img

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ

প্রকাশিত :  ০৮:১১, ১৬ আগষ্ট ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:২৪, ১৬ আগষ্ট ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ

এবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রধান ফটকে ‘ছাত্রলীগ প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ’ লেখা পোস্টার সাঁটিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় একই ধরনের লেখা পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। 

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় এই পোস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে লক্ষ্য করা যায়।

ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি বন্ধে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে এর আগে গত মঙ্গলবার জবি ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি (শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী) নিষিদ্ধ করে মৌখিক আশ্বাস দেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রদল নেতা তারেক আহমদের সহায়তায় ক্যাম্পাস প্রবেশ করে হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম। তাদেরকে চিনে ফেলায় উভয়কেই মারধর করে ক্যাম্পাস বের করে দেয় শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের শুরু থেকে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে। তবে ছাত্র রাজনীতির বহাল রাখার পক্ষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট সহ বামপন্থী সংগঠনসমূহ। তারা পূর্বের অতীত ইতিহাস ভুলে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির সুষ্ঠু ধারা ফিরিয়ে আনার পক্ষপাতী।

এ বিষয়ে জবি কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নূর নবী বলেন, ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে সব রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিগত ১৫ থেকে ১৬ বছর শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের যে বর্বরোচিত হামলার ইতিহাস রয়েছে তা ভুলে যাওয়ার মতো নয়। তারা জোরপূর্বক বিভিন্ন প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেত এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ক্ষতি হতো। কোটা আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা করে। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। ক্যাম্পাসে সব দলের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, ক্যাম্পাসে ঢুকতে হলে সাধারণ শিক্ষার্থী হয়ে ঢুকতে হবে। যে কেউ ব্যক্তিগতভাবে ক্যাম্পাসের বাইরে যেকোনো দলের রাজনীতি করতেই পারে কিন্তু ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ। শুধু ছাত্রলীগের ব্যাপারটা ভিন্ন।


img

এইচএসসির ফল ১৫-১৭ অক্টোবরের মধ্যে

প্রকাশিত :  ১৩:৪৩, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

জটিলতা কাটিয়ে মাঝপথে বাতিল হওয়া এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতে পারে ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে। এই তিন দিনের যেকোনো এক দিন ফল প্রকাশ করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার এই প্রস্তাবের কথা জানিয়ে বলেন, তারা আশা করছেন- শিগগিরই ফল প্রকাশের তারিখ পাবেন তারা।

চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের কিছু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে কিছু পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোর উত্তরপত্র (খাতা) মূল্যায়ন করে ফল তৈরি হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। আর বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর ফল তৈরি করা হবে পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ও জেএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে। 

এ বিষয়ে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার জানিয়েছিলেন, ইতোমধ্যে যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়ে গেছে, সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। আর যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি, সেগুলোর ফলাফল প্রকাশ করা হবে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে। বিষয় ম্যাপিংয়ের জন্য একটি নীতিমালা আছে। এ প্রক্রিয়ায় একজন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে একটি বিষয়ে যত নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতে সেই বিষয় থাকলে তাতে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হবে। আর এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় বিষয়ে ভিন্নতা থাকলে বিষয় ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

গত আগস্টে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও ঘেরাও করলে এবারের এইচএসসি বা সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ।



শিক্ষা এর আরও খবর