img

সেটিংস পরিবর্তনে বাঁচবে ইন্টারনেট খরচ

প্রকাশিত :  ১০:৩২, ১০ জুলাই ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪৬, ১০ জুলাই ২০২৪

সেটিংস পরিবর্তনে বাঁচবে ইন্টারনেট খরচ

ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে দৈনন্দিন কাজে। একই গতিতে স্মার্টফোনে ডেটা ব্যবহারকারীদের বাড়ছে খরচ, যা অনেকের ক্ষেত্রে বাড়তি চাপের কারণ। কাজ শেষ হওয়ার আগেই ডেটা শেষ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা এড়াতে পরিবর্তন করা প্রয়োজন কিছু সেটিংস। এতে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ডেটা কম ব্যবহার হবে। বাঁচবে ইন্টারনেট খরচ।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের এ ফিচারের নাম ‘ডেটা সেভার মোড’। যা ডেটা ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে শেখায়। স্মার্টফোন ওয়াইফাই-এর সঙ্গে সংযুক্ত না থাকলে ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপগুলোর  ডেটা ব্যবহার সীমিত করে।

মূলত ডেটা সেভার চালু থাকলে, ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান অ্যাপগুলো ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযোগ করতে সক্ষম হবে না। এ সময়ে অ্যাপগুলো আপডেট হবে না। এতে করে পুশ নোটিফিকেশন পাঠাতে পারবে না। হবে না  ডেটার ব্যবহার। এছাড়া ফোনে পর্যাপ্ত ব্যাটারি ব্যাকআপেও দারুণ কাজ করে। কারণ-অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে কম আপডেট হওয়ায়, সেগুলোও কম শক্তি ব্যবহার করে।

এই মোড চালু করলে যে অ্যাপটি খুব সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটিও কম ইন্টারনেট ব্যবহার করবে। যেমন—কিছু অ্যাপের ছবি ততক্ষণ পর্যন্ত লোড হবে না, যদি না তাদের ওপর ক্লিক করা হয়।

ডেটা সেভার মোড চালু করবেন যেভাবে

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সেটিংস ওপেন করুন। এরপর নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটে ক্লিক করুন। তারপরে ডেটা সেভার অপশনে যেতে হবে। এরপর ইউজ ডেটা সেভারে অপশনে ক্লিক করে এটি চালু করতে হবে। কেউ যদি এটি বন্ধ করতে চান, তাহলে বাঁ দিকে থাকা ডেটা সেভার অপশন ব্যবহার করতে হবে।

img

পুতিনের বয়স কমানোর ইচ্ছা: কী বলছেন চিকিৎসকেরা

প্রকাশিত :  ১০:১৬, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর বৃদ্ধ থাকতে চান না। বার্ধক্যকে থামিয়ে দিতে চান। বরং বয়সের কাঁটা ঘুরবে বিপরীতে। বার্ধক্যকে ঠেকিয়ে রাখার এই যে অদম্য বাসনা এর থেকেই ‘অ্যান্টি-এজিং’ নিয়ে গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়েই। তবে শরীরে বয়সের ছাপ লুকিয়ে রাখার ‘অ্যান্টি-এজিং থেরাপি’ এক রকম, আবার একেবারে বুড়ো থেকে যুবক হয়ে ওঠার পদ্ধতি অন্যরকম।

বার্ধক্যের দোরগোড়ায় আসামাত্রই জীবনের চাকা ঘুরিয়ে পেছন দিকে চলবে। অর্থাৎ ফিরে যাওয়া যাবে যৌবনে। ক্ষমতা ও শক্তিকে বশে রাখতে বার্ধক্যের সঙ্গেই যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

বিজ্ঞানী-চিকিৎসকদের ঘাড়ে বন্দুক ঠেকিয়ে তিনি নির্দেশ জারি করেছেন— যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুবক হওয়ার ওষুধ আবিষ্কার করতে হবে। জলে নেমে হোক, পাতাল ফুঁড়ে হোক অথবা পৃথিবীর আনাচেকানাচে ঘুরে, বয়স কমানোর কৌশল খুঁজে বার করতেই হবে। এক কথায়— অমর হওয়ার বাসনাই প্রকাশ করেছেন পুতিন।

এ ক্ষেত্রে গোটা ব্যাপারটাই হলো প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে কারসাজি করা। তাতে একদিকে যেমন চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়মকানুনের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু প্রক্রিয়া করতে হবে, তেমনই চারপাশের বাস্তুতন্ত্রেও অনেক বদল আসবে।

এখন কথা হলো বার্ধক্যকে কি সত্যিই থামিয়ে দেওয়া সম্ভব? এই বিষয়ে স্ত্রীরোগ চিকিৎসক ও রিজেনারেটিভ মেডিসিন নিয়ে গবেষণারত মল্লিনাথ মুখোপাধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, আজ না হলেও আগামী দিনে বয়সের চাকা ঘুরিয়ে দেওয়ার পদ্ধতি যে আবিষ্কার হবে না, তা বলা যায় না। স্টেম কোষ প্রতিস্থাপন এবং ক্লোনিং— এই দুই প্রক্রিয়ায় অসাধ্য সাধন সম্ভব। যদিও তা পুরোপুরি অনৈতিক ও প্রকৃতির নিয়মবিরুদ্ধ।