img

আয়নাঘরে ২১ দিন নির্যাতন করা হয় অভিনেত্রী নওশাবাকে!

প্রকাশিত :  ০৮:৫৪, ১৩ আগষ্ট ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৩৪, ১৩ আগষ্ট ২০২৪

আয়নাঘরে ২১ দিন নির্যাতন করা হয় অভিনেত্রী নওশাবাকে!

কাজী নওশাবা আহমেদ জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ২০১৮ সালে সড়ক নিরাপদ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার বিরোধী একটি স্ট্যাটাসের জেরে গ্রেফতার হন তিনি।

বিগত সরকারের আমলে ‘আয়নাঘর’-এ রেখে টর্চার করা হয়েছিল- এমনটাই দাবি করেছেন অভিনেত্রী। জনপ্রিয় উপস্থাপক তানভীর তারেকের শো’তে এসে সেই ঘটনা বলেছেন নওশাবা যেটি প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে।

গ্রেফতারের পর চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। সেখান থেকে কারাগারে পাঠানো হয় এই অভিনেত্রীকে। ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় সিএমএম আদালতে জামিনে মুক্তি পান নওশাবা।

জানা যায়, নওশাবা ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারবিরোধী এক পোস্ট করায় গ্রেফতার হন। তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বেশ আলোচিত হয়।  কিন্তু নওশাবার ব্যক্তিজীবন, সামাজিক জীবন, এমনকি মানসিক-শারীরিক অবস্থার তখন কি হয়েছিল সে কথা কেউ জানেন না। কারণ এ নিয়ে পরে টু শব্দটিও করেননি অভিনেত্রী।

সেসময় অনেকেই এ বিষয়ে সমালোচনা করলেও তার পাশে দাঁড়াননি কেউই।  কারাগার থেকে ফিরে চেষ্টা করেছেন নিজেকে আবারো মেলে ধরার। কিন্তু তার মনে যে গভীর ক্ষত জমা হয়েছিল তা তার ব্যক্তিগত, সামাজিক জীবন, এমনকি মানসিকভাবেও প্রভাব ফেলেছিল। সেই কথা কাউকে না বলতে পেরে ভেতরে এক ভারি বোঝা নিয়ে বছরের পর বছর কাটিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। সে সময়ের ক্ষমতাবানরা এখন ক্ষমতাহীন। তাই অকপটে অনেক কথাই বলতে চাইছেন নওশাবা।

সোমবার নিজের কাজ ও গ্রেফতারের দিনগুলোর কথা জানিয়েছেন নওশাবা। প্রচারের অপেক্ষায় থাকা সেই শো এর একটি ছবি পোস্ট করে তানভীর তারেক জানিয়েছেন সেকথা।

তিনি সেখানে লেখেন, ২০১৮ সালে প্রথম রুলিং পার্টির অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী শিল্পী হলেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। এরপর আয়নাঘরে তাকে ২১ দিনের নির্যাতন! অতঃপর রিহ্যাবে ছয় মাস। নিজের মেয়েকেই চিনতে পারতেন না! সেই সময় থেকে একমাত্র কন্যাকে নিয়ে গত ৬ বছরে ২০ বারের ওপরে বাসা বদলেছেন। কেউ বাসা ভাড়া দিতে চায়নি, সংসার ভেঙেছে! নিজের বাড়িতে জায়গা হয়নি, কারণ ভাই ও আত্মীয়রা নিরাপদ মনে করেননি। বন্ধুর নামে বাসা ভাড়া নিয়ে বোরকা পরে ঢুকতেন! কোনো আপস করেননি। অনেক রকম অফার এসেছে! মামলা করেছেন আগেই, যা এখনো চলমান। গল্পগুলো আসছে। শোটি দ্রুতই প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছেন তানভীর।


img

‘সিনেমা নির্মাণ একটি মহাযজ্ঞ, বললেন কুসুম সিকদার

প্রকাশিত :  ১৯:০৫, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

এবার পরিচালক পরিচয়ে আসছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম সিকদার । ‘শরতের জবা’ শিরোনামের সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো তাকে নির্মাতা হিসেবে পাচ্ছেন দর্শক। আগামী ১১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। 

লাক্সতারকা থেকে যাত্রা শুরু কুসুম সিকদারের। সিনেমায় অভিনয়ের জন্য অর্জন করেছেন খ্যাতি ও দর্শকপ্রিয়তা। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে সিনেমাটির মুক্তির ঘোষণা দেন কুসুম। 

২০২১ সালের বইমেলায়তার ‘অজাগতিক মায়া’ শিরোনামের একটি এই বের হয়। নিজের লেখা বই থেকে ‘শরতের জবা’ সিনেমাটি বড়পর্দায় তুলে এনেছেন তিনি। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও পহরডাঙ্গা পিকচার্স। একজন রহস্যময় নারীর জীবনের গল্প ‘শরতের জবা’।

অতৃপ্ত প্রেম, আঘাতের পর আঘাত, কিছু অপ্রত্যাশিত মৃত্যু জড়ানো জবার জীবন নানা সময়ে একেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। 

জবা কিআসলেই খুনি? নাকি পরিস্থিতির শিকার? নাকি অদৃশ্য কোনো শক্তি রয়েছে তার সাথে? এমনই রোমাঞ্চকর কাহিনি নির্ভর গল্পে নির্মিত হয়েছে শরতের জবা। 

এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন-কুসুম সিকদার, জিতু আহসান, ইয়াশ রোহান, নিদ্রা দে নেহা, নরেশ ভূঁইয়া, শহিদুল আলম সাচ্চুসহ আরো অনেকে। 

১১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির তারিখ থাকলেও খুব শিগগির সিনেমাটি আই স্ক্রিনেও মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

কুসুম শিকদার ছোটবেলা থেকে সংগীতচর্চা করতেন। তিনি নজরুল একাডেমি থেকে নজরুল সংগীত এবং ধ্রুপদী সংগীতের ওপর পড়াশোনা করেন। 

বেশ কিছু অ্যালবামের কাজ করেন। খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত ‘গহীণে শব্দ’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে কুসুমের বড়পর্দায় আগমন ঘটে। 

এর পর থেকে বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করেন এবং টিভি নাটকেও তিনি বেশ জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। তবে পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি এই প্রথম। 

পরিচালনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, অভিনয়ের কাজ অভিনয় দিয়েই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু পরিচালনার কাজ একদম প্রি-প্রোডাকশন থেকে শুরু পোষ্ট প্রোডাকশান শেষ হওয়ার পরেও কাজ শেষ হয় না। কোথায় রিলিজ দেওয়া হবে, মার্কেটিং পলেসি কী হবে।

 সিনেমা নির্মাণ একটি মহাযজ্ঞ। যাই হোক প্রথম কাজটি ভালোভাবে শেষ করতে পেরেছি। এতেই আমি খুশি। বাদবাকি দর্শকের হাতে।