বিবিসি সায়েন্স ফোকাস

img

আপনার ঘরেই বাস করে সাপের চেয়ে বিপজ্জনক প্রাণী

প্রকাশিত :  ০৮:৫৫, ২৯ জুন ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:০৬, ২৯ জুন ২০২৪

আপনার ঘরেই বাস করে সাপের চেয়ে বিপজ্জনক প্রাণী

সাপ আতঙ্কে সারাদেশের মানুষ যখন আতঙ্কিত ঠিক সেই মুহূর্তে জানা গেল, সাপের চেয়ে বিপজ্জনক প্রাণী আমাদের বাড়িতে বসবাস করে। আর আতঙ্কের প্রধান বিষয় এই সাপ রয়েছে তালিকার তৃতীয় নম্বরে। ‘বিপজ্জনক’ দশটি প্রাণীর তালিকা তৈরি করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক খ্যাতনামা সাময়িকী ‘বিবিসি সায়েন্স ফোকাস’।

‘বিবিসি সায়েন্স ফোকাস’ এর তথ্য বলছে, বিশ্বজুড়ে মানুষের প্রাণনাশের জন্য দায়ী প্রাণীদের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সাপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, প্রতি বছর প্রায় প্রায় ৮১ হাজার থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন সাপের কামড়ে।

তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে মানুষের বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে পরিচিত কুকুরের নাম। প্রতি বছর সারা বিশ্বে গড়ে ৫৯ হাজার জনের মতো মানুষ মৃত্যুবরণ করেন কুকুরের কামড়ে।

প্রাণঘাতী প্রাণীর তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে অ্যাসাসিন বাগ। এটি এক ধরনের পতঙ্গ, যেটি মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় বেশি দেখা যায়। আকারে ছোট হলেও রক্তচোষা এই প্রাণীটি চাগাস রোগের জীবাণু ছড়ায়, যাতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যান। অ্যাসাসিন বাগ সাধারণত ঘুমন্ত মানুষকে কামড়ায়।

ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বৃশ্চিক। এই বিষাক্ত প্রাণীটির কারণে সারা বিশ্বে প্রতিবছর গড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। ক্ষুদ্রাকার এই প্রাণীটির দৈহিক গঠন এবং হাঁটা-চলায় কাঁকড়ার সঙ্গে কিছুটা মিল রয়েছে বলে বাংলাদেশে এরা ‘কাঁকড়াবিছা’ নামেও বেশ পরিচিত।

তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে জলভাগের অন্যতম হিংস্র মাংসাশী প্রাণী কুমির। এদের আক্রমণে বছরে গড়ে এক হাজার মানুষ মারা যায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

অষ্টম অবস্থানে রয়েছে স্থলভাগের সবচেয়ে বড় এবং ওজনদার স্তন্যপায়ী প্রাণী হাতি। এর আক্রমণে বছরে গড়ে প্রায় ৬০০ জন মানুষ নিহত হয়।

প্রাণঘাতী প্রাণীর তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে নিরীহ ও শান্ত স্বভাবের জন্য পরিচিত জলহস্তীর নাম। এদের আক্রমণে আফ্রিকায় প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৫০০ জন মানুষ অকালে প্রাণ হারান।

তালিকার দশম স্থানে রয়েছে বনের রাজা হিসেবে পরিচিত সিংহের নাম। সিংহের আক্রমণে বছরে গড়ে ২০০ জনের মতো মানুষ মারা যান, যাদের বেশিরভাগই আফ্রিকা মহাদেশের।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রাণীর নাম শুনে হয়তো চমকে উঠবেন আপনি। বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন বলছে, পৃথিবীতে মানুষ নিজেই নিজের জন্য ‘বিপজ্জনক’ একটি প্রাণী। কেননা, মানুষের হাতেই প্রতিবছর তার নিজ প্রজাতির প্রায় চার লাখ সদস্য খুন হচ্ছে।

আর প্রথম স্থানে রয়েছে মশা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ক্ষুদ্র এই প্রাণীটির কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে প্রতিবছর ৭ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন।

img

ট্রায়াঙ্গুলাম গ্যালাক্সির নতুন ছবি

প্রকাশিত :  ১০:৪৩, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্প্রতি হাবল টেলিস্কোপে ধরা ট্রায়াঙ্গুলাম গ্যালাক্সির নতুন ছবি তুলে।  গ্যালাক্সির পোশাকি নাম মেসিয়ার ৩৩। এই গ্যালাক্সিটা হলো আমাদের স্থানীয় গ্যালাক্সি গ্রুপের তৃতীয় বৃহত্তম গ্যালাক্সি। এই গ্যালাক্সি দেখতে সুন্দর এবং রহস্যময়, কারণ এখানে নতুন তারার জন্ম খুব দ্রুত হয়।

ট্রায়াঙ্গুলাম গ্যালাক্সি আমাদের গ্যালাক্সির (মিল্কিওয়ে) থেকে ছোট, মাত্র ৬০,০০০ আলোকবর্ষ বিস্তৃত। এটি অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি এবং মিল্কিওয়ের পর সবচেয়ে বড় গ্যালাক্সি। প্রায় ৩০ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে থাকা এই গ্যালাক্সিকে বলা হয় তারার ‘কারখানা’, কারণ এখানে প্রচুর নতুন তারা তৈরি হয়।

এই গ্যালাক্সিতে নতুন তারার জন্ম হয় প্রচুর গ্যাস ও ধূলার সংঘর্ষ থেকে।

হাবল টেলিস্কোপের ছবিতে দেখা যায় বড় বড় লাল মেঘ, যা H-II অঞ্চল নামে পরিচিত। এই অঞ্চলগুলোতে গ্যাসের মেঘের সংঘর্ষ থেকে বিশাল বড় বড় তারার সৃষ্টি হয়। এই প্রক্রিয়া এত দ্রুত হয় যে এই গ্যালাক্সি প্রতিবেশী অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সির তুলনায় ১০ গুণ বেশি তারা তৈরি করে।

হাবল টেলিস্কোপের এই নতুন ছবি বিজ্ঞানীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতে নতুন তারার সৃষ্টি সম্পর্কে আরও তথ্য জানা যাচ্ছে।

এর মাধ্যমে মহাবিশ্বের বড় বড় গ্যালাক্সির ভবিষ্যৎ সংঘর্ষ এবং তাদের পরিবর্তন সম্পর্কেও বিজ্ঞানীরা অনেক কিছু শিখতে পারবেন।

ট্রায়াঙ্গুলাম গ্যালাক্সির এই নতুন ছবি মহাবিশ্বের বিস্ময়কর তারার জন্ম প্রক্রিয়া সম্পর্কে তথ্য জানাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এই গ্যালাক্সিতে তারার দ্রুত সৃষ্টি বিজ্ঞানীদের মহাজাগতিক গবেষণায় আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র: লাইভ সায়েন্স