ফিরে এলেন গুম হওয়া জামায়াত নেতা মীর কাশেমপুত্র ব্যারিস্টার আরমান
প্রকাশিত :
০৬:১৪, ০৬ আগষ্ট ২০২৪
জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত নেতা মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমানের ফিরে আসার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দৈনিক নয়াদিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলি।
তিনি ফেসবুক থেকে চেয়ারে বসা আরমানের একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশানে লিখেছেন ‘আলহামদুলিল্লাহ আরমান এখন মুক্ত’।
এর আগে ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট ব্যারিস্টার আহমদ বিন কাশেম আরমানকে নিজ বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সাদা পোশাকে ভারি অস্ত্র হাতে বাসায় হানা দিয়েছিল। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মিরপুর ডিওএইচএস-এর ১১ নং সেকশনের ৭ নম্বর রোডের ৫৩৪ নম্বর বাড়ির দোতালায় থাকতেন তিনি। এই বাসা থেকেই দুই শিশু সন্তান, স্ত্রী ও বোনের সামনে থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। এরপর থেকে কথিত ‘আয়নাঘরে’ তাকে রাখা হয়েছিল বলে গুঞ্জন ছিল।
প্রকাশিত :
১৩:৪২, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ সর্বশেষ আপডেট: ১৬:১৯, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এতে আপাতত নিয়োগ পেয়েছেন দুই হাজার ৬৪ জন। নানা কারণে স্থগিত থাকছে ৯৯ জনের ফল। এই বিসিএসে পিএসসি থেকে দুই হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে সুপারিশ করেছিল।
বেশ আগেই ৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)।
জানা গেছে, পিএসসি থেকে নিয়োগের সুপারিশের তালিকা জনপ্রশাসনে পাঠানো হয়। এরপর এই তালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীদের নানা ধরনের তথ্য যাচাই করা হয়। সব তথ্য পাওয়ার পর মন্ত্রণালয় তাদের নিয়োগের সুপারিশ করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২০ এর মাধ্যমে সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশক্রমে ২ হাজার ৬৪ জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুসারে ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা বেতনক্রমে নিয়োগ দেয়া হলো।
নিয়োগের শর্তগুলো হলো- তাকে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ নিতে হবে; উক্ত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সমাপনান্তে তাকে চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সরকার যেরূপ স্থির করবে সেরূপ পেশাগত ও বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণ নিতে হবে; তাকে দুই বছর শিক্ষানবিস হিসেবে কাজ করতে হবে, প্রয়োজনে সরকার এ শিক্ষানবিসকাল অনূর্ধ্ব দুই বছর বর্ধিত করতে পারবে, শিক্ষানবিসকালে যদি তিনি চাকরিতে বহাল থাকার অনুপযোগী বলে বিবেচিত হন, তবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই এবং সরকারি কর্মকমিশনের পরামর্শ ব্যতিরেকে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে; প্রশিক্ষণ সাফল্যের সঙ্গে সমাপন, বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং শিক্ষানবিসকাল সন্তোষজনকভাবে অতিক্রান্ত হলে তাকে চাকরিতে স্থায়ী করা হবে; প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার পূর্বে তাকে একজন জামানতদারসহ ৩০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে এ মর্মে একটি বন্ড সম্পাদন করতে হবে যে, যদি তিনি শিক্ষানবিসকালে অথবা শিক্ষানবিসকাল উত্তীর্ণ হওয়ার তিন বছরের মধ্যে চাকরিতে ইস্তফা দেন, তবে প্রশিক্ষণকালে তাকে প্রদত্ত বেতন-ভাতা, প্রশিক্ষণ উপলক্ষে উত্তোলিত অগ্রিম, ভ্রমণভাতা, অন্যান্য ভাতাদি ও তার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় হওয়া সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে তিনি বাধ্য থাকবেন, কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অঙ্গীকারনামা দাখিল করে তাকে প্রশিক্ষণে যেতে হবে; ইস্তফা সরকার কর্তৃক গৃহীত হওয়ার আগে যদি তিনি তার কর্তব্য ও কাজে অনুপস্থিত থাকেন, তবে তার কাছে সরকারের প্রাপ্য সমুদয় অর্থ আদায় করা হবে এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। সিদ্ধান্ত অনুসারে, ২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে এবং ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বরে। সেই হিসাবে প্রায় চার বছর পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলো।