল্যান্ড।

দলের হয়ে মাত্র ৩৪ বল মোকাবেলা করে দুটি চার আর ৬টি দৃষ্টি নন্দন ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন ব্র্যান্ডন ম্যাককুলান। এছাড়া ৩১ বলে এক চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৪২ রান করেন অধিনায়ক রিচি ব্রিংটন। ২৩ বলে ৩৬ রান করেন ওপেনার জর্জ মুনসি।

১২০ বলে ১৮১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২ ওপেনার ট্রাভিস হেড ও মার্কাস স্টয়নিসের ব্যাটিং তাণ্ডবে ২ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের দাপুটে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। অসিদের এই জয়ে কপাল খুলে যায় ইংল্যান্ডের। 

দলের জয়ে ৪৯ বলে ৫টি চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন ওপেনার ট্রাভিস হেড। ২৯ বলে ৯টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ রান করেন মার্কাস স্টয়নিস। ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৪ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ২৪ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন টিম ডেভিড।

আজকের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া হেরে গেলে তাদের তেমন কোনো সমস্যা হতো না। তারা আগেই সুপার এইটে খেলা নিশ্চিত করে। অসিরা হারলে বিপদে পড়ে যেত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তারা আসরের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতো।

কিন্তু অস্ট্রেলিয়া জয় পাওয়ায় কপাল পুড়ল স্কটল্যান্ডের। তারা ইংল্যান্ডের মতো সমান ৫ পয়েন্ট নিয়েও রান রেটে পিছিয়ে থাকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের কোয়াটার ফাইনালের আগে বিদায় নিল।


img

মেসির জোড়া গোলে টানা পঞ্চম জয় মায়ামির

প্রকাশিত :  ০৭:৫৫, ১৩ জুলাই ২০২৫

অসাধারণ এক ফ্রি-কিকে প্রথমে দলকে লিড এনে দেন লিওনেল মেসি। বিরতির পরপরই লড়াইয়ে ফেরে প্রতিপক্ষ ন্যাশভিলে। এরপর আবার মেসির ঝলক। তাতে লিগে টানা পঞ্চম জয় তুলে নিলো ইন্টার মায়ামি।

আজ রোববার (১৩ জুলাই) ভোরে আর্জেন্টাইন তারকার জোড়া গোলে ভর করে ন্যাশভিলে এসসিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে মায়ামি।

গত ম্যাচেই এমএলএসের ইতিহাসে প্রথম কোনো ফুটবলার হিসেবে টানা চার ম্যাচে একাধিক গোল করার ইতিহাস গড়েন মেসি। এবার সেই সংখ্যাকে তিনি পাঁচে বাড়িয়ে নিলেন। এ নিয়ে মন্ট্রিয়েল, কলম্বাস ক্রু, আবার মন্ট্রিয়ল, নিউ ইংল্যান্ড রেভ্যুলুশন এবং ন্যাশভিলের বিপক্ষে টানা পাঁচ ম্যাচেই করলেন জোড়া গোল।

ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণে আধিপত্য দেখায় মায়ামি। তবে অষ্টম মিনিটে জোড়া সুযোগ মিস করে হতাশায় পোড়ান তাদেও আয়েন্দে ও লুইস সুয়ারেজ। ১৫তম মিনিটে বক্সে বেঞ্জামিন ক্রেমাসচির হেড রুখে দেন ন্যাশভিলের গোলরক্ষক জো উইলিস। 

একের পর এক ব্যর্থতার পর অবশেষে ১৭তম মিনিটে মেসির দুর্দান্ত ফ্রি-কিক থেকে সাফল্য পায় মায়ামি। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে তার বাঁকানো নিচু শট জড়ায় জালে। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগান পাননি উইলিস।

একের পর এক আক্রমণ ঠেকাতে ব্যস্ত থাকা ন্যাশভিলে লড়াইয়ে ফেরে বিরতির পর। ৪৯তম মিনিটে ডানপ্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে বক্সের বাইরে থেকে ক্রস নেন ডিফেন্ডার অ্যান্ডি নাজার। গোলমুখে বল পেয়ে হেডে জাল খুঁজে নেন হ্যানি মুখতার। তাতে সমতায় ফেরে ন্যাশভিলে।

তবে গোলরক্ষক উইলিসের ভুলে বেশিক্ষণ সমতায় থাকতে পারেনি তারা। ৬২তম মিনিটে সতীর্থের ব্যাকপাস বুকে নিয়ে ফের সতীর্থকে দিতে গিয়ে মেসিকে দিয়ে বসেন উইলিস। ডি-বক্স লাইনে বল পেয়ে সুযোগ কাজে লাগান আর্জেন্টাইন তারকা। ওয়ান অন ওয়ান পজিশনে গোলরক্ষককে পরাস্ত করার পর ন্যাশভিলের আরেক ডিফেন্ডারের বাধা অতিক্রম করে গোল আদায় করে নেন মেসি। 

আর এ গোলেই নির্ধারণ হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। যদিও সমতায় ফেরার দুটো সুযোগ পেয়েছিল ন্যাশভিলে। কিন্তু তারা সেটা কাজে লাগাতে পারেনি। তাতে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মায়ামি।

এ জয়ে ১৯ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলে পাঁচে অবস্থান করছে মায়ামি। তাদের সামনে সুযোগ রয়েছে শীর্ষে উঠে আসার। ২২ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন।