কী তৃষ্ণা প্রেমে আলো-অন্ধকারে—জানে কি জ্যোতির্লোক?
কে জানে তবে? জানে এক প্রেমিক, জানে প্রেমের কারক—
কী মহিমা প্রেমে, কী সৃজনকলায় প্রেম খেলে নিশিদিন!
অধরা মাধুরী, কে বাজায় বাঁশরী প্রেমের কক্ষপথে—
আমি জেগে থাকি প্রেমের-আলোনিশি নিশিভোর!
অথচ, কত কী বিফল বেদনায় বলিয়াছি দিবারাত!
হায়রে জীবন, শূন্য বিভাজনে ভ্রম বিরচন! ওহো!
মায়ায় কায়ায় সহস্র নিশুতি দেখেছি স্বপ্ন কত,
বেঁধেছি অথই স্বপ্নের বাসর, কত কী ঊর্ণাজালে!
ভেঙে গেছে শেষে নিশির শিশিরের মতো পৃথিবীর প্রেম
আলো আর নিশি এই চির খেলায় বাঁচিয়াছি একদিন!
চেয়ে দেখ নিশিভোর আমি চির অণ্ধ শেষে!—
প্রেমের জ্যোতিতে মৃত্যুর ছায়ায় নামে উজাগর রাত
তাই লিখে যাই—হে প্রিয় অনাগত, জীবনের জয়গান;
প্রেমের ধারায় বয়ে যায় অনন্ত চির স্বর্গ সময়!
বলে যাই প্রিয়—বিদূর ছায়াপথে প্রেমের গল্প যত
বেদনা বিধুর কাঙ্ক্ষা নিয়তির নিরত কষ্ট তত!
লোভ-লাভ-দেহে মৃত্যু কাকে বলে? ভয়ভীতি ফেলে
যে খেলায় প্রেমে, জানে সেই প্রেমিক! খুলে যায় মৃত্যুতে
স্বর্গ প্রেমের দ্বার—জীবন দেখে মৃত্যুর-সৌন্দর্য!
যারে মন যারে ময়ূরপঙ্খি-নায়- জ্যোতিষ্ক পথ দেখায়!
অপার প্রেমের রহস্য প্রগাঢ় উলঙ্গ পথের মতো
মৃত্যু শূন্য জগৎ মধুময় মধুর অমৃত প্রেমে—
আহা মায়াময়! মৃগতৃষ্ণা প্রেমে মরে নষ্ট প্রহর;
ফুরায় সময় কাহলী কোলাহলে মিলন-বিরহ প্রেমে
হা হা, হুহুতাশ ফাঁকা শূন্যে পূর্ণ অগ্নি-পবন-জলে
সুপ্ত-গুপ্ত প্রেমের রহস্য আলোক-অন্ধকারে—
চন্দ্রিমা রাতে সাদা ঘোড়ার স্রোত ভেসে যায় দিগন্তে!
সাতটি তারার তিমিরে নিশ্চুপ সপ্ত ভুবন দূর—
অন্ধনিশিতে দুলকী ছুটে যায় কালো ঘোড়ার স্রোত
পৃথিবীর বুকে অন্ধকার ফুঁড়ে নেমে আসে নিশিভোর...
————————————————————
কবি প্রাকৃতজ শামিমরুমি টিটন: লেখক-সম্পাদক-প্রকাশক, জননন্দিত মহাকবি, ঔপন্যাসিক; বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি। (উক্ত কবিতাটি তাঁর ‘অমৃত রসে মৃগতৃষ্ণা প্রেমে’ মহাকাব্য উপন্যাস থেকে সংকলিত।)