img

আফ্রিকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স, বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি

প্রকাশিত :  ০৬:৪৮, ১৫ আগষ্ট ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:০৩, ১৫ আগষ্ট ২০২৪

আফ্রিকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স, বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি

আফ্রিকার কিছু অংশে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। একে ‘খুব উদ্বেগজনক’ উল্লেখ করে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অত্যন্ত সংক্রামক এই রোগে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে প্রাথমিক প্রাদুর্ভাবের সময় কমপক্ষে ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মাঙ্কিপক্স এখন মধ্য এবং পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগের একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং এর উচ্চ মৃত্যুর হার নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা।

ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস বলেছেন, আফ্রিকা এবং তার বাইরে আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ‘খুব উদ্বেগজনক’। তিনি বলেন, এই প্রাদুর্ভাব বন্ধ করতে এবং জীবন বাঁচাতে একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া অপরিহার্য। মাঙ্কিপক্স সংক্রামক রোগ।

এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এমনকি শ্বাসপ্রশ্বাস থেকেও অন্য কেউ এতে সংক্রমিত হতে পারে। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ ফ্লুর মতো। এটি ত্বকের ক্ষত সৃষ্টি করে এবং মারাত্মক হতে পারে, ১০০টির মধ্যে চারটি মৃত্যু ঘটায়।

আফ্রিকায় মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে দু’টি প্রধান ঢেউ সঞ্চালিত হয়েছে। মাঙ্কিপক্সের একটি ধরণ হলো ‘ক্লেড আই’, এটি মধ্য আফ্রিকার স্থানীয়দের শরীরে বেশি সংক্রমিত হতে দেখা যায়। আরেকটি ধরন হলো ‘ক্লেড আইবি’। এটি মাঙ্কিপক্সের নতুন এবং আরও মারাত্মক রূপ, যেটিকে একজন বিজ্ঞানী ‘এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিপজ্জনক’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এই নতুন ধরণটির কারণেই বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ডব্লিউএইচও। 

চলতি বছরের শুরু থেকে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে এই রোগে ১৩ হাজার ৭০০ জনের মতো আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে কমপক্ষে ৪৫০ জন মারা গেছেন। এরপর থেকে এটি বুরুন্ডি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কেনিয়া এবং রুয়ান্ডাসহ অন্যান্য আফ্রিকান দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।

মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবের কারণে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি এবারই প্রথম নয়। ২০২২ সালের জুলাইয়ে মাঙ্কিপক্সের একটি ধরন ইউরোপ এবং এশিয়ার কিছুসহ প্রায় ১০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

ডব্লিউএইচওর একটি গণনা অনুসারে, সেই প্রাদুর্ভাবের সময় ৮৭ হাজার মানুষ এতে আক্রান্ত হন। সেই সময় এ রোগে অন্তত ১৪০ জনের মৃত্যু হয়। 


img

রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

প্রকাশিত :  ১২:০৩, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

রসায়নে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন জন। তারা হলেন- ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার। 

বুধবার (৯ অক্টোবর) সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিটে রসায়নে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে।

এদের মধ্যে ডেভিড বেকার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। অপরদিকে ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার যুক্তরাজ্যের নাগরিক।

রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, ‘কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন’-এর জন্য ডেভিড বেকারকে, ‘প্রোটিন স্ট্রাকচার প্রেডিকশন’-র জন্য ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পারকে যৌথভাবে এ বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

সংস্থাটি আরও বলেছে, জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ প্রোটিনকে প্রাধান্য দিয়ে এ বছর রসায়নে নোবেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

নোবেল পাওয়া ডেভিড বেকার একেবারে নতুন ধরনের প্রোটিন তৈরি করেছেন। যা অনেকটা অসম্ভব বিষয় ছিল। অপরদিকে ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করেছেন যা দিয়ে ৫০ বছরের পুরোনো ‘প্রোটিনের জটিল কাঠামো অনুমান করার’ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এবারের নোবেল বিজয়ীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও গণনার মাধ্যমে প্রোটিনের পুরো বিষয়টি খোলাসা করেছেন। যা সব রসায়নবিদের স্বপ্ন ছিল। আর এই স্বপ্ন এখন সত্যি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে আছে।  

১৯০১ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে। ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন। তিনি উইল করে গিয়েছিলেন যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য— এই ৫টি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই পুরস্কারের নামকরণ হবে তার নামে। ১৯৬৯ সাল থেকে এই ৫ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।