বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

img

ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা

প্রকাশিত :  ০৫:৩৩, ০৬ আগষ্ট ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:০৭, ০৬ আগষ্ট ২০২৪

ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে  প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ৪টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে দেওয়া একটি ভিডিও বার্তায় এ প্রস্তাবনার কথা বলা হয়। ভিডিওবার্তায় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রসঙ্গে তাদের দাবির কথা জানান। এসময় আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার নাহিদের পাশে বসা ছিলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা ঘোষণার জন্য চব্বিশ ঘণ্টা সময় নিয়েছিলাম। কিন্তু এই জরুরি পরিস্থিতিতে আমরা এখনই সেই রূপরেখা ঘোষণা করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এবং নোবেল পুরস্কারজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে সরকার গঠনের দাবি জানাই। আমরা উনার সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি ছাত্রজনতার আহ্বানে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে সম্মত হয়েছেন। আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতির প্রতি অনুরোধ জানাই। এছাড়া সরকার গঠনের পুরো রূপরেখা ও বাকিদের নাম আমরা সকালে ঘোষণা করব।

নাহিদ আরও বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের এই অভ্যুত্থান ও বিপ্লবের পর বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা ও লুটপাট শুরু হয়েছে। আমাদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করতেই পরিকল্পিতভাবে ফ্যাসিস্টদের দোসররা এমন কাজ করছে। আমরা মুক্তিকামী ছাত্রজনতাকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।

এই সমন্বয়ক আরও বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানাই। আমরা এই আন্দোলন করতে গিয়ে শহীদ হয়েছি, আমাদের দাবি মানতে হবে। আমাদের দাবি ব্যতিরেকে অন্যকোনো সরকার আমরা মেনে নেবো না। আমরা কোনোপ্রকার সেনা শাসন চাই না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগপর্যন্ত আমরা রাজপথে থেকে এই অভ্যুত্থানকে রক্ষা করব।

img

১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ: পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ১৪:০৫, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে কোনো ধরনের পলিথিন বা পলিপ্রপিলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না এবং ক্রেতাদের দেওয়া যাবে না। বিকল্প হিসেবে সব সুপারশপে বা শপের সামনে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ক্রেতাদের জন্য রাখা হবে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ কাজে তরুণ বা শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা হবে বলে জানান পরিবেশ উপদেষ্টা।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ১ অক্টোবরের শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধের বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার হবে। পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এক সপ্তাহের মধ্যে সব সুপারশপের সঙ্গে সভা করে পাটের শপিং ব্যাগের সরবরাহ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরও বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইএসডিওর সঙ্গে বিকল্প পরিবেশবান্ধব উপাদানে তৈরি, পাট বা কাপড়ের ব্যাগের উৎপাদনকারীদের নিয়ে একটি মেলার আয়োজন করবে। মেলায় সুপার শপের কর্তৃপক্ষ ও উৎপাদনকারীরা নিজেদের চাহিদা এবং সরবরাহর বিষয়ে আলোচনা করতে পারবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে সভায় আরও ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবরা, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সুপার শপের প্রতিনিধিরা।