img

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ : পুতিন-মোদি আরও কাছাকাছি

প্রকাশিত :  ০৭:০০, ০৯ জুলাই ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ : পুতিন-মোদি আরও কাছাকাছি

রাশিয়া যখন ইউক্রেন হামলা করে তখন পাকিস্তানের তখনকার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তখন ছিলেন রাশিয়ায়। আর সে সফর শেষ করে দেশে ফেরার পরপর তার সরকারের পতন। এখন তিনি কারাগারে।

ইমরানের পতন ও কারাগারে যাবার পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে ইমরান খান নিজেই অভিযোগ করেছেন। এবার সে পথে হাটলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

জানা যায়, রাশিয়ার সাথে ভারতের বন্ধুত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এই বিষয়ে ওয়াশিংটন এমন এক সময়ে বার্তা দিলো, যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মস্কো সফরে গিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গতকালই মস্কোতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে দেখা করেন মোদি। দুই রাষ্ট্রনেতার সাক্ষাতেই মোদিকে আলিঙ্গন করেন পুতিন। দুই দেশেই এবছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাশিয়ার পুতিন বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। আর ভারতে রেকর্ড তৃতীয়বারের জন্যে সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন মোদি। পুনর্নিবাচিত হওয়ার পর এই ছিল মোদি ও পুতিনের প্রথম সাক্ষাৎ। গতকাল রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবনে রাজকীয় নৈশভোজেও অংশ নেন মোদি।

আর এই সবের মাঝেই মোদি-পুতিন বন্ধুত্বে উদ্বেগ প্রকাশ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, \'রাশিয়া সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কী বক্তব্য রাখছেন, সেই বিষয়ে আমরা নজর রাখব। তবে আমরা জানাতে চাই, ভারতের সাথে রাশিয়ার বন্ধুত্বের বিষয়ে ওয়াশিংটন ইতিমধ্যেই নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে দিল্লির কাছে।\' পাশাপাশি মিলর বলেন, \'আমেরিকা আশা করে, ভারত বা যেকোনো দেশ যখন রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক রাখছে, তখন তারা মস্কোকে জাতিসঙ্ঘ সনদ মেনে চলার কথা মনে করিয়ে দেবে।\'

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এরপর বিগত ২ বছর ধরেই রাশিয়ার সাথে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে দিল্লির ওপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে ওয়াশিংটন। তবে আমেরিকার চাপের কাছে ভারত মাথা নত করেনি। উল্টা রাশিয়ার থেকে এই দুই বছর ধরে কম দামে জ্বালানি তেল কিনে চলেছে ভারত। সেই তেল আবার ভারতে শোধন করে আমেরিকা এবং ইউরোপে রফতানি করে মোটা টাকা মুনাফা করছে ভারত।

রাশিয়ার সাথে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মার্কিন হস্তক্ষেপে আপত্তি জানিয়েছে দিল্লি। এরই সাথে জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন প্রস্তাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছে ভারত। তবে বার বারই আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ভাবে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বানও জানিয়ে এসেছে দিল্লি। এই সবের মাঝেই তিন বছর পর ফের রাশিয়া সফরে গিয়েছেন মোদি। পুতিনের সাথে সাক্ষাতের পরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সেই ছবি পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সফরকালে ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতের সহযোগিতার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে দীর্ঘ আলোচনা করার কথা মোদির।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

আগাম নির্বাচনের পথে কানাডা

প্রকাশিত :  ০৮:৪৭, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৫২, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ‘নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি' বা এনডিপির সমর্থন হারানোয় দেশটিতে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে আগাম নির্বাচনের ৷ দলটির নেতারা বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেন৷

ট্রুডোর মধ্য-বামপন্থি উদার সরকার থেকে বুধবার সমর্থন প্রত্যাহারের পর দলটির নেতা জগমিত সিং এই বিষয়ে মুখ খুলেন৷ প্রধানমন্ত্রীকে তার কার্যালয় ধরে রাখতে হলে নতুন কোনো জোট গড়তে হবে৷ দেশটিতে ২০২৫ সালের অক্টোবরে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা৷ 

জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, আসন্ন নির্বাচনে দেশটির আনুষ্ঠানিক বিরোধীদল মধ্য-ডানপন্থি রক্ষণশীলরা বিপুল ভোটে জিততে পারেন। কারণ, ট্রুডোর প্রতি ভোটারদের হতাশা বাড়ছে৷ ২০১৫ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন৷ কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং গৃহসংকট তার জনপ্রিয়তা কমিয়ে দিয়েছে৷  

ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ সহযোগী জেরোমি ব্রডহার্স্টও বৃহস্পতিবার উদারপন্থিদের নির্বাচনি প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন৷ এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি পরিবারের সঙ্গে আরো সময় কাটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন৷ কিন্তু টরন্টো স্টার উদারপন্থিদের এক সূত্রের বরাতে লিখেছে যে, ব্রডহার্স্ট মনে করছেন, আগামী নির্বাচনে ট্রুডোর জয়ের সম্ভাবনা নেই৷   

সিং জানিয়েছেন যে, এনডিপি ২০২২ সাল থেকে ট্রুডোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়া থেকে সরে এসেছে, কেননা, দলটি সামাজিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধি সংক্রান্ত যে প্রত্যাশা নিয়ে তাকে সমর্থন জানিয়েছিল, তার অনেকটাই পূরণ হয়ে গেছে৷

ভবিষ্যতে তিনি ট্রুডোর বিপরীতে রাজনীতিতে লড়বেন কিনা এমন প্রশ্নের সরাসরি কোনো জবাব দেননি জগমিত সিং৷ তবে বলেছেন যে, তার দল এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে৷ হাউস অব কমন্সের নির্বাচিত নিম্নকক্ষে এনডিপি চতুর্থ বৃহত্তম দল৷

জগমিত সিংয়ের জন্য আগামী মাসগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ৷ তিনি যদি আস্থা ভোটে ট্রুডোকে আবার সমর্থন দেন বা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন তাহলে তা তার দলের দুর্বলতা হিসেবে বিবেচিত হবে৷ আবার তিনি যদি ট্রুডোকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তার বিরুদ্ধে ভোট দেন তাহলে আগাম নির্বাচনেও তার দল সুবিধা করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না৷ কারণ দলটির প্রতি বর্তমানে জনসমর্থন বেশ কম৷




আন্তর্জাতিক এর আরও খবর