img

দেশ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে: প্রথম ভাষণে স্টারমার

প্রকাশিত :  ১৪:৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৪৩, ০৫ জুলাই ২০২৪

দেশ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে: প্রথম ভাষণে স্টারমার

ভূমিধস জয় নিয়েই প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহণ করেছেন ব্রিটেনের লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সরকারি বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে এরইমেধ্যে প্রথম ভাষণও দিয়েছেন তিনি।

লেবার পার্টির ৬২ বছর বয়সি নেতা কিয়ের স্টারমার যুক্তরাজ্যের নাস্তানাবুদ অর্থনীতির হাল ধরলেন এবার। কতটা শক্ত করে ‘যুক্তরাজ্য’ নামক নৌকার বৈঠা ধরতে পারবেন তিনি তাই এবার দেখার পালা। বরিস জনসন, লিজ  ট্রাস, ঋষি সুনাক মিলে যে নৌকা পাড়ে ভেড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেই নৌকার মাঝি বনেছেন স্টারমার। 

ব্রিটেনবাসীও আর কনজারভেটিভদের ওপর ভরসা করতে পারছিলেন না। তাইতো বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে ৪১২টি আসনে জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে মাত্র ১২১টি আসন। 

নির্বাচনে জয়ের পরই প্রধানমন্ত্রী হয়ে লন্ডনের ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট থেকে তিনি ঘোষণা দিলেন, ইটের ওপর ইট গেঁথে দেশের অবকাঠামো পুনর্গঠন করা হবে। আমার মতো খেটে খাওয়া পরিবারগুলো যাতে জীবন চালাতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, জনগণ সুচিন্তিতভাবে পরিবর্তন এবং জনগণের সেবামূলক রাজনীতির জন্য ভোট দিয়েছে। তবে এই পরিবর্তনের জন্য সময় লাগতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো দেশকে পরিবর্তন করা সুইচ টেপার মতো বিষয় নয়। এর জন্য সময় প্রয়োজন হবে। তবে পরিবর্তনের জন্য কাজ শুরু করা হবে। 

এ সময় সরকারকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। স্টারমার বলেন, তার সরকার ‘শান্ত ও ধৈর্যশীল পুনর্গঠনে’ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের কাজ খুবই জরুরি এবং আজ থেকেই আমরা তা শুরু করছি। 

এরপর স্টারমার ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন। 



যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

সংঘাত অবসানের আহ্বান

img

লন্ডনে ফিলিস্তিনের পক্ষে হাজার হাজার মানুষের মিছিল

প্রকাশিত :  ২১:৩০, ০৮ অক্টোবর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৪৫, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের অবসানের আহ্বান জানিয়ে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীরা লন্ডনে মিছিল করেছেন। শনিবার, ৫ অক্টোবর, হাজার হাজার মানুষ রাসেল স্কোয়ার থেকে হোয়াইটহল পর্যন্ত হেঁটে ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে সমাবেশ গিয়ে যোগদান করে। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গণহত্যার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনসহ বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়,  যাতে অংশ নিতে সারা দেশ থেকে অনেকেই আসেন ।

"এখনই যুদ্ধবিরতি" এবং "এখন বোমাবর্ষণ বন্ধ করুন" এর মতো বার্তা সম্বলিত ফিলিস্তিনি পতাকা এবং প্ল্যাকার্ড বহন করতে লোকজনকে দেখা যায়।

মিছিলকারীদের মধ্যে ‘বেঙ্গলিজ  ফর প্যালেস্টাইন’ ব্যানারে পূর্ব লন্ডনের বাঙালিদের একটি দল ছিল। দলের সভাপতি নুরুদ্দিন আহমেদ বলেন, 'গত ১২ মাস ধরে, ফিলিস্তিনিরা তাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে সবচেয়ে অন্ধকার মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছে, কারণ ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন নৃশংসতা চালিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যামূলক হামলা চালিয়েছে।‘

বাঙালির মিছিলে ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস্ প্রাক্তন কাউন্সিলর শাহেদ আলী, বর্ণবাদ বিরোধী  এক্টিভিস্ট রফিক উল্লাহ, টাওয়ার হ্যামলেটস্ প্রাক্তন কাউন্সিলর  জয়নাল উদ্দিন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট তৈমুস আলী, লুকমান উদ্দিন, আলা মিয়া আজাদ, জামাল আহমেদ খান, আনসার আহমেদ উল্লাহ, মোহাম্মদ সিদ্দিক, শফিক আহমেদ, মজিবুল হক মনি, সৈয়দ গুলাব আলী প্রমুখরা বলেন যে ব্রিটিশ সরকার ইসরায়েলের সাথে সমস্ত অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ করার দাবিতে আমরা মিছিল করছি। ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের দাবিতে আমরা মিছিল করছি।

প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের বেন জামাল বলেছেন, ‘শনিবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইসরায়েলের গণহত্যার এক বছর উপলক্ষে মিছিল করেছে, এমন একটি গণহত্যা যা কমপক্ষে  ৪১,০০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, গাজার সামাজিক অবকাঠামো ধ্বংস করেছে এবং  ২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। কয়েক মাস ধরে, আমরা সতর্ক করে আসছি যে ইসরায়েলকে তার অপরাধের জন্য দায়মুক্তি প্রদান করলে তা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে হত্যার ঝুঁকির মধ্যেই রাখবে না বরং একটি বিস্তৃত অগ্নিসংযোগের ঝুঁকি তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন যে গত সপ্তাহে, আমরা এই বাস্তবতাকে উন্মোচিত হতে দেখেছি, ইসরায়েল লেবানন এবং অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিতে হামলা চালিয়েছে যা শত শত বেসামরিক নাগরিক সহ  ১,০০০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে অনেক শিশু ছিল। এখন, আমরা একটি বড় যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর