সালেহ উদ্দিন দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত
সংগ্রাম দত্ত: হবিগঞ্জ জেলার কৃতি সন্তান ও দেশের খ্যাতনামা সাংবাদিকদের মধ্যে অন্যতম সাংবাদিক সালেহ উদ্দিন দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেছেন। পত্রিকা কর্তৃপক্ষ তাঁকে এই নিয়োগ প্রদান করেছেন। তাঁর এই নিয়োগ লাভের খবরে শুভাকাঙ্ক্ষীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে। বিশেষ করে ফেসবুকে হবিগঞ্জের সাংবাদিকরা তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা শুভ কামনা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএসএস সালেহ উদ্দিন প্রখ্যাত সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী সম্পাদিত বাংলাবাজার পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে ১৯৯২-১৯৯৮ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৮ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় সিনিয়র রিপোর্টার, ২০০১ থেকে ২০১২ দৈনিক ইত্তেফাকে সিনিয়র রিপোর্টার এবং ২০১২ থেকে বর্তমান পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ প্রতিবেদক ও আইন, বিচার, রাজনীতি ও নির্বাচন কমিশন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক ইত্তেফাকে অত্যন্ত সম্মানজনক পদ নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেছেন।
বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রক্ষাকারী সাংবাদিক সালেহ উদ্দিন সাম্প্রতিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একজন সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।
তিনি বেশ কয়েকটি কৌতূহলী এবং প্রভাবশালী প্রতিবেদনে কাজ করে সম্মাননা পেয়েছেন।
অন্যতম উল্লেখযোগ্য, \'রয়্যাল স্ক্যান্ডালের খসড়া\' হাইকোর্টের একজন বিচারকের পদত্যাগের দিকে পরিচালিত করে এবং এর ফলে স্বৈরশাসক এরশাদকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সালেহ উদ্দিন বাংলাদেশের সংবিধানের উপর একটি গবেষণা সিরিজেও অবদান রেখেছেন। উপরন্তু, তিনি দুই মেয়াদে ল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং দুটি মামলায় অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে হাইকোর্টে আমন্ত্রিত হওয়ার সম্মান পেয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, লেখক ও সাংবাদিক সালেহ উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব মুসলিম উদ্দিনের ছেলে। মুসলিম উদ্দিনও ছিলেন এলাকার একজন কৃতি সন্তান। মরহুম মুসলিম উদ্দিন পাকিস্তান আমল থেকে দীর্ঘকাল চুনারুঘাটের চেয়ারম্যান ছিলেন। স্বেচ্ছাশ্রমের এ কাজের জন্য তিনি রাষ্ট্রপতি পদক পান। দেশের শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। মুসলিম উদ্দিন চুনারুঘাটে অসংখ্য শিক্ষা, ধর্মীয় এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।