img

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে আবারও মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গ

প্রকাশিত :  ১০:১২, ১০ জুলাই ২০২৪

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে আবারও মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গ

আবারও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারিক কর্মকাণ্ডের বিষয়টিও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে। দেশটি বলছে, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ জুলাই) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী ড. ইউনূস সহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাশিয়া সফর সম্পর্কেও জানতে চান। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, তারা ড. ইউনূসের বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবারও উঠে এলো মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ।

মুশফিকুল ফজল আনসারী মিলারের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনি সমস্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জবাবে মিলার বলেন, ড. ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই, আমরা তার বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা কিছু সময়ের জন্য আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। এই মামলাগুলি ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করছে বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের একটি প্রধান অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে আমরা উদ্বিগ্ন যে, শ্রম ও দুর্নীতিবিরোধী আইনের অনুভূত অপব্যবহারে আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদির রাশিয়া সফর এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির বিঢয়ে প্রশহ্ন করলে মিলার বলেন, আমি ইতিমধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে কথা বলেছি। আমি যা বলেছি তাতে যোগ করার কিছু নেই। এবং চীন সফরের বিষয়ে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, দেখুন, আমরা যা বুঝি দেশগুলো চীনের সাথে জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রও চীনের সঙ্গে জড়িত। পররাষ্ট্র দপ্তরের মন্ত্রী নিজেও দুইবার চীন সফর করেছেন, তাই এ বিষয়ে আমার আর কোনো মন্তব্য নেই।


img

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা

প্রকাশিত :  ১৫:৫০, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিচারপতি গোলাম মুর্তজা মজুমদারকে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করেছি। ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিরা এই মাসের মধ্যেই হয়তো বসতে পারেন।

গত ৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আগামী দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে ২৩ জনকে নিয়োগ দেয় সরকার। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন গোলাম মর্তূজা মজুমদার।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা আজ রাতের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ চলে এসেছে। আমরা সামারি পড়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের যে অবস্থা ছিল, আমরা ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করছি। আমরা এতে অনেক সংশোধন এনেছি। যেমন: আসামিপক্ষ যেকোনো দেশের আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন, যেকোনো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অবজার্ভার হিসেবে থাকতে পারবে। সাক্ষ্য আইনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সাক্ষ্যের যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতার বিধান এনেছি।

তিনি আরও বলেন, এখন যে অবস্থা আছে, এ অবস্থাতেই বিচার শুরু হতে পারে। আমাদের দুর্ভাগ্য, জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় যারা দায়ী ছিল বলে আমরা মনে করি, যারা প্রকাশ্যে গুলির হুমকি দিয়েছে, তাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হননি, আত্মগোপনে আছেন। পলাতকদের বিচারের বিধান এই আইনে আছে


 


জাতীয় এর আরও খবর