img

‘বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র শাহবাগ অবরোধ

প্রকাশিত :  ১৩:০৪, ০৬ জুলাই ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:২৩, ০৬ জুলাই ২০২৪

‘বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র শাহবাগ অবরোধ

কোটা নিয়ে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৬ জুলাই) দুপুর ৩টায় ‘বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে একত্রিত হন। এরপর মিছিল নিয়ে পঞ্চম দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। অবরোধের ফলে শাহবাগ হয়ে সব যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের মিছিলটি শাহবাগে পৌঁছে পৌনে পাঁচটার দিকে। এসময় পুলিশ বাধা দিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছু উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরপর বাধা উপেক্ষা করে তারা শাহবাগ মোড়ে বসে পড়েন।

আজ দুপুর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকা শিক্ষার্থীরা একে একে জড়ো হতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে। দুপুর ৩ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বের হয় শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি হাজী মুহম্মদ মুহসিন হল, ভিসি চত্বর, টিএসসি, জগন্নাথ হলের মোড় হয়ে বকশিবাজার, বুয়েট, পলাশী মোড় হয়ে ইডেন কলেজ, হোম ইকোনোমিক্স, নীলক্ষেত, রাজু ভাস্কর্য হয়ে শাহবাগ গিয়ে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। ছাত্রলীগ কোটা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ কোন বাধা না দিলেও আজ দুপুর ২ টা থেকে মধুর ক্যান্টিনে প্রথম/দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে অবস্থান নেন।   

মিছিলে শিক্ষার্থীদের কোটা না মেধা, মেধা মেধা; কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক; আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই; আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম; হাইকোর্ট না রাজপথ,রাজপথ রাজপথ; দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ ইত্যাদি স্লোগান প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে ।

শিক্ষার্থীদের চারদফা দাবিগুলো হলো: ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা; ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া; এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।


শিক্ষা এর আরও খবর

img

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা

প্রকাশিত :  ১০:০৭, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১১:০১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশের আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে সতর্ক বার্তা দিয়েছে । এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা), দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও কুইন্স ইউনিভার্সিটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইউজিসি। এতে স্বাক্ষর করেছেন ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে কেউ অননুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়/ক্যাম্পাসে বা অননুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা হলে এর দায় ইউজিসি নেবে না বলেও উল্লেখ করা হয়।

ইউজিসির বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো হলো—ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা।

এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় ইউজিসি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রেখেছে। আর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠনে জটিলতা ও মামলা থাকায় রাজধানীর সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে।

আর মামলা, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকা, ইউজিসির আরোপিত শর্ত পূরণ না হওয়াসহ নানা কারণে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, কুইন্স ইউনিভার্সিটির নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

ইউজিসির তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১১৫টি। এর মধ্যে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আর রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য রয়েছেন ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।