img

উত্তরাধিকার রক্ষাঃ মুক্তিযোদ্ধাদের বংশধরদের জন্য ছাত্র কোটা সংরক্ষণ করা অপরিহার্য

প্রকাশিত :  ০১:৫৭, ১৫ জুলাই ২০২৪

উত্তরাধিকার রক্ষাঃ মুক্তিযোদ্ধাদের বংশধরদের জন্য ছাত্র কোটা সংরক্ষণ করা অপরিহার্য

|| ইমরান চৌধুরী বি ই এম ||

সাম্প্রতিক সময়ে, বাংলাদেশ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যারা বীরত্বের সাথে লড়াই করেছে তাদের বংশধরদের জন্য সংরক্ষিত ছাত্র কোটাকে ঘিরে অস্থিরতার ঢেউ দেখেছে। এই অস্থিরতাকে উসকে দিচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও স্বাধীনতা বিরোধীরা, যারা আন্দোলন করছে। এসব কোটা বাতিলের দাবিতে সাধারণ মানুষ। এই বিতর্কিত ইস্যুতে যখন আমরা অনুসন্ধান করি, আমাদের অবশ্যই এই কোটার গুরুত্ব, তাদের বিরোধিতাকারীদের লুকানো এজেন্ডা এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়াগুলি অন্বেষণ করতে হবে।

কোটার জন্য ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ এবং যুক্তি মুক্তিযোদ্ধাদের বংশধরদের জন্য ছাত্র কোটা নিছক একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নয় বরং একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা এবং স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন

তাদের প্রতি জাতির কৃতজ্ঞতার প্রতীক। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি স্মরনীয় সংগ্রাম যা আধুনিক বাংলাদেশের পরিচয় তৈরি করেছিল এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ছিল অতুলনীয়। যুদ্ধের পরে, এই বীরদের পরিবারগুলিকে সমর্থন করা অপরিহার্য বলে মনে করা হয়েছিল, যাতে তাদের বংশধররা তাদের পূর্বপুরুষদের বিশাল অবদানের জন্য একটি ছোট প্রতিদান হিসাবে শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়।

এই কোটা একাধিক উদ্দেশ্য পরিবেশন করে। প্রথমত, তারা মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে সম্মান করার একটি মাধ্যম, তাদের উত্তরাধিকার সংরক্ষণ ও সম্মান নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, তারা তাদের বংশধরদের জন্য সমান খেলার ক্ষেত্র সরবরাহ করে, যাদের মধ্যে অনেকেই যুদ্ধ—পরবর্তী আর্থ—সামাজিক উত্থানের কারণে সুবিধাবঞ্চিত পটভূমি থেকে এসেছেন। সবশেষে, এই কোটা জাতীয় গর্ব ও ঐক্যের বোধ জাগিয়ে তোলে, প্রতিটি নাগরিককে তাদের স্বাধীনতার মূল্য এবং মুক্তিযোদ্ধারা যে মূল্যবোধের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন তার গুরুত্বকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

স্বাধীনতা বিরোধীদের গোপন এজেন্ডা কোটার বিরুদ্ধে বর্তমান আন্দোলন নিছক একটি স্বতঃস্ফূর্ত চিৎকার নয় বরং এটি আরও গভীর, আরও প্রতারণামূলক উদ্দেশ্য নিয়ে দলাদলি দ্বারা সংগঠিত

বলে মনে হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী দলগুলো ঐতিহাসিকভাবে সেই ভিত্তিরই বিরোধিতা করেছে যেগুলোর ওপর বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। প্রায়শই দূর—ডান মতাদর্শের সাথে একত্রিত, এই গোষ্ঠীগুলির বর্তমান আর্থ—সামাজিক—রাজনৈতিক কাঠামোকে অস্থিতিশীল করার একটি নিহিত স্বার্থ রয়েছে যা মুক্তি সংগ্রামকে সম্মান করে।

তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কারঃ মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকারকে ভেঙে ফেলা, মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে ক্ষুন্ন করা এবং স্বাধীনতা ও সাম্যের নীতির সাথে সাংঘর্ষিক একটি পশ্চাদপসরণকারী, বিভাজনমূলক মতাদর্শের পথ প্রশস্ত করা। কোটার ওপর হামলার মাধ্যমে এই দলগুলোর লক্ষ্য সেই ঐতিহাসিক বর্ণনাকে মুছে ফেলা যা নিপীড়ন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি জনগণের বিজয় উদযাপন করে।

১৯৭১ সালে পরাজিত শক্তিকে গৌরবান্বিত করে এবং জাতির স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ স্বীকার করে তারা ইতিহাস পুনর্লিখন করতে চায়। বাহ্যিক প্রভাবের ভূমিকা এই অস্থিরতা বাড়াতে বহিরাগত দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। ১৯৭১ সালের পরাজয় ও আত্মসমর্পণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের ওপর গভীর দাগ ফেলে। এর মধ্যে কিছু রাষ্ট্র কখনোই সার্বভৌম বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতি এবং পরবর্তীকালে অভ্যুদয়ের সাথে পুরোপুরি মিলিত হয়নি।

এই সংস্থাগুলি বর্তমান অস্থিরতাকে পুরানো স্কোর স্থির করার সুযোগ হিসাবে দেখতে পারে, তাদের অতীত পরাজয়ের অপমানের প্রতিশোধ নিতে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তোলে।

স্বাধীনতা বিরোধী দলগুলোকে সমর্থন দিয়ে, এই বহিরাগত শক্তিগুলো তাদের কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনের জন্য অভ্যন্তরীণ বিভাজনকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে ভেতর থেকে দুর্বল করার লক্ষ্য রাখে। এই গোপন হস্তক্ষেপ শুধু জাতীয়  স্থিতিশীলতাকেই হুমকির মুখে ফেলে না বরং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সাথে আপস করে।

কোটা বাতিলের পরিণতি 

মুক্তিযোদ্ধাদের বংশধরদের জন্য ছাত্র কোটা বাতিল করলে তা সুদূরপ্রসারী পরিণতি বয়ে আনবে। এটি মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের প্রতি প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির বিশ্বাসঘাতকতাকে নির্দেশ করবে, যা রাষ্ট্র এবং এর নাগরিকদের মধ্যে আস্থা নষ্ট করবে। এই ধরনের পদক্ষেপ আর্থ—সামাজিক বৈষম্যকে আরও গভীর করবে, কারণ মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক বংশধর শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে এই কোটার উপর নির্ভর করে।

অধিকন্তু, এই কোটা বিলুপ্তি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে উত্সাহিত করবে, তাদের বর্ণনাকে বৈধতা দেবে এবং সম্ভাব্যভাবে আরও দাবির দিকে পরিচালিত করবে যা জাতির আর্থ—সামাজিক—রাজনৈতিক কাঠামোকে উন্মোচন করতে পারে। এটি একটি বার্তা দেবে যে অতীতের আত্মত্যাগের আর মূল্য নেই, মুক্তি সংগ্রামের সম্মিলিত স্মৃতিকে ক্ষুন্ন করে এবং জাতীয় ঐক্যকে দুর্বল করে।

স্থিতিশীলতা রক্ষা করা ছাত্র কোটা বহাল রাখা মানে শুধু নীতি সংরক্ষণ নয়; এটি সেই নীতি ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখার বিষয়ে যার ভিত্তিতে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি তার বীরদের সম্মান এবং তাদের পরিবারকে সমর্থন করার জন্য জাতির প্রতিশ্রুতির পুনঃনিশ্চিতকরণ। দেশকে অস্থিতিশীল করতে এবং নিপীড়ন ও দারিদে্র্যর যুগে ফিরিয়ে আনতে চাওয়া পশ্চাদপসরণকারী শক্তির বিরুদ্ধেও এটি একটি প্রতিরক্ষা।

সরকার, সুশীল সমাজ এবং প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিককে এই বিভেদমূলক এজেন্ডাগুলোর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। দেশের উত্তরাধিকার রক্ষা, সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এবং জাতীয় ঐক্যের জন্য কোটা রক্ষা অপরিহার্য। এটি বাংলাদেশের অগ্রগতি বজায় রাখার এবং অতীতের আত্মত্যাগকে সম্মান করে এমন একটি ভবিষ্যত গড়ে তোলার লড়াই।

উপসংহারে, মুক্তিযোদ্ধাদের বংশধরদের জন্য ছাত্র কোটা ন্যায়বিচার ও ন্যায়ের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের ভিত্তি। বর্তমান অস্থিরতা এই অঙ্গীকারের জন্য একটি বিপজ্জনক চ্যালেঞ্জ, জাতীয় স্থিতিশীলতাকে হুমকির এজেন্ডা সহ দলাদলি দ্বারা চালিত। বাংলাদেশ যখন এই অশান্ত সময়ে নেভিগেট করছে, তখন এই কোটাগুলোকে রক্ষা করা, স্বাধীনতাবিরোধীদের বিভক্তিমূলক আখ্যানকে প্রত্যাখ্যান করা এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করার জন্য বহিরাগত প্রভাবের বিরুদ্ধে সজাগ থাকা অপরিহার্য। মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার সংরক্ষণ করতে হবে এবং যারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন তাদের বংশধরদের সাহস, ত্যাগ ও ঐক্যের স্থায়ী মূল্যবোধের প্রমাণ হিসেবে সমর্থন করতে হবে।

লেখক একজন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার শরণার্থী — একজন মুক্তিবাহিনীর সাব সেক্টর কমান্ডারের সন্তান এবং এক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার অনুজ।

মতামত এর আরও খবর

img

করিম চাচার খোলা চিঠি: হর্নের শব্দে ম্লান আমার শেষ বেলার শান্তি!

প্রকাশিত :  ১৩:০১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৩২, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আমার নাম করিম উদ্দিন। বয়স এখন ৮০ ছুই ছুই। শরীরটা আর আগের মতো নেই। হাত-পায়ের জোর আগের চেয়ে কমে গেছে। চোখের দৃষ্টি ঝাপসা, কানেও ঠিকমতো শুনতে পাই না। তবুও, আমার জীবনটা ভালোই চলে যাচ্ছিল। গ্রামের ছোট্ট বাড়ি, একটু জায়গা জমি, চারপাশে গাছগাছালি—এই নিয়েই আমি থাকি। এ বয়সে এসে মানুষের চাওয়ার আর কী থাকতে পারে? শান্তি। হ্যাঁ, শান্তি-ই তো চেয়েছিলাম। কিন্তু, এ দেশে শান্তিতে মরতে পারবো কিনা সেটা নিয়ে বড় সন্দেহ!

ছেলেমেয়ে বড় হয়েছে, তারা এখন শহরে থাকে। কেউ কেউ বিদেশেও থাকে। ওদের সঙ্গে যখন ফোনে কথা হয়, একটাই বিষয় ওরা বারবার বলে—বিদেশে নাকি কেউ রাস্তায় হর্ন বাজায় না। রাস্তায় গাড়ি চলে, কিন্তু সেই গাড়ি যেন শব্দহীন। ওদের কথা শুনে মনে হয়, বিদেশ মানেই যেন এক স্বর্গ! আমি তো জানি না, ওই স্বর্গের আসল চিত্র কেমন। তবে আমার এই ছোট্ট গ্রামে শান্তির ন্যূনতম টুকুও নেই।

গ্রামের রাস্তায় এখন প্রচুর গাড়ি চলে। একটু আগেও যেখানে কাঁঠাল গাছের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিতাম, এখন সেখানে বড় বড় বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল দাপিয়ে বেড়ায়। সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হচ্ছে, এই সব গাড়ির চালকরা যেন হর্ন না বাজিয়ে থাকতে পারে না। যেখানে যানবাহনের অল্পই প্রয়োজন, সেখানে মানুষ প্রতিনিয়ত হর্ন বাজিয়ে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি করে। হর্নের সেই তীব্র শব্দ আমার বয়স্ক কানে বাজে বুলেটের মতো। হৃদয় যেন থেমে যায় মাঝে মাঝে। মনে হয়, মরার আগেই শান্তি মিলবে না এই দেশে!

ছেলেমেয়েদের বিদেশে যাওয়ার পরে মাঝে মাঝে ওদের সঙ্গে কথা বলি। ওরা বলেছে, বিদেশে কেউ রাস্তায় হর্ন বাজায় না। গাড়ি চলে নিয়ম মেনে, মানুষের প্রতি সম্মান দেখিয়ে। আর আমাদের দেশে? রাস্তায় বেরুলে মনে হয়, মানুষ যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছে কে কত জোরে হর্ন বাজাতে পারে। প্রত্যেকটা হর্ন যেন গায়ের মধ্যে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয়। এ দেশে কি কেউ মানুষের কানের মর্ম বোঝে না? বয়স্ক মানুষদের প্রতি কি কোনো সম্মান নেই?

শহরে তো হর্নের শব্দ সহ্য করার মতো নয়, কিন্তু গ্রামেও এখন এমন অবস্থা হয়ে গেছে যে শান্তি নেই। রাস্তায় গাড়ি চলবে, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু, হর্নের দরকার কী? ওরা কি জানে না, হর্ন বাজানোর ফলে শুধু আমার মতো বৃদ্ধরাই কষ্ট পায় না, ছোট ছোট বাচ্চারাও ভয় পায়। আমার নাতি-নাতনিরা যখন আসে, ওদের মুখে কান্নার শব্দ শোনা যায়। এত তীব্র শব্দ, বাচ্চাগুলো ভয়ে কুঁকড়ে যায়। আমি ভাবি, এটাই কি আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ?

আমার আর কিছুদিনই বাঁচার সম্ভাবনা। মরার আগে একটু শান্তি চেয়েছিলাম। কিন্তু এ হর্নের আওয়াজ আমার সেই শেষ বেলার শান্তিটুকু কেড়ে নিয়েছে। প্রার্থনা করি, এ দেশের মানুষ যেন কিছুটা সহানুভূতিশীল হয়। হর্নের জন্য অন্যের কষ্টের বিষয়টা যেন তারা বোঝে। মানুষের কান, হৃদয়—এসবও তো সংবেদনশীল। গায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চলে গেলে যেমন ব্যথা হয়, তেমনি হর্নের তীব্র আওয়াজও আমার মাথার মধ্যে কাঁপুনি ধরে। আমি আর পারি না, বুঝলে!

বিদেশে থাকে এমন কিছু মানুষ আমাকে একবার বলেছিল, ওদের রাস্তায় নাকি আইন খুব কঠিন। কেউ হর্ন বাজালে সাথে সাথেই শাস্তি পায়। ভাবলাম, আমাদের দেশে এমন কোনো নিয়ম হবে না কেন? আমাদের দেশেও তো আইন আছে, কিন্তু কেন মানা হয় না? কোথায় সেই শৃঙ্খলা? শুধু গাড়ির চালকেরাই নয়, সবাই যেন হুটহাট যা খুশি তাই করে বেড়ায়। আইন আছে, কিন্তু তার প্রয়োগ নেই। আর তার ফল ভোগ করছি আমরা, সাধারণ মানুষ।

আমার শেষ ইচ্ছা শুধু একটাই—এই দেশটা যেন শান্তি পায়। মানুষের মধ্যে মানবিকতা জাগুক। হর্নের আওয়াজে আমি হয়তো আমার বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেব, কিন্তু আমার মতো যারা বয়স্ক, তাদের কষ্ট যেন আর সহ্য করতে না হয়। তরুণরা যেন এ বিষয়টি নিয়ে ভাবে, এই সমস্যার সমাধান খোঁজে। শুধু বয়স্করাই নয়, এই হর্নের সমস্যা থেকে মুক্তি পেলে শিশুরা নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারবে। আমাদের সমাজ, আমাদের দেশ, এসব তো আমাদেরই, তাই আমাদের দায়িত্ব এই দেশটাকে সুন্দর করে তোলা।

এখন হয়তো আমার সময় শেষের দিকে, কিন্তু এই চিঠিটা লিখে রেখে যাচ্ছি তাদের জন্য যারা আমার পরে আসবে। দেশটা এমন হোক, যেখানে রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে মানুষকে হর্নের শব্দে কষ্ট পেতে হবে না।

মতামত এর আরও খবর