img

ঋতুপর্ণার বাড়িতে নেই ফেরদৌস, জানালেন নায়িকা নিজেই

প্রকাশিত :  ১২:২৩, ১৮ আগষ্ট ২০২৪

ঋতুপর্ণার বাড়িতে নেই ফেরদৌস, জানালেন নায়িকা নিজেই

অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ বিনোদন জগত থেকে সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ঢাকা-১০ আসনের এমপি নির্বাচিত হন। কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। 

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ফেরদৌসকে কোথাও দেখা যায়নি। গত দুই দিন  ধরে গুঞ্জন রটেছে ফেরদৌস হয়তো দীর্ঘদিনের বন্ধু ঋতুপর্ণার কলকাতার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

তবে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা বলেছেন, ‘আমার কানেও খবরটা এসেছে। আমাদের দুজনের এমন একটা ছবি দিয়ে খবরটা প্রচার করা হচ্ছে, যে ছবিটা কিছুদিন আগে একটা শোতে তোলা। ফেরদৌস তো আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, এটা তো সবাই জানেন। শেষবারও যখন ঢাকায় গেলাম, ওর বাসায় গিয়েছি। সেও কলকাতায় এলে আমার বাসায় আসে। আমাদের নিয়মিত যাতায়াত আছে। সত্যি কথা বলতে এই ঘটনার পর যোগাযোগ করতে পারিনি।’

ঋতুপর্ণা আরও বলেন, ‘আমি জানিও না ফেরদৌস এখন কী অবস্থায় আছে। দেশ থেকে বেরিয়েছে কি না, তা–ও জানি না। শুধু এটুকুই চাইছি, ও যেন ভালো থাকে, সুস্থ থাকে, সাবধানে থাকে। কারণ, মানুষ হিসেবে ফেরদৌস খুব ভালো। দেশে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কী হয়েছে, কিন্তু সে তো একজন ভালো মানুষ, চলচ্চিত্রের একজন বড় তারকা, একজন শিল্পী, অসাধারণ একটা সুন্দর মন আছে ওর। সত্যি বলতে, নির্বাচনের সময়ও ফেরদৌস আমাকে বলেছিল, আমি ভালো কাজ করতে চাই। মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে চাই। সে জন্যই নির্বাচন করতে এসেছিল। যাহোক আমি চাই ফেরদৌস যেখানেই থাকুক নিরাপদে এবং ভালো থাকুক।’

এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা বললেন, ‘হঠাৎ শুনি ফেরদৌস আমার ভারতের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে, এটা কেমন প্রোপাগান্ডা! এসব প্রোপাগান্ডা যারা ছড়াচ্ছে, তারা অবশ্য ছড়াবেই, তাদের মুখ তো বন্ধ করা যাবে না। আমি বলতে চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে আমার খুব ভালো একটা সম্পর্ক। ফেরদৌস আমার একজন ভালো বন্ধু, কিন্তু এ কথাটা তো একদমই এমন নয় যে সে দেশ ছেড়ে বেরিয়ে আমার বাড়িতে গেছে! আমার মনেও হয় না, সে দেশ থেকে বেরিয়েছে, বের হলে আমরা তো জানতে পারতাম। বিষয়টা তো এমন নয় ফেরদৌস অপরিচিত মুখ। তার মতো মানুষ, দেশ থেকে বের হলে এমনিতে সবাই জানতে পারবে যে দেশ থেকে বেরোচ্ছে। আমার পরিষ্কার কথা, সে যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক, বাংলাদেশেরও সবাই ভালো থাকুক।’

img

‘সিনেমা নির্মাণ একটি মহাযজ্ঞ, বললেন কুসুম সিকদার

প্রকাশিত :  ১৯:০৫, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

এবার পরিচালক পরিচয়ে আসছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম সিকদার । ‘শরতের জবা’ শিরোনামের সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো তাকে নির্মাতা হিসেবে পাচ্ছেন দর্শক। আগামী ১১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। 

লাক্সতারকা থেকে যাত্রা শুরু কুসুম সিকদারের। সিনেমায় অভিনয়ের জন্য অর্জন করেছেন খ্যাতি ও দর্শকপ্রিয়তা। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে সিনেমাটির মুক্তির ঘোষণা দেন কুসুম। 

২০২১ সালের বইমেলায়তার ‘অজাগতিক মায়া’ শিরোনামের একটি এই বের হয়। নিজের লেখা বই থেকে ‘শরতের জবা’ সিনেমাটি বড়পর্দায় তুলে এনেছেন তিনি। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও পহরডাঙ্গা পিকচার্স। একজন রহস্যময় নারীর জীবনের গল্প ‘শরতের জবা’।

অতৃপ্ত প্রেম, আঘাতের পর আঘাত, কিছু অপ্রত্যাশিত মৃত্যু জড়ানো জবার জীবন নানা সময়ে একেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। 

জবা কিআসলেই খুনি? নাকি পরিস্থিতির শিকার? নাকি অদৃশ্য কোনো শক্তি রয়েছে তার সাথে? এমনই রোমাঞ্চকর কাহিনি নির্ভর গল্পে নির্মিত হয়েছে শরতের জবা। 

এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন-কুসুম সিকদার, জিতু আহসান, ইয়াশ রোহান, নিদ্রা দে নেহা, নরেশ ভূঁইয়া, শহিদুল আলম সাচ্চুসহ আরো অনেকে। 

১১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির তারিখ থাকলেও খুব শিগগির সিনেমাটি আই স্ক্রিনেও মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

কুসুম শিকদার ছোটবেলা থেকে সংগীতচর্চা করতেন। তিনি নজরুল একাডেমি থেকে নজরুল সংগীত এবং ধ্রুপদী সংগীতের ওপর পড়াশোনা করেন। 

বেশ কিছু অ্যালবামের কাজ করেন। খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত ‘গহীণে শব্দ’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে কুসুমের বড়পর্দায় আগমন ঘটে। 

এর পর থেকে বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করেন এবং টিভি নাটকেও তিনি বেশ জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। তবে পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি এই প্রথম। 

পরিচালনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, অভিনয়ের কাজ অভিনয় দিয়েই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু পরিচালনার কাজ একদম প্রি-প্রোডাকশন থেকে শুরু পোষ্ট প্রোডাকশান শেষ হওয়ার পরেও কাজ শেষ হয় না। কোথায় রিলিজ দেওয়া হবে, মার্কেটিং পলেসি কী হবে।

 সিনেমা নির্মাণ একটি মহাযজ্ঞ। যাই হোক প্রথম কাজটি ভালোভাবে শেষ করতে পেরেছি। এতেই আমি খুশি। বাদবাকি দর্শকের হাতে।