img

এখন যা হচ্ছে তা ষড়যন্ত্র : ড. ইউনূস

প্রকাশিত :  ১১:১৩, ০৮ আগষ্ট ২০২৪

এখন যা হচ্ছে তা ষড়যন্ত্র : ড. ইউনূস

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবিত প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সরকারের ওপর মানুষের আস্থা নেই। সরকারের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য সবার আগের দেশের সহিংসতা রোধ করতে হবে। এখন যা হচ্ছে তা ষরযন্ত্র।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বেলা ২টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এরপরই তিনি বিমানবন্দরে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে দেশের মধ্যে সহিংসতা হয়েছে সেগুলো ষরযন্ত্র। এটাকে রোধ করতে হবে। তাদের লাঠিপেটা করলে হবে না। সহিংসতাকারীদের আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। কোনো প্রকার প্রতিহিংসামূলক কাজ করা যাবে না। ড. ইউনূস বলেন, আমার ওপর যদি আস্থা এবং বিশ্বাস রাখেন তাহলে এটা নিশ্চিত করতে হবে কারো ওপর কোনো প্রকার হামলা করা যাবে না, বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। যদি বিশৃঙ্খলা করা হয় তাহলে আমি এই দায়িত্বে থাকবো না।

নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটি করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা (সমন্বয়কেরা) দেশকে রক্ষা করেছে।

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশবাসী কাছে আমার ওপরে বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন, দেশে কারও ওপর কোনো হামলা হবে না। তাহলে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব না।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি করাকে স্বাভাবিক করাকে গুরুত্ব দিয়ে ইউনূস বলেন, যেজন্য আন্দোলন হয়েছে সেটার ফলাফল যেন ব্যর্থ না হয়। পুনর্জন্মে যে বাংলাদেশ পেলাম সে বাংলাদেশ যেন পূর্ণতা পায়। যে বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ নতুন করে বিজয় পেল তা যেন পূর্ণতা পায়।

এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আজকে আমার আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে। যে আবু সাঈদের কথা দেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে। এসময় তিনি তরুণ সমাজকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, তরুণ সমাজ যেন নিজেদের মতো করে দেশটা সাজাতে পারে।

এর আগে দুপুর ২টা ১১ মিনিটে ড. ইউনূসকে বহনকারী ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেবে। গত মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠকে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত হয়।


img

৪৩ বিসিএসে ২০৬৪ জনের নিয়োগ, ৯৯ জনের ফল স্থগিত

প্রকাশিত :  ১৩:৪২, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:১৯, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এতে আপাতত নিয়োগ পেয়েছেন দুই হাজার ৬৪ জন। নানা কারণে স্থগিত থাকছে ৯৯ জনের ফল। এই বিসিএসে পিএসসি থেকে দুই হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে সুপারিশ করেছিল।

বেশ আগেই ৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)।

জানা গেছে, পিএসসি থেকে নিয়োগের সুপারিশের তালিকা জনপ্রশাসনে পাঠানো হয়। এরপর এই তালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীদের নানা ধরনের তথ্য যাচাই করা হয়। সব তথ্য পাওয়ার পর মন্ত্রণালয় তাদের নিয়োগের সুপারিশ করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২০ এর মাধ্যমে সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশক্রমে ২ হাজার ৬৪ জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুসারে ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা বেতনক্রমে নিয়োগ দেয়া হলো।

নিয়োগের শর্তগুলো হলো- তাকে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ নিতে হবে; উক্ত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সমাপনান্তে তাকে চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সরকার যেরূপ স্থির করবে সেরূপ পেশাগত ও বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণ নিতে হবে; তাকে দুই বছর শিক্ষানবিস হিসেবে কাজ করতে হবে, প্রয়োজনে সরকার এ শিক্ষানবিসকাল অনূর্ধ্ব দুই বছর বর্ধিত করতে পারবে, শিক্ষানবিসকালে যদি তিনি চাকরিতে বহাল থাকার অনুপযোগী বলে বিবেচিত হন, তবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই এবং সরকারি কর্মকমিশনের পরামর্শ ব্যতিরেকে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে; প্রশিক্ষণ সাফল্যের সঙ্গে সমাপন, বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং শিক্ষানবিসকাল সন্তোষজনকভাবে অতিক্রান্ত হলে তাকে চাকরিতে স্থায়ী করা হবে; প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার পূর্বে তাকে একজন জামানতদারসহ ৩০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে এ মর্মে একটি বন্ড সম্পাদন করতে হবে যে, যদি তিনি শিক্ষানবিসকালে অথবা শিক্ষানবিসকাল উত্তীর্ণ হওয়ার তিন বছরের মধ্যে চাকরিতে ইস্তফা দেন, তবে প্রশিক্ষণকালে তাকে প্রদত্ত বেতন-ভাতা, প্রশিক্ষণ উপলক্ষে উত্তোলিত অগ্রিম, ভ্রমণভাতা, অন্যান্য ভাতাদি ও তার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় হওয়া সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে তিনি বাধ্য থাকবেন, কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অঙ্গীকারনামা দাখিল করে তাকে প্রশিক্ষণে যেতে হবে; ইস্তফা সরকার কর্তৃক গৃহীত হওয়ার আগে যদি তিনি তার কর্তব্য ও কাজে অনুপস্থিত থাকেন, তবে তার কাছে সরকারের প্রাপ্য সমুদয় অর্থ আদায় করা হবে এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। সিদ্ধান্ত অনুসারে, ২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে এবং ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বরে। সেই হিসাবে প্রায় চার বছর পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলো।

৪৩তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন দেখতে এখানে ক্লিক করুন।