img

হজ চলাকালীন মারা গেছেন ১৩০১ জন: সৌদি আরব

প্রকাশিত :  ০৬:৩৪, ২৪ জুন ২০২৪

হজ চলাকালীন মারা গেছেন ১৩০১ জন: সৌদি আরব

এবারের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে অন্তত ১৩০১ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ অননুমোদিত হজযাত্রী। তীব্র গরমে দীর্ঘ পথ হেঁটে পাড়ি দেয়ায় তারা মারা গেছেন। 

পুরো হজ মৌসুম জুড়েই এবার দাবদাহ ছিল মক্কায়। প্রায় দিনই তাপমাত্রা ছিলে ৪৫ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এজন্য বেশিরভাগ হাজির মৃত্যু হয়েছে হিটস্ট্রোকসহ গরমজনিত অসুস্থতায়। 

রোববার এসব তথ্য জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান ও এপির।

দেশটির মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মৃত হাজিদের ৮৩ শতাংশের হজে যাওয়ার সরকারি অনুমোদন ছিল না। ফলে অনুমোদন নিয়ে যাওয়া অন্যান্য হাজিদের মতো প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে কুলিং সিস্টেম, ঠান্ডা পানি ও ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার মতো সেবা গ্রহণ করতে পারেননি তারা। তীব্র তাপদাহে কোনোরকম আশ্রয় ছাড়াই তাদের হাঁটতে হয়েছে দীর্ঘপথ। এতে পথের মাঝেই প্রাণ হারান অনেকেই।

মৃতদের মধ্যে কেবলমাত্র মিশরীয় নাগরিকই রয়েছেন ৬৬০ জন। তাদের মধ্যে মাত্র ৩১ জনের হজ করার সরকারি অনুমোদন ছিল। এ ঘটনায় মিশরের সরকার দেশটির ১৬টি ট্রাভেল এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করেছে- যারা সরকারি অনুমোদন ব্যতীত হজযাত্রীদের সৌদি ভ্রমণে সহায়তা করেছে। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ১৬৫ ইন্দোনেশিয়ান, ৯৮ ভারতীয়, ৩৫ বাংলাদেশি, ২ মার্কিন নাগরিকসহ জর্ডান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়ার নাগরিকও রয়েছে।

দেশটির সরকারি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) তাদের অফিশিয়াল বার্তায় বলেছে, দুঃখজনকভাবে মৃতের সংখ্যা ১৩০১ এ পৌঁছেছে, যার ৮৩ শতাংশরই হজ করার জন্য অনুমোদন ছিল না। অবশ্য দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহাদ বিন আব্দুর রহমান আল-জালাজেল এ বছরের হজ ব্যবস্থাপনাকে ‘সফল’ বলে বর্ণনা করেছেন।

শুক্রবার রাতে বাংলাদেশের হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, এবার হজে গিয়ে সৌদি আরব ৩৫ জন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ ও সাতজন নারী।

গত ১৪ জুন পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আরবি বর্ষপঞ্জিকার শেষ মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে শুরু হয় হজ। ১৫ জুন সারাদিন আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেন হজযাত্রীরা। পরের দিন ১০ জিলহজে পশু কুরবানি দেন হাজিরা। এরপর আরও দুদিন থেকে শেষ হয় হজ।

সৌদি পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বছর ১৮ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ হজ করেছেন। তাদের মধ্যে ১৬ লাখ ১১ হাজার ৩১০ জন বিদেশি এবং ২ লাখ ২১ হাজার ৮৫৪ জন সৌদি ও প্রবাসী নাগরিক।

তবে এই বছর সারা বিশ্বের প্রায় ২০ লাখ মুসল্লি হজে অংশ নেবেন বলেই আশা করেছিল সৌদি সরকার। শুরুর দিকে এমন তথ্যই দিয়েছিল সৌদি গণমাধ্যমগুলো। তবে শেষ পর্যন্ত হাজিদের সংখ্যা ১৮ লাখ ছাড়াল।

img

সূরা ফাতিহা না পড়লে কি নামাজ হবে?

প্রকাশিত :  ১০:৫৯, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১১:১৪, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

সূরা ফাতিহা না পড়লে কি নামাজ হবে?

কেউ যদি ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে অথবা সুন্নত ও নফল নামাজের কোনও রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়তে ভুলে যায়, তাহলে তাকে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। তবে যদি কেউ ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা ছেড়ে দেয় বা সুরা ফাতেহার জায়গায় অন্য সূরা পড়ে নেয় তাহলে তার নামাজ হয়ে যাবে।

সূরা ফাতিহার ব্যাখ্যা:

সূরা ফাতিহা ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এটি সাতটি আয়াত সম্বলিত এবং আল্লাহর প্রশংসা, তাঁর পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য প্রার্থনা এবং তাঁর সাহায্য প্রাপ্তির জন্য আবেদনের একটি সমন্বিত দোয়া। সূরা ফাতিহা মুমিনদের জন্য পথনির্দেশক এবং হৃদয়ে শান্তি প্রদানকারী। এর মধ্যে রয়েছে আল্লাহর সর্বশক্তিমত্তা, তাঁর দয়ালুতা, এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তাঁর সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা।

বিশেষভাবে, এই সূরা পঠনের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা ও আবেদন জানাতে পারি, যাতে তিনি আমাদের সোজা পথ দেখান এবং আমাদেরকে সুপথে পরিচালিত করেন। এটি নামাজের প্রতিটি রাক'আতে পাঠ করতে হয়, যা মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সূরা ফাতিহার ফজিলত:

সূরা ফাতিহার অসংখ্য ফজিলত রয়েছে। এটি পঠনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয় এবং মন ও হৃদয়ে শান্তি আসে। কিছু বিশেষ ফজিলত:

প্রতিদিনের নামাজে প্রয়োজনীয়তা: সূরা ফাতিহা প্রতিদিনের নামাজে অন্তর্ভুক্ত, তাই এটি মুসলিম জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গুনাহ মাফ করা: সূরা ফাতিহা অত্যন্ত বরকতময়, এবং এর দ্বারা মানুষের গুনাহ মাফ হতে পারে।

মনোযোগী হতে সহায়ক: এটি পঠনে মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আরও কাছাকাছি পৌঁছায়।

চিকিৎসা: কিছু হাদিসে বলা হয়েছে যে, সূরা ফাতিহা একটি শক্তিশালী চিকিৎসা হিসেবে কাজ করতে পারে, বিশেষত শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার জন্য।

সূরা ফাতিহা অর্থ:

সূরা ফাতিহা, যা "আল-কিতাবের শুরু" হিসেবে পরিচিত, সমস্ত সূরাগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম সূরা, যা সূচনা ও প্রারম্ভের প্রতীক। এটি আল্লাহর প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাসের প্রতীক। এই সূরায় আল্লাহর মহিমা ও তাঁর পথের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।