img

আমার প্রতি আস্থা রাখলে দেশের কোথাও হামলা হবে না : ড. ইউনূস

প্রকাশিত :  ০৯:৩৪, ০৮ আগষ্ট ২০২৪

আমার প্রতি আস্থা রাখলে দেশের কোথাও হামলা হবে না : ড. ইউনূস

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমার প্রতি যদি আস্থা রাখেন তাহলে কারও ওপর হামলা করা যাবে না।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় শুরুতেই কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে স্বরণ করেন ড. ইউনূস।

তিনি বলেন, নতুন এই বাংলাদেশ যাতে দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে সেদিকে আমাদের কাজ করতে হবে।

নোবেলবিজয়ী বলেন, এই স্বাধীনতাটা আমাদের রক্ষা করতেই হবে। শুধু রক্ষা না এর সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। তা নাহলে এই স্বাধীনতার কোনো দাম নেই।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই দেশ তরুণ প্রজন্মের হাতে। তোমরা যেভাবে এটা স্বাধীন করেছো, তোমরাই এটা গড়ে তুলবে।

দুপুর ২টার পর ড. ইউনূসকে বহনকারী বিমানটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

দেশে ফেরার পর তাকে স্বাগত জানান সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এ ছাড়াও সেখানে উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তারা ছিলেন।

এর আগে বুধবার (৭ আগস্ট) তিনি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের চার্লস দ্য গল বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন তিনি। বিমানবন্দরে তাকে কড়া নিরাপত্তা দেন ফ্রান্সের বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা।

বুধবার ইউনূস সেন্টার থেকে বলা হয়েছিল, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশে ফিরবেন। এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।

অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্যারিসে গিয়েছিলেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন, তার একটি ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে।

জানা গেছে, ড. ইউনূস সরকারপ্রধান হিসেবে আজ রাত ৮টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন।

গতকাল বুধবার দেশবাসীর উদ্দেশে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, ‘আমাদের কোনো প্রকার ভুলের কারণে এই বিজয় যেন হাতছাড়া হয়ে না যায়।’

এ সময় তিনি সবাইকে বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্ত থাকতে এবং সব ধরনের সহিংসতা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন।

জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৪০০ অতিথি উপস্থিত থাকবেন। 

img

বুধবার হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ডাক

প্রকাশিত :  ১৯:৩২, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকা মহানগরীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের বিক্ষোভ মিছিলের জেরে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলম।

আগামীকাল (বুধবার) বেলা ১১টায় এই কর্মসূচি পালন করবেন তারা। আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি লিখেছেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে আগামীকাল (বুধবার) সকাল ১১টায় হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি।

কমেন্ট বক্সে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, যে লীগের হাতে হাজার হাজার ছাত্র ও নাগরিকের রক্ত লেগে আছে। দুই মাস না যেতেই তাদের কীভাবে দুঃসাহস হয় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে খুনি হাসিনার নামে স্লোগান দেওয়ার?

একই রকম স্ট্যটাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, এই খুনি হাসিনার দালালদের কারণেই রাষ্ট্র ঠিকমতো ফাংশন করতে পারছে না। এদের উৎখাত না করা পর্যন্ত দেশ সামনে আগাতে পারে না, পারবে না।

এর আগে মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ সময় তারা \'শেখ হাসিনার দরকার, বারবার দরকার\'; শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই\'; জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু\'; সহ নানা স্লোগান দেন। ২০-২৫ আইনজীবী এই বিক্ষোভে অংশ নেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ সময় বিক্ষোভ থেকে একজনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

এ ব্যাপারে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক খান বলেন, আদালতের প্রাঙ্গণের মিছিল থেকে নাহিদ হোসেন নামে সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের এক আত্মীয়কে আটক করা হয়েছে। তবে অন্য বিক্ষোভকারীরা পালিয়ে গেছে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি।