পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেড ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২৪) কোম্পাটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ৮৩ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৮ টাকা ৫৭ পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২১ টাকা ৪৪ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ১৯ টাকা ০২ পয়সা।
আমি করিম উদ্দিন, বয়স পঁচাশি পার করে ফেলেছি। এক সময় সরকারি চাকরি করতাম। এখন এই বৃদ্ধ বয়সে দু’বেলা খাবার আর ওষুধের টাকাটা যেন সন্তানদের ঘাড়ে না চাপাতে হয়—এই ভেবে আমার শেষ সঞ্চয়টুকু শেয়ারবাজারে লাগিয়েছিলাম। মনে করেছিলাম, এ থেকেই কিছুটা শান্তি পাবো।
কিন্তু আজ আপনি যদি আমাকে সামনে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করেন, “কেমন আছেন করিম চাচা?”—আমি নির্ভয়ে বলবো, “স্যার, আমি নিঃস্ব। সর্বস্বান্ত।”
শেয়ারবাজারটা এখন আর বাজার নেই, যেন একটা গভীর গর্ত, যেখানে আমরা সাধারণ মানুষ পড়ে আছি, কেউ কান্না করছে, কেউ মরার কথা ভাবছে। আমার চেনা চারজন মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। কারও ছেলেমেয়ের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে, কেউ বাড়ি বিক্রি করে দেনা মেটাচ্ছে। এই কষ্টের হিসাব আপনি টিভি দেখে বুঝবেন না, স্যার—এটা আমরা প্রতিদিন হাড়ে হাড়ে টের পাই।
স্যার, খন্দকার রাসেদ মাকসুদের মতো একজন চেয়ারম্যানের থাকা মানে হলো এই বাজারে আরও ধ্বংস, আরও প্রতারণা। তিনি আমাদের দেখেননি, শোনেননি, কখনও বোঝার চেষ্টাও করেননি। আমরা চাই, এমন একজন ব্যক্তি সেই পদে থাকুন যিনি আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কষ্ট বুঝবেন, আমাদের পাশে দাঁড়াবেন।
আপনি এই দেশের শেষ ভরসার নাম হয়ে উঠেছেন, স্যার। আপনার দিকে তাকিয়ে এখনো আমরা বাঁচার স্বপ্ন দেখি। আপনার কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ—দয়া করে খন্দকার রাসেদ মাকসুদের পদত্যাগ নিশ্চিত করুন। এই সিদ্ধান্ত শুধু একটি প্রশাসনিক কাজ হবে না, এটা হবে হাজারো কান্নার সান্ত্বনা, একটা আশার প্রদীপ।
আর কেউ যেন শেয়ারবাজারে সর্বস্ব হারিয়ে আত্মহত্যা না করে, স্যার। আর কোনো মা যেন সন্তানের চিকিৎসার টাকায় শেয়ার কিনে ধোঁকা খেয়ে নিজেকেই দোষ না দেয়। বাজারটা যেন আপনার হাত ধরে আবার ঘুরে দাঁড়ায়, আমরা এইটুকু আশা করছি।