img

বর্ষাকালে চুল পড়া বেড়ে যায়? জেনে নিন করণীয়

প্রকাশিত :  ০৮:৩২, ০৭ জুলাই ২০২৪

বর্ষাকালে চুল পড়া বেড়ে যায়? জেনে নিন করণীয়

বর্ষাকালে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেইসঙ্গে চুলও বাদ যায় না। এসময় চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়, চুলে আঠালো ভাব হয়। এমনকী চুলে হাত দিলেও চুল উঠে আসতে দেখা যায়। চুলের গোড়া না শুকালে খুশকি বা ফাঙাল ইনফেকশন হতে পারে। তাই বর্ষাকালে চুলের যত্নে বিশেষ সচেতন হতে হবে।

বিশেজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকালে চারপাশে আর্দ্রতা বেশি থাকে। যে কারণে আমাদের স্ক্যাল্প তৈলাক্ত হয়ে যায়। এর ফলে ভেঙে যেতে পারে চুল। আবার এই আর্দ্রতার কারণেই চুলে খুশকি ও ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। এছাড়া চুল পড়ার আছে আরও কিছু কারণ। তার মধ্যে একটি হলো পুষ্টির অভাব বা পাকস্থলির সমস্যা। আবার কিছু ভুল অভ্যাসও আপনার চুল পড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

বর্ষাকালে বৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এসময় বৃষ্টির পানিতে ভেজা এড়িয়ে চলতে হবে। কখনো ভিজলেও আবার বাড়িতে গোসল করতে হবে। এক সময় বৃষ্টির পানি আমাদের জন্য উপকারী ছিল। তবে বর্তমানে দূষণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এই পানির উপকারিতা কমে গেছে অনেকটাই। তাই বৃষ্টিতে ভিজলেও আবার গোসল করে নিতে হবে। এতে চুলের ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন।

বর্ষাকালে চুলে খুশকির সমস্যা বেড়ে যায় অনেকটাই। এসময় চুলকে খুশকি থেকে রক্ষা করার জন্য সচেতন হতে হবে আপনাকেই। চুলের গোড়ায় যেন ময়লা না জমে বা অপরিষ্কার না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এসময় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যায়। তাই প্রতিদিন চুল পরিষ্কার পানিতে দিয়ে ধোয়া প্রয়োজন। সেইসঙ্গে চিরুনিও পরিষ্কার রাখতে হবে। দিনে দুইবার চুল আঁচড়াবেন। হেলমেট ব্যবহার করলে তার নিচে একটি সুতির রুমাল ব্যবহার করবেন।

img

ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখবে ড্রাই ফ্রুটস

প্রকাশিত :  ০৮:২৪, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অল্প বয়সি মানুষের মধ্যে আজকাল রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী। 

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া মানেই নানা রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকা। তাই রক্তচাপের মাত্রা বশে রাখা জরুরি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রেণে রাখতে অনেকেই নানা নিয়ম মেনে চলেন। জানেন কী ড্রাইফ্রুটস রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা যেসব ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারবেন: 

কাঠবাদাম

কাঠবাদামে যেসব উপাদান রয়েছে যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ‘জার্নাল অফ নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, কাঠবাদাম রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া কাঠবাদামে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম যা রক্ত চলাচল সচল রাখে।

আখরোট

হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আখরোট ভীষণ কার্যকরী। এতে রয়েছে ওমেগা ৩ যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রক্তচাপ বেড়ে গেলে আখরোট ওষুধের মতো কাজ করে। আখরোটে থাকায় ‘আলফা লিনোলেনিক’ এসিড প্রদাহজনিত সমস্যার সমাধান করে।

কিশমিশ

ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের কিশমিশ বারণ হলেও উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা চাইলে কিশমিশ খেতে পারেন। ‘আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিয়োলজি’-র সমীক্ষা জানাচ্ছে, দিনে তিনবার কিশমিশ খেলে কমবে রক্তচাপের মাত্রা।

পেস্তা

পেস্তা দারুণ একটি ড্রাই ফ্রুটস। উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ হিসেবে এর জুড়ি মেলা ভার। পেস্তা ‘সিস্টোলিক’ উচ্চ রক্তচাপ কমায়। পেস্তায় রয়েছে পটাশিয়াম যা হৃদয় সুরক্ষিত রাখে।