যান চলাচল বন্ধ

img

কোটা আন্দোলনকারীদের দখলে শাহবাগ থেকে ফার্মগেট

প্রকাশিত :  ১২:৪৫, ০৮ জুলাই ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:২৫, ০৮ জুলাই ২০২৪

কোটা আন্দোলনকারীদের দখলে শাহবাগ থেকে ফার্মগেট

কোটা বাতিলের এক দফা দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে শাহবাগ থেকে ফার্মগেট সড়কে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সোমবার বিকালে পূর্বঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।  এ ছাড়াও একই দাবিতে শহরের অন্য গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরোধ করেছে আন্দোলনকারীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে লেকচার থিয়েটার ভবন, মাস্টার দা সূর্য সেন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, ভিসি চত্বর, টিএসসির রাজু ভাস্কর্য হয়ে বেলা ৪টা ২০ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলের আরেকটি অংশটি সড়ক অবরোধ করতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও বাংলামোটর মোড়ের দিকে চলে যায়। পেছনের অংশটি শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়। পরে ফার্মগেট মোড়েও অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।

রামপুরা ও বাড্ডায়ও সড়ক অবরোধ করা হচ্ছে বলে শাহবাগের সমাবেশ থেকে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সড়ক আটকে দেওয়ায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যেখানে যেসব গাড়ি ছিল, সেখানেই সেগুলো দাঁড়িয়ে গেছে। এতে ঢাকার বড় অংশ কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।

একই দাবিতে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় ও নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া চানখারপুল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ওঠার রাস্তা অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌ হলের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যুনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে। এদিকে রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলোতে অবরোধের কারণে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। 

গতকাল রোববারও রাজধানীসহ সারা দেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি শেষে গতকাল রাত ৮টার দিকে আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম আজ সোমবারও সারা দেশে বাংলা ব্লকেড ঘোষণা করেন। পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ছাত্র ধর্মঘট চলবে বলে জানান।

কোটা বাতিলে চার দফা দাবি বাতিল করে গতকাল এক দফা দাবি ঘোষণা করা হয়েছে আন্দোলনস্থল থেকে। আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ দাবিটি ঘোষণা করেন। তা হলো সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যুনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে।

এ সময় হাসনাত আরও বলেন, আমরা সকল প্রকার নাতিপুতি কোটা-পৌষ্য কোটাকে অযৌক্তিক কোটা মনে করছি। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক। আজকেই আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যাব।

img

পর্তুগালে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ

প্রকাশিত :  ১৩:৩৫, ১৩ জুলাই ২০২৫

মো : ফেরদৌস আহমাদ

পর্তুগাল পড়াশোনার জন্য আকষর্ণীয় হতে পারে কারণ এখানকার ডিগ্রি আন্তজার্তিক মানের। টিউশন খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় যথেষ্ট কম। ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার ইউরো প্রতি বছর খরছ পড়ে। তাছাড়া বসবাসের খরচটা ও যথেষ্ট সাশ্রয়ী। মাসিক ৩শ থেকে ৫শ ইউরোর মধ্যে ভালোভাবেই চলতে পারবেন। এছাড়া অনেকেই আছেন যারা IELTS দিতে ভয় পান অথবা IELTS পরীক্ষায় স্কোর কম পেয়েছেন, তাদের জন্য সুসংবাদ, পর্তুগীজ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স বা পোস্ট গ্রাজুয়েশন প্রোগ্রামে IELTS ছাড়াই আবেদন করা যায়। তবে ভিসা নিশ্চিত করতে অবশ্যই ইংরেজিতে ভাল যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে।

বেশীরভাগ বাংলাদেশীর ইউরোপে পড়াশুনার অর্থই হল ইউরোপসহ পশ্চিমা বিশ্বে আজীবনের জন্য সেটেল হওয়া বা স্থায়ী বসবাস করা। সেই অর্থে তাদের জন্য পর্তুগাল হল শ্রেষ্ঠ স্থান, কারণ এখানে আপনি খুব অল্প সময়, অল্প টাকায় পর্তুগালের পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট তথা নাগরিকত্ব অর্জন করতে পারবেন। সাধারনত স্টুডেন্টসহ যেকোন ক্যাটাগরিতে ৫ বছর বৈধ বসবাসে পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়া যায় যা, বিশ্বের অন্য কোন দেশে সম্ভব নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তনের কথা হচ্ছে সংসদে কিন্তু পি আর এর সময় ৫ বছরই থাকছে।

বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মূল চ্যালেঞ্জ হলো বাংলাদেশে পর্তুগালের কোন এমব্যাসি নেই। ইন্ডিয়া যেতে হয় বলে আমাদের শিক্ষার্থীদের ভিসা রেশিও একটু কম। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই ভিসা নিয়ে পর্তুগাল আসছেন। এখানে মূলত সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজের অনুমতি আছে কিন্তু আপনি যদি ইমিগ্রেশনকে প্রমাণ করতে পারেন আপনার কাজ ও পড়ালেখার সময় একে অপরের সাথে সাংঘার্ষিক নয় তবে ফুল টাইম কাজ করতে পারেন। পড়াশোনা শেষ করলে পর্তুগালে চাকরির বাজারে প্রবেশ সহ সমগ্র ইউরোপ তথা সারা বিশ্ব উন্মুক্ত চাকরি ও অনন্য সুযোগ সুবিধা নিয়ে।

ইন্ডিয়াতে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছে বলে অনেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়। আমরা প্রায় শুনি, ইন্ডিয়াতে বৈষম্যমূলক আচারনের শিকার হতে হয় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভিসার রেশিও অনেক বেড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রমান ও ইন্ডিয়া ভি এফ এসের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট থাকলে ইন্ডিয়ান ভিসা নেওয়া সম্ভব।

পর্তুগাল পড়াশোনা ও বসবাসের জন্য খুবই ভাল ও সুন্দর একটি দেশ। এখানে ইউরোপের অনন্য দেশের তুলনায় বৈষম্যমূলক আচরন একে ভাবে নেই বল্লেই চলে। এছাড়াও এখানকার আবহাওয়া যথেষ্ট ভাল যা কিছুটা আমাদের দেশের মত। তাই আমরা মনে করি পড়াশোনার জন্যে ইউরোপের অন্যতম সেরা দেশ হতে পারে পর্তুগাল।