img

সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক নেতা মকসুদ আহমদের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ০৭:৩১, ২৩ আগষ্ট ২০২৪

 সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক নেতা মকসুদ আহমদের মৃত্যু

সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস\'র সিলেট ব্যুরো প্রধান মকসুদ আহমদ মকসুদ‌ মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (২২আগস্ট) রাত ৩টার দিকে সিলেট নগরীর সুবিদবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন গালিব আহমদ নামে এক কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা।

নিহত মকসুদ আহমদ সিলেট নগরীর মইয়াচর এলাকার মৃত জমশেদ আলীর ছেলে।

সহকর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, রাত তিনটার দিকে ব্যাংক কর্মকর্তা গালিব আহমদ ও মকসুদ আহমদ মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় একটি কুকুর মোটরসাইকেলের সামনে পড়ে যায়। এসময় কুকুরটিকে বাঁচাতে গিয়ে ব্রেক করেন গালিব। তখন পেছনে বসে থাকা সাংবাদিক মকসুদ আহমদ ছিটকে গিয়ে ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে আহত হন। ঘটনাস্থলে প্রায় ৫ মিনিটি মকসুদ আহমদ ও গালিব পড়ে ছিলেন। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মকসুদ আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ব্যাংক কর্মকর্তা গালিব হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এদিকে, নিহত মকসুদ আহমদের জানাজার নামাজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় তার নিজ গ্রামের (মইয়ারচর) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।

img

আইফোন চুরি দেখে ফেলায় খুন হন মা-ছেলে

প্রকাশিত :  ১২:২৪, ০২ নভেম্বর ২০২৪

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাছননগর (এসপির বাংলোর সামনে) এলাকার একটি বাসা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মা ও ছেলের লাশ উদ্ধারের পর খুনের কারণ উদঘাটন করেছে পুলিশ। বন্ধুদের সাথে পার্টি করার জন্য খালাতো ভাইয়ের আইফোন চুরি করতে গিয়ে দেখে ফেলায় খুন করা হয় বলে জানান সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খান।

বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত ১জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে তার বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় নাম পরিচয় জানানো হয়নি।

পুলিশ সুপার জানান, গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও সদর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে সুনামগঞ্জ সদর পৌর শহরে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন মামলায় একজন শিশুকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

(৩০ অক্টোবর) বুধবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা জেলার সাভার থানা এলাকা থেকে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। শিশুটির বাড়ি বিশ্বম্ভরপুর থানাধীন গনারগাও গ্রামে। সে সদর উপজেলাএ হাসন নগর হাসপাতাল রোডে ২০২২ সাল থেকে একটি বাসায় বসবাস করছিলো।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পুলিশ হেফাজতে নেওয়া শিশু ও তার এক বন্ধু ১টি আইফোন ১১ ও টাকা পয়সা চুরি করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারা ২৯ তারিখ রাতে ভিকটিম মিনহাজের ঘরে ঢুকে আইফোনটি চুরির চেষ্টা করে। মিনহাজ টের পেয়ে একজনকে আটক করার চেষ্টা করলে অপরজন বটি দিয়ে কোপ মারে, ফলে মিনহাজ সেখানেই মৃত্যুবরণ করে। শব্দ শোনে মিনহাজের মা অন্য রুম থেকে বের হলে তাকেও বটি দিয়ে কোপ মারে, যার ফলে তিনিও নিহত হন। এই ঘটনায় জড়িত অপর শিশুকে পুলিশ হেফাজতে আনার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ সুপার আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, এই পরিকল্পনাটি সে তার বন্ধুর সাথে আরও ৭ দিন আগে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে বসে করেছিলো তাদের চুরি প্লান করা ছিলো তবে শেষপর্যন্ত চুরি করতে দেখে ফেলায় খুন করে তারা। পরে তারা বাসার পিছনের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা অপর আসামিকেও ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জাকির হোসাইন, সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হকসহ স্থানীয় প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সিলেটের খবর এর আরও খবর