img

তাহিরপুরের চিকসা গ্রামে গানবাজনা নিষিদ্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত :  ০৯:৪৫, ২০ আগষ্ট ২০২৪

 তাহিরপুরের চিকসা গ্রামে গানবাজনা নিষিদ্ধ ঘোষণা

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার এক গ্রামে বিয়ে-জন্মদিন বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে গানবাজনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রামে কেউ গানবাজনা করলে তাকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

গত শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে উপজেলা সদরের চিকসা গ্রামের মাতব্বরা এ নিয়ম চালু করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ৯ নম্বর ওয়ার্ড চিকসা গ্রামের ইউপি সদস্য শফিকুল হক বলেন, আমাদের গ্রামটি সদর ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় গ্রাম। গ্রামে হিন্দু-মুসলিম দুই ধর্মের লোক বাস করেন। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ মুসলিম পরিবার বাস করে। কেউ যদি না মানে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এই গ্রামে বসবাসকারী হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাইদের জন্য এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুনাব আলী জানান, উচ্চ শব্দে গানবাজনা করা আইনগতভাবেও বাধ্যবাধকতা আছে। চিকসা গ্রামের মাতব্বররা গানবাজনা নিষিদ্ধ করেছেন। এটি একটি সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে কারও কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

img

আইফোন চুরি দেখে ফেলায় খুন হন মা-ছেলে

প্রকাশিত :  ১২:২৪, ০২ নভেম্বর ২০২৪

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাছননগর (এসপির বাংলোর সামনে) এলাকার একটি বাসা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মা ও ছেলের লাশ উদ্ধারের পর খুনের কারণ উদঘাটন করেছে পুলিশ। বন্ধুদের সাথে পার্টি করার জন্য খালাতো ভাইয়ের আইফোন চুরি করতে গিয়ে দেখে ফেলায় খুন করা হয় বলে জানান সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খান।

বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত ১জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে তার বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় নাম পরিচয় জানানো হয়নি।

পুলিশ সুপার জানান, গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও সদর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে সুনামগঞ্জ সদর পৌর শহরে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন মামলায় একজন শিশুকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

(৩০ অক্টোবর) বুধবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা জেলার সাভার থানা এলাকা থেকে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। শিশুটির বাড়ি বিশ্বম্ভরপুর থানাধীন গনারগাও গ্রামে। সে সদর উপজেলাএ হাসন নগর হাসপাতাল রোডে ২০২২ সাল থেকে একটি বাসায় বসবাস করছিলো।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পুলিশ হেফাজতে নেওয়া শিশু ও তার এক বন্ধু ১টি আইফোন ১১ ও টাকা পয়সা চুরি করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারা ২৯ তারিখ রাতে ভিকটিম মিনহাজের ঘরে ঢুকে আইফোনটি চুরির চেষ্টা করে। মিনহাজ টের পেয়ে একজনকে আটক করার চেষ্টা করলে অপরজন বটি দিয়ে কোপ মারে, ফলে মিনহাজ সেখানেই মৃত্যুবরণ করে। শব্দ শোনে মিনহাজের মা অন্য রুম থেকে বের হলে তাকেও বটি দিয়ে কোপ মারে, যার ফলে তিনিও নিহত হন। এই ঘটনায় জড়িত অপর শিশুকে পুলিশ হেফাজতে আনার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ সুপার আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, এই পরিকল্পনাটি সে তার বন্ধুর সাথে আরও ৭ দিন আগে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে বসে করেছিলো তাদের চুরি প্লান করা ছিলো তবে শেষপর্যন্ত চুরি করতে দেখে ফেলায় খুন করে তারা। পরে তারা বাসার পিছনের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা অপর আসামিকেও ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জাকির হোসাইন, সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হকসহ স্থানীয় প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সিলেটের খবর এর আরও খবর