img

সাবেক এমপি আবু জাহিরসহ ৫৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশিত :  ০৬:৫৮, ১৬ আগষ্ট ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:০৬, ১৬ আগষ্ট ২০২৪

 সাবেক এমপি আবু জাহিরসহ ৫৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

হবিগঞ্জ শহরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত রিপন শীল (২৭) হত্যাকান্ডের ঘটনায় হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহিরকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এছাড়াও এই মামলায় হবিগঞ্জ পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহিসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত রাখা হয়েছে ১৫০/২০০ জনকে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে নিহত রিপন শীল-এর মা রুবি শীল বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

গত ৪ আগস্ট রোববার সকাল থেকে বেলা একটা পর্যন্ত হবিগঞ্জ শহরের বৃন্দাবন কলেজ রোড প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে সেখানো জড়ো হয় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। পরে তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে যোগ দেয় বিএনপি ছাত্রদল ও যুবদলসহ সাধারণ জনতা। মিছিল সহকারে তারা শহরের প্রধান সড়কে দিয়ে আসতে থাকলে শহরের তিনকোনা পুকুড়পাড় এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে তাদের সংঘর্ষ বাধে। টানা কয়েক ঘন্টার সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় হবিগঞ্জ শহর। ভাংচুর করা হয় দোকান পাঠ অগ্নিসংযোগ করা হয় মোটর সাইকেলসহ বেশ কয়েকটি যানবাহনে। সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় রিপন শীল নামে ওই যুবক। পরে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) নূরে আলম জানান, রিপন শীল হত্যাকান্ডের ঘটনায় সাবেক এমপি আবু জাহিরকে প্রধান আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

ছাতকে নিজ ঘরে ছুরিকাঘাতে পীরকে হত্যা

প্রকাশিত :  ০৭:৪৩, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে আশি বছরের বেশি বয়সী এক পীর খুন হয়েছেন। সকালে নিজ গ্রাম সৈদেরগাঁওয়ের (ধারণ) বাড়িতে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে

 সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ওই পীরের নাম সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ওরফে আব্দুল হান্নান পীর।

গ্রামের লোকজন জানান, বয়োজ্যেষ্ঠ এই পীর বাড়ির সামনের দিকের একটি ঘরে প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়ে এসে বসতেন। অনেকে তার কাছ থেকে এসে পানিপড়াও নিতেন।

আব্দুল হান্নান পীর প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও ফজরের নামাজের পর ওই ঘরে এসে বসেছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায়  সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।

আব্দুল হান্নান পীরের মৃত্যুর খবর শুনে ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা তার বাড়ির সামনে ভিড় জমান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসাইন জানান, ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আব্দুল হান্নান পীর। কারা, কেন তাকে হত্যা করলো এ বিষয়ে জানার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।