img

হবিগঞ্জে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ, গুলিতে যুবক নিহত

প্রকাশিত :  ১৩:২৫, ০২ আগষ্ট ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:২৫, ০২ আগষ্ট ২০২৪

হবিগঞ্জে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ, গুলিতে যুবক নিহত

হবিগঞ্জে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে একজন নিহত হয়েছেন। আজ  শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জ শহরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মোস্তাক মিয়া (২৪)। তিনি পেশায় শ্রমিক।

মোস্তাকের সঙ্গে কাজ করেন মারুফ হোসেন। তিনি বলেন, মোস্তাক এখানে জুতা কিনতে এসেছিল। এসে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায়। গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

জানতে চাইলে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মঈন উদ্দীন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মোস্তাকের হাতে বড় ধরনের আঘাত ছিল। সেটা গুলি কি না, পরে জানানো যাবে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’–এর অংশ হিসেবে জুমার নামাজের পর হবিগঞ্জে শহরের বোর্ড মসজিদের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরের বোর্ড মসজিদ এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে পূর্ব টাউন হল এলাকায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলে যোগ দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন জেলা ছাত্রদল ও অন্য দলের নেতা-কর্মীরা।

এরপর মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে টাউন হল এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে সেখানে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু জাহিরের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

এ সময় পুলিশ সেখানে এলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়। একপর্যায়ে দুই দিক দিয়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশের দিকে আসতে থাকেন।

img

জুড়ীতে দুই রোহিঙ্গাসহ পাঁচজন আটক

প্রকাশিত :  ১১:১৫, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সংগ্রাম দত্ত: মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ী বাজার (যুক্তফ্রন্ট বাজার) থেকে দুই রোহিঙ্গা সহ ৫ জনকে আটক করেছে স্থানীয়রা।

রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাদের দেখতে পেয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে জানায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় চেয়ারম্যান তাদের আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন।

জানা যায়, ইমরান নামের এক দালালের মাধ্যমে জনপ্রতি ৮ হাজার টাকা চুক্তিতে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে। তবে তারা ঐ দালালকে কোন টাকা পরিশোধ করেনি। 

রোহিঙ্গা ২ জন কুমিল্লা বর্ডার দিয়ে গত শুক্রবার ( ০৬ সেপ্টেম্বর) ভারতে প্রবেশ করে। বাংলাদেশী ৩ জন খাগড়াছড়ি জেলার মাঠিরাঙ্গা হয়ে গত বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) ভারতে প্রবেশ করে। তারা আগরতলায় ভারতীয় পুলিশের কাছে আটক হয়। পরে পুলিশ তাদের ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর হাতে তুলে দেয়। বিএসএফ রাতে জুড়ীর লাঠিটিলা সীমান্তের নদী দিয়ে তাদেরে বাংলাদেশে পুশব্যাক করে।

জানা গেছে, আটককৃতরা জুড়ীর লাঠিটিলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়, দালালের মাধ্যমে কাজের জন্য তারা ভারতে যায়। পরে বিএসএফ তাদের লাঠিটিলা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশব্যাক করে। 

আটককৃত দুই রোহিঙ্গা হলো- কুতুপালংয়ের ১৮ নাম্বার ক্যাম্পের আলী আকবরের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও আমান উল্লার মেয়ে আসমা বিবি। 

বাংলাদেশি ৩ জন হল- খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার আজুপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিম সরদারের ছেলে আবু হানিফ সরকার, মেয়ে নীলিমা খাতুন ও আবু হানিফ সরকারের স্ত্রী একই গ্রামের নজরুল হাওলাদারের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার।


সিলেটের খবর এর আরও খবর