img

নিউইয়র্কে প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ১২ দফা দাবি

প্রকাশিত :  ১২:৩৯, ০৮ জুলাই ২০২৪

নিউইয়র্কে প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ১২ দফা দাবি

বিশ্বজুড়ে বসবাসকারী প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাড়ছে রিজার্ভ। কিন্তু এসব রেমিটেন্স যোদ্ধারা নিজ মাতৃভূমিসহ বিভিন্ন দেশে নানা সমস্যায় জর্জরিত। তাদের এসব সমস্যা সমাধানে ১২ দফা দাবি উত্থাপন করেছে প্রবাসী বাংলাদেশি ফোরাম। 

১২ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্বারকলিপি নিউইয়র্ক সফররত বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি”র হাতে তুলে দেওয়া হয় গত  বৃহস্পতিবার  ,২৭ জুন ২০২৪, রাত ১০টায় ম্যানহাটনে হোটেল সুইটে প্রবাসীদের পক্ষে স্বারকলিপিটি  তার তুলে দেন প্রবাসী বাংলাদেশি ফোরামের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম এবং ডা. নারগিস রহমান  এবং  সামছু উদ্দিন আহমেদ শামীম । এর আগেও কয়েকবার এই দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে তুলে ধরেছিলেন  এসংগঠন ।আবারও এসংগঠন  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দাবিগুলো তুলে ধরেন। 


দাবির মধ্যে রয়েছে: 

১. নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালু।

২. নিউইয়র্কসহ সারা বিশ্বের বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও দূতাবাসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) চালু করা, যা ব্রিটেনে করা হয়েছে ।

৩. বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

৪. দেশের ভূমিদূস্যদের হাত থেকে প্রবাসীদের রক্ষা করা। বিশেষ করে চুক্তি মোতাবেক ক্রয় করা জমি, প্লট, অ্যাপার্টমেন্ট সহজে সংশ্লিষ্ট প্রবাসীর কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। 

৫. ঢাকাস্থ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ করা। 

৬. দ্বৈত নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ করা। 

৭. বাংলাদেশের অফিস-আদালতে লাল ফিতার দৌরাত্ব বন্ধ করা, এছাড়া প্রবাসীদের জন্য ঢাকায় চালু করা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ কার্যকর করা।

৮. প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্সের অর্থে গড়ে ওঠা অর্থনীতির সমাধান ।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

টাওয়ার হ্যামলেটসে চালু হলো সাঁতার শেখার স্কুল ‘বি ওয়েল—সুইম ওয়েল’

প্রকাশিত :  ১৯:০৭, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

টাওয়ার হ্যামলেটসের মাইল এন্ড পার্ক লেজার সেন্টারে কাউন্সিলের লেজার সার্ভিসেস ‘বি ওয়েল’ ৪ ডিসেম্বর তাদের নতুন সাঁতার শিখন স্কুল ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’ চালু করেছে। এই সুইম স্কুলের লক্ষ্য হল বাসিন্দাদের সাঁতারের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী ও নিরাপদ করে তোলা।

সুইম ইংল্যান্ডের লার্ন টু সুইম ফ্রেমওয়ার্ক অনুসরণ করে ‘বি ওয়েল সুইম ওয়েল’। এই ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে ইংল্যান্ডের জাতীয় সাঁতার প্রশিক্ষণ কাঠামো। এতে অন্তর্ভুক্তঃ
— দক্ষ ও সদ্য প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষক।
— ছোট ছোট ক্লাস, যাতে মনোযোগ ও নির্দেশনায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব।
— সাঁতারের প্রতিটি ধাপের জন্য নির্ধারিত ক্লাস, বিশেষ করে বিশেষ শিক্ষা চাহিদা ও প্রতিবন্ধী (সেন্ড) শিক্ষার্থীদের জন্য সুনির্দিষ্ট ক্লাসের আয়োজন
— প্রতিটি ধাপের স্পষ্ট অগ্রগতি, যা একটি কাঠামোবদ্ধ শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে নিশ্চিত করে।
— প্রতিটি মাইলফলক উদযাপনে অফিসিয়াল সার্টিফিকেট।

৪ ডিসেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুইম ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি জেমস প্যারামোর টাওয়ার হ্যামলেটসের সঙ্গে নতুন এই অংশীদারিত্ব এবং সাঁতারকে জীবন রক্ষাকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অক্টোবরে, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর সঙ্গে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় এই এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সুইম স্কুলের জন্য নতুন নাম ও মাসকট বাছাই করা হয়।

মে ফ্লাওয়ার প্রাইমারি স্কুলের ইনায়াহ রহমান ডিজাইন করেছে “বাবলস দ্য বি ওয়েল ডাক,” যা বি ওয়েল সুইম স্কুলের অফিসিয়াল মাসকট হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। অপরদিকে, ওসমানী প্রাইমারি স্কুলের মুসা হোসেন তৈরি করে সুইম নিরাপত্তা সঙ্গী “অক্টোসেফ,” যা শিশুদের প্রয়োজনীয় সাঁতার নিরাপত্তা বিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করবে।

প্রতিযোগিতার বিজয়ী ও তাদের স্কুলের প্রতিনিধিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের সৃষ্টিশীলতার জন্য পুরস্কৃত হন।