img

গাজা ইস্যুতে ইসরাইলি প্রেসিডেন্টকে যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৩:৫৫, ২৯ জুলাই ২০২৪

গাজা ইস্যুতে ইসরাইলি প্রেসিডেন্টকে যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে ‘অবিলম্বে পদক্ষেপ’ নেওয়া দরকার বলে গুরুত্বারোপ করেছেন। চলমান অলিম্পিক গেমস উপলক্ষ্যে প্যারিস সফর করা ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগকে রোববার তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় দুই নেতা উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়েও আলোচনা করেন।

এদিন স্টারমারের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে। যাতে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া যায় এবং ভুক্তভোগীরা যেন জরুরি ভিত্তিতে আরও মানবিক সহায়তা পেতে পারে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রশ্নে তার চলমান সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন বলেও বিবৃতিতে  উল্লেখ করা হয়। 

এতে বলা হয়, স্টারমারের কাছে এটা স্পষ্ট যে নৈতিক দিক দিয়ে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে কাজ করা হামাস কখনোই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে পদক্ষেপ নেওয়া ইসরাইলের সমতুল্য নয়। 

যদিও ইসরাইল গাজায় ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব লঙ্ঘন করে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালাচ্ছে। গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় তার ক্রমাগত নৃশংস আগ্রাসনের মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিক নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরাইলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৩৬৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছারা আহত হয়েছেন প্রায় ৯১ হাজার ফিলিস্তিনি।

গাজায় ৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনে উপত্যকাটির বিস্তীর্ণ অঞ্চল খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের অবরোধের মধ্যে পড়ে রীতিমত মৃত্যুপুরী ও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

প্রায় প্রতিদিনই বর্ণবাদী নির্যাতনের শিকার হই: লেবার এমপি সাতভির কৌর

প্রকাশিত :  ১১:০৮, ০৪ নভেম্বর ২০২৪

মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, লন্ডন: একজন লেবার এমপি বলেছেন যে, তিনি প্রায় প্রতিদিনই বর্ণবাদসহ চরম বিদ্বেষমূলক নির্যাতনের সম্মুখীন হন।

সাতভির কৌর ২০১১ সাল থেকে পাবলিক অফিসে রয়েছেন এবং বলেছেন যে, জুলাই মাসে সাউদাম্পটন টেস্টে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এই বর্ণবাদী নির্যাতন বেড়েছে।

তিনি ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সাউদাম্পটন সিটি কাউন্সিলের প্রধান হওয়ার সময় ব্রিটেনের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রথম মহিলা শিখ নেতা ছিলেন। সাতভির কৌর এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পাবলিক অফিসে রয়েছেন। তিনি বলেন, সাউদাম্পটন টেস্টের এমপি হওয়ার পর থেকে তার প্রতি বর্ণবাদি নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে।

বিবিসি রেডিও সোলেন্টে মিসেস কৌরের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল যে, রাজনীতিতে মহিলারা প্রচুর নির্যাতনের শিকার হন, এ ব্যাপারে আপনার অভিঞ্জতা কি?

তখন তিনি জানান, এটির মাত্রা চরম আকার ধারন করেছে। তিনি বলেন, নির্যাতনের মাত্রা তাঁর ধারনার চেয়ে অনেক বেশি।

তিনি আরও জানান, ‘‘আমি যখন কাউন্সিলর এবং কাউন্সিলের নেতা ছিলাম তখন আমি এটি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে পেয়েছিলাম। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, যেহেতু আমি একজন এমপি হয়েছি, তাই অনলাইনের সমস্ত অপব্যবহারকারীদের আমি আকৃষ্ট করেছি। বর্ণবাদী এবং সেখানকার বিদ্বেষীরা আমার বিরুদ্ধে বর্ণবাদী লেখা লিখছেন।

তিনি যোগ করেছেন, প্রায় প্রতিদিনই তিনি বর্ণবাদী নির্যাতনের শিকার হন।

সাতভির কৌর বলেন \"আসলে আমি যা করছি তা করার জন্য এটি আমাকে আরও উৎসাহিত করে, কারণ আমি চাই বঞ্চিত এলাকার অন্যান্য লোকেরা এবং অশ্বেতাঙ্গ মেয়েরা অনুভব করুক যে, আমি যদি এটি করতে পারি তবে তাঁরাও এটি করতে পারে।

এই সাংসদ বলেছেন যে, তিনি এ ধরনের বিরোধিতা উপেক্ষা করার চেষ্টা করেন এবং তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় অবমাননাকর মন্তব্যগুলি ব্লক করে।

তিনি বিবিসি রেডিও সোলেন্ট উপস্থাপক লুইসা হান্নানকে বলেছেন, \"আমি ঘৃণা ছড়াতে চাই না। ঘৃণামূলক অপরাধকে একটি বৃহৎ সামাজিক সমস্যা বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তার প্রথম বক্তৃতায়, তিনি সংসদে বলেছিলেন, তিনি একজন ব্যবসায়ীর সন্তান এবং সাউদাম্পটনে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহকারী স্কুলের খাবার খেয়ে তিনি বড় হয়েছেন।