img

ফেসবুক প্রচারণায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয় প্রতিমন্ত্রী পলকের!

প্রকাশিত :  ০৬:৫৬, ৩০ জুলাই ২০২৪

ফেসবুক প্রচারণায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয় প্রতিমন্ত্রী পলকের!

চলমান কোটা আন্দোলন ঘিরে সম্প্রতি ইন্টারনেট বন্ধ এবং পরবর্তীতে ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ রেখে আলোচনায় রয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এবার সামনে এসেছে তার ফেসবুকে ব্যয়ের হিসাব। ব্যক্তি পর্যায়ে বিজ্ঞাপন বাবদ সর্বোচ্চ অর্থ ব্যয় করেছেন তিনি। একক ব্যক্তি হিসেবে দেশে আর কেউ তার চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেন না। ফেসবুকের ‘অ্যাড লাইব্রেরি’ প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

‘অ্যাড লাইব্রেরি’ প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে উঠে আসে এ তথ্য।  

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুকে বিজ্ঞাপন বাবদ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৫ জুলাই পর্যন্ত জুনাইদ আহমেদ পলক ২৬ হাজার ৮৬৩ ডলার ব্যয় করেন; যা বর্তমান বাংলাদেশি অর্থে ৩১ লাখ ৬০ হাজার ৯৭৪ টাকার চেয়ে বেশি। 

এছাড়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যয় করেছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদ। তাদের ব্যয় ৩৭ হাজার ৪৩০ ডলার। 

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘রূপগঞ্জের কথা’, ‘ভালোর পথে’, ‘সফল বাংলাদেশ’, ‘আমার নেত্রী আমার অহংকার’, ‘প্রজন্মের আওয়াজ’, ‘আহ্বান’, ‘নৌকা মানেই’, ‘বিডি পিপল ভয়েস’-এর মতো কয়েকটি পেজ থেকে সম্প্রতি মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় হয়। 

এসব পেজ থেকে বিতর্কিত ও সমালোচিত বিভিন্ন বিষয়ে সম্প্রতি নানা পোস্ট দেওয়া হয়। এসব পেজ ঘুরে দেখা যায়, কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে নানা পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। এসব পোস্টকে আবার বুস্টও করা হচ্ছে। 

সর্বশেষ ৯০ দিনের ব্যয়ের হিসাবে ‘রূপগঞ্জের কথা’, ‘প্রজন্মের আওয়াজ’, ‘পাঞ্জেরি পাবলিকেশন্স লিমিটেড’, ‘জুনাইদ আহমেদ পলক’, ‘ডেইলি নিউজ’ প্রথম সারির তালিকায় ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ের ব্যয়ে ‘আহ্বান’, ‘আমরাই বাংলাদেশ’, ‘ভালোর পথে’, ‘দুশমন’, ‘আমার দেশ আমার অহংকার’, ‘আবার দশ ট্রাক’, ‘বিডিনিউজ ইনসাইডার’-এর মতো কিছু পেজে বিজ্ঞাপন ব্যয় বেড়ে গেছে। 

এদিকে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোও ফেসবুক বিজ্ঞাপনে নজর বাড়িয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি), বিএনপি মিডিয়া সেল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ মিডিয়া সেল ইত্যাদি পেজের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে দলগুলো।  

বিশ্লেষণে দেখা যায়, এসব পেজে দেওয়া পোস্টগুলোর বিপরীতে বুস্ট করতে প্রায় ১০০ ডলারের মতো খরচ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করা হচ্ছে। সবচেয়ে কম অর্থ ব্যয় হচ্ছে বরিশাল ও রংপুর বিভাগে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর

img

স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ১৪:৪৪, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

মার্কিন এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (২৮ এপ্রিল) তিনি এ লাইসেন্স অনুমোদন করেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক গত ২৫ মার্চ Non-Geostationary Orbit (NGSO) Satellite Services Operator In Bangladesh শীর্ষক লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে। ওই গাইডলাইনের আওতায় Starlink Services Bangladesh Non-Geostationary Orbit (NGSO) Satellite Services Operator License প্রাপ্তির জন্য প্রযোজ্য ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিটিআরসি বরাবর আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে আবেদনকৃত লাইসেন্স ইস্যুর জন্য গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ২৯৪তম কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেটে নতুন সংযোজন। শ্রীলংকার পরে দক্ষিণ এশিয়ার ২য় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করল।

এ প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের উপর্যুপরি ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশের নিয়ে আসা একটা গণদাবীতে পরিণত হয়েছিল।

‘পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিনিয়োগ বান্ধব হিসেবে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রধান উপদেষ্টার। বাংলাদেশের হাওর-বাঁওড় দ্বীপাঞ্চলে, দুর্গম পার্বত্য এলাকায়, বিশেষভাবে উপকূলীয় দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার পৌঁছেনি সেখানে দ্রুততম সময়ে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা স্বউদ্যোগী হয়ে স্পেইসএক্স সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করে ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান। এ লক্ষ্য অর্জনে বিডা, বিটিআরসি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে,’ বলেন তিনি।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংকের সেবাগুলো মধ্যে একটা প্রাথমিক সেবা হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট, যেখানে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে না, যেটা আইএসপির ক্ষেত্রে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যদি লম্বা সময় ধরে লোডশেডিং থাকে, মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির ব্যাকআপ ফুরিয়ে গেলে মোবাইল ইন্টারনেটেও বিঘ্ন ঘটে। স্টারলিংকের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হবে না।

‘আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশে ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত। উপরন্তু এই ফাইবার নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য অংশ টেলকো গ্রেডের নয়। বাংলাদেশের অন্তত ৬৫ শতাংশ টেলিযোগাযোগ টাওয়ার এখনো ফাইবারাইজেশনের বাইরে, সেখানে মাইক্রোওয়েভ দিয়ে সেবা দেওয়া হয়, খুবই সীমিত ধারণক্ষমতা। আবার আমাদের মোবাইল নেটওয়ার্কের যে কাভারেজ ও ক্যাপাসিটি আছে, তাতেও সমস্যা আছে, হাইওয়ে মোবিলিটি কভারেজের সমস্যা আছে। স্টারলিংক এসব সমস্যার সমাধান করবে,’ বলেন তিনি।

তিনি জানান, স্টারলিংক বাংলাদেশের মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করবে। এর মাধ্যমে ভয়েস কল এবং ডেটা বান্ডেল ভিত্তিক গতানুগতিক ইন্টারনেট সেবাদান ব্যবস্থা ডিজিটাল সার্ভিস কেন্দ্রিক নতুন রূপান্তরে মধ্য দিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, স্টার্লিংকের সার্ভিসের ফলে কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রিতে ডিরেগুলেশনের সূচনা হবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে, শহর কিংবা গ্রামভেদে নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা তৈরি হবে।