img

ডিপজলকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত :  ১৩:৫২, ১৯ আগষ্ট ২০২৪

ডিপজলকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

অভিনেতা প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের গ্রেফতার দাবিতে রাজধানীর গাবতলীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয়রা। রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় গাবতলী বাস টার্মিনালে এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন কয়েকশ বিক্ষোভকারী। 

মিছিলে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীরা জানান, গাবতলীর কুখ্যাত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও শেখ হাসিনার দোসর বাংলা সিনেমায় অশ্লীলতার জনক মনোয়ার হোসেন ডিপজল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে তার ছেলেদের সম্পৃক্ততার কথা বলে যে মিথ্যাচার করেছেন তা শহিদদের রক্তের সঙ্গে চরম কৌতুকের শামিল। 

সে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী এবং এই কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার অর্থ ও অস্ত্রের জোগানদাতা। তার এই মিথ্যা বক্তব্যের কারণে আজ গাবতলী ও এর আশপাশের এলাকায় ছাত্র-জনতা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন। 

ডিপজলকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও বাংলা চলচ্চিত্রকে অশ্লীলতা মুক্ত করতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।   

এদিকে বিক্ষোভ মিছিলের একটি ভিডিও এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। 

গাবতলীর স্থানীয় বাসিন্দা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও গাবতলী পশুরহাটের সাবেক ইজারাদার লুৎফর রহমান সিআইপি বলেন, আমি গত ২৪ বছর গাবতলীর গরুরহাট চালিয়েছি। এই বছর কুরবানির ঈদের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপির সহায়তায় সেই গরুরহাট জোর করে নিয়ে গেছে ডিপজল। এছাড়া আওয়ামী লীগের আমলে শাহআলী মাজার, স্কুল পরিচালনা কমিটি, বাজার কমিটির সদস্যও হয়েছেন ডিপজল। 

তিনি বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী নিখিলের পক্ষে নিয়মিত মিছিল, মিটিং, সভা-সমাবেশ করেছেন ডিপজল। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে ডিপজলের ছবি সংবলিত পোস্টার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো নির্বাচনি এলাকা। ডিপজল কট্টর আওয়ামী লীগ- এখন ভোল পাল্টালে হবে না।


img

সাইফ আলী খানের বাড়িতেই লুকিয়ে ছিলেন হামলাকারী

প্রকাশিত :  ০৫:৪৭, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে বলিউড তারকা সাইফ আলী খান এখন ভারতের মুম্বায়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই অভিনেতার ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত করতে বিশেষ একটি টিম গঠন করেছে পুলিশ। হামলাকারীদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে তারা। আর এখানেই মিলেছে নতুন তথ্য। হামলার দুই ঘণ্টা আগের সিসিটিভি ফুটেজে অভিনেতার বাড়িতে কারো প্রবেশের দৃশ্য ধরা পড়েনি, অর্থাৎ সাইফের ওপর হামলাকারীরা অনেক আগেই বাড়িতে লুকিয়ে হামলার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এ হামলার তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করছে পুলিশ। তবে সিসিটিভি ফুটেজে মধ্যরাতের পর কাউকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি অভিনেতার বাড়িতে। পুলিশের সন্দেহ, হামলাকারী বা হামলকারীরা আগেই সাইফের বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন এবং ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন।

অভিনেতা সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাত, হাসপাতালে ভর্তিঅভিনেতা সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাত, হাসপাতালে ভর্তি

সিসিটিভি ফুটেজ দেখা গেছে, এক ব্যক্তিকে রাত ২টা ৩৩ মিনিটে সাইফ আলী খানের বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখা গেছে। ওই ব্যক্তি আবার তাকাচ্ছে সিসিটিভির দিকেও। সেই ব্যক্তির পরনে সাদা কলার দেওয়া টি-শার্ট। গলার কাছে ঝুলছে গামছা বা তোয়ালেজাতীয় কিছু। পরনে আছে জিনস। কাঁধে রয়েছে ব্যাগও।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরতে মাঠে নেমেছে মুম্বাই পুলিশের ১০টি টিম। শিগগিরই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশা করছে পুলিশ। এ হামলার নেপথ্যে শুধুই ডাকাতি, নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

বুধবার মধ্যরাতে বান্দ্রার বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন সাইফ আলী খানসহ পরিবারের সবাই। এ সময় এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় দুর্বৃত্তরা একাধিকবার সাইফকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে।