img

ড. ইউনূসকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ বার্তা

প্রকাশিত :  ১৬:৪৬, ১৫ আগষ্ট ২০২৪

ড. ইউনূসকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ বার্তা

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। বুধবার (১৪ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে তিনি বার্তা দেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বার্তায় বলেন, বাংলাদেশের এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আপনার নেতৃত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে শান্তি-সমৃদ্ধি ও আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে ব্রিটিশ সরকার আপনাকে সহায়তা করতে চায়।

দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে কিয়ার স্টারমার বলেন, জনগণের সঙ্গে জনগণের গভীর সম্পর্ক এবং কমনওয়েলথ মূল্যবোধের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে এই দৃঢ় স্থায়ী সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বন্ধু হিসেবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় ব্রিটেন গভীরভাবে শোকাহত। যারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছিল, ব্রিটেন বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার সেই সাহসিকতা স্বীকার করে।

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই থেকে দেশে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন। এই আন্দোলন ১৫ জুলাই থেকে সহিংসতায় রূপ নেয়। ১৬ জুলাই সংঘর্ষে নিহত হয় ছয়জন। ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৪৩৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এর বাইরে গত ৬ আগস্ট পর্যন্ত আরও ১০৩ জনসহ দেশে মোট ৫৪২ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। ৭ আগস্টও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে যাওয়া আরও ২৬ জনের মরদেহ। যা নিয়ে আগস্টের ৭ তারিখ পর্যন্ত আন্দোলনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৬৮।

এর আগে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

লন্ডনে ফিলিস্তিনের পক্ষে হাজার হাজার মানুষের মিছিল

প্রকাশিত :  ০৯:৫৮, ০৬ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৫১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

আনসার আহমেদ উল্লাহ: গাজা এবং মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের অবসানের দাবিতে গত শনিবার, ২ নভেম্বর ১০০,০০০ এরও বেশি বিক্ষোভকারী লন্ডনের রাস্তায় নেমেছিল। বিশাল জনতা সেন্ট্রাল লন্ডন থেকে মার্কিন দূতাবাসের দিকে মিছিল করে, যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি অবিলম্বে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানায়।

বিক্ষোভটি ছিল যুক্তরাজ্যের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনের জন্য ২১তম জাতীয় প্রতিবাদ। বিক্ষোভকারীরা ক্রমবর্ধমান সহিংসতার নিন্দা করে এবং গাজায় ফিলিস্তিনিদের "গণহত্যা" হিসাবে বর্ণনা করে। বক্তারা উত্তর গাজায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অনুপ্রবেশের নিন্দা করেছেন, যা কার্যকরভাবে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের শেষ অবশিষ্ট অ্যাক্সেস পয়েন্টগুলিকে অবরুদ্ধ করেছে এবং তীব্র বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণর করছে।

মার্চে অংশগ্রহণকারী "বেঙ্গলিস ফর প্যালেস্টাইন" গ্রুপের সদস্য রাজনউদ্দিন জালাল বলেন, "আমরা এই নির্বোধ সহিংসতার অবসানের দাবি জানাতে এসেছি। যুক্তরাজ্য সরকারকে অবিলম্বে সমস্ত অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে ইসরায়েলের আগ্রাসনকে সক্ষম করা বন্ধ করতে হবে।"

নুরুদ্দিন আহমেদ, জাভেদ আখতার, আলা মিয়া আজাদ, লুকমান উদ্দিন, শফিক আহমেদ, জামাল আহমেদ খান, শেখ নূর, আহমেদ ফকর কামাল, নাফিস ইকবাল জামিল, নাদিরা হুদা, ফরিদা হাসান, সাদিয়া ওসমানী এবং মোফাসেল আহমেদ চৌধুরী সহ অন্যান্য বাঙালি সম্প্রদায়ের নেতারা ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে তাদের সংহতি প্রদর্শনের জন্য বিক্ষোভে যোগ দেন । বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনি পতাকা বহন করে এবং দখলদারিত্বের নিন্দা ও ন্যায়বিচারের আহ্বান জানিয়ে স্লোগান দেয়। শান্তিপূর্ণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভের আয়োজন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন আয়োজকরা।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর