img

সিলেটে বিদেশ যাত্রী সেজে ২৮ লাখ টাকার মাদক পাচারকালে গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত :  ১২:৪১, ০৬ জুলাই ২০২৪

 সিলেটে বিদেশ যাত্রী সেজে ২৮ লাখ টাকার মাদক পাচারকালে গ্রেপ্তার ৩

বিদেশ যাত্রী সেজে বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে যাচ্ছিল একদল মাদক কারবারি। তাদের ধারণা ছিল এতে পুলিশের নজর এড়ানো যাবে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের ফুলবাড়ি পূর্বপাড়া এলাকায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ে প্রায় ২৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মাদকদ্রব্য। এসময় মাদক বিক্রির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কারসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে-

 সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার বলদি গ্রামের মৃত নানু মিয়ার ছেলে এনাম আহমদ, কোতয়ালী মডেল থানার কুমারপাড়ার মৃত ইয়াছির মিয়ার ছেলে আম্বিয়া টিপু ও বলদি গ্রামের ফজল আলী।

শুক্রবার বিকেলে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় সাংবাদিক সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোলাপগঞ্জ সার্কেল) সজল কুমার সরকার।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত ১২টার দিকে একটি প্রাইভেট কারে বিদেশগামী যাত্রী সেজে

সিলেট থেকে গোলাপগঞ্জের উদ্দেশ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছিলো দুই মাদক কারবারি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে নামে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। এসময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে থাকে মাদক কারবারিরা। এসময় স্থানী যুবকের সহায়তায় উপজেলার পৌর এলাকার সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের ফুলবাড়ি পূর্বপাড়া এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ২ জনকে এবং তাদের তথ্যের ভিত্তিতে আরও ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের সাথে থাকা একটি ট্রলি ব্যাগ থেকে ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল, ৮ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা, নগদ ১ লাখ ২ হাজার টাকা, একটি প্রাইভেটকার, দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া মাদকদ্রব্যের আনুমানিক বাজার মূল্য ২৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোলাপগঞ্জ সার্কেল) সজল কুমার সরকার আরও জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

সিলেটের নিখোঁজ ছয় শ্রমিকের লোকেশন টেকনাফ: পুলিশ

প্রকাশিত :  ১০:১৪, ২২ এপ্রিল ২০২৫

কক্সবাজার জেলায় কাজের সন্ধানে এসে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার এক গ্রামের ছয়জন শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। তারা পেশায় সবাই রাজমিস্ত্রী। সাত দিন ধরে নিখোঁজ থাকা শ্রমিকরা সবাই গত ১৫ এপ্রিল কাজের উদ্দেশ্যে জকিগঞ্জ উপজেলার খলাছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম লোহারমহল গ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্য বের হয়েছিলেন।  

পুলিশ বলছে, তাদের সবার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সর্বশেষ নিখোঁজদের মধ্যে দুজনের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তাদের অবস্থান টেকনাফের রাজারছড়া এলাকা পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে টেকনাফের রাজারছড়া মানবপাচার ও অপহরণকারীদের মূল আস্তানা। তাই সন্দেহ করা হচ্ছে নিখোঁজদের মানবপাচার ও অপহরণকারী চক্রের ফাঁদে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, কক্সবাজারের কাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়া আমার এলাকার ছয় যুবক নিখোঁজ রয়েছেন। তারা এর আগেও চট্রগ্রাম-কক্সবাজারের কাজ করতে গিয়েছিলেন। আমরা পরিবারকে সহায়তা করছি। তাদের লোকেশন টেকনাফের রাজারছড়া গ্রামে পাওয়া যাচ্ছে। তাই সেখানকার থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

টেকনাফ মডেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। আমরাও তাদের লোকেশন রাজারছড়া এলাকা পাচ্ছি। বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কেননা এসব এলাকায় অপহরণ ও মানবপাচার চক্রের আনাগোনা বেশি। 

নিখোঁজ ৬ জন হলেন, জকিগঞ্জ উপজেলার খলাছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম লোহারমহল গ্রামের ফারুক আহমদের ছেলে মারুফ আহমদ (১৮), আজির উদ্দিনের ছেলে শাহিন আহমদ (২১), মৃত লুকুছ মিয়ার ছেলে রশিদ আহমদ (২০), সফর উদ্দিনের ছেলে খালেদ হাসান (১৯) ও মৃত সরবদির ছেলে আব্দুল জলিল (৫৫) ও মৃত দুরাই মিয়ার ছেলে এমাদ উদ্দিন (২২)।  

নিখোঁজ পরিবারের ভাষ্যমতে, গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার খলাছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম লোহারমহল গ্রামের ৫ তরুণসহ ছয় জন কাজের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। ১৬ এপ্রিল কক্সবাজার পৌঁছার পর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু এরপর থেকে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এঘটনায় নিখোঁজদের পরিবারে চরম দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। নিখোঁজ সবাই রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন।

নিখোঁজ রশিদের ভাই আব্দুল বাছিত বলেন, রশিদ কয়েক বছর থেকে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের এক ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতো। বিভিন্ন সময়ে বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল। এবার কক্সবাজার যাওয়ার পর থেকে রশিদসহ সঙ্গে থাকা সবার মোবাইল ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে। তাদের লোকেশন টেকনাফের রাজারছড়া পাওয়া যাচ্ছে। আমরা খুব চিন্তিত কারণ টেকনাফ অপহরণ এবং মানবপাচারপ্রবণ এলাকা।

জকিগঞ্জ উপজেলার চৌকিদার ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমার এলাকার ছয় শ্রমিক প্রায় সময় কক্সবাজারের কাজ করতে যায় বাবুল নামে এক ঠিকাদারের অধীনে। বাবুল ঠিকাদারের কাজ না থাকায় টেকনাফের এক পরিচিত ছেলে সাথে টেকনাফে কাজ করতে বের হন। তখন থেকে তাদের ফোন বন্ধ রয়েছে।

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেনেছি। আমিও চেষ্টা করছি তাদের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য। তাদের লোকেশন যে এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে সেটি ভয়ংকর এলাকা। কেননা এর আগেও থ্রি মার্ডার  সেখানে (রাজারছড়া) হয়েছিল।


সিলেটের খবর এর আরও খবর